ad720-90

ভোট গ্রহণের পর থেকে বিজ্ঞাপন নেবে না গুগল


নভেম্বরের তিন তারিখ যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। শুক্রবার বিজ্ঞাপনদাতাদের উদ্দেশ্যে পাঠানো ওই মেইলে গুগল লিখেছে, “নির্বাচন, প্রার্থী, ফলাফলের ব্যাপারে কোনো বিজ্ঞাপন চালাতে পারবেন না বিজ্ঞাপনদাতারা। এ বছর নির্বাচনের পরে নজিরবিহীন সংখ্যক ভোট গণনার বিষয়টি আমলে নেওয়া হয়েছে।”

করোনাভাইরাস মহামারীর সময়টিতে ‘মেইল-ইন ভোটিং’ বাড়ার কারণে নির্বাচনী ফলাফল বিলম্বিত হতে পারে বলে সতর্কবার্তা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। রয়টার্স জানিয়েছে, গুগলের ইমেইলে নির্বাচনী বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে, এমনকি রাষ্ট্রীয় ও ফেডারেল কর্মকর্তা, প্রার্থী, রাজনৈতিক দলের নাম উল্লেখিত বিজ্ঞাপন, এবং রাজনৈতিক প্রশ্নের সার্চ ফলাফল সম্পর্কিত বিজ্ঞাপনও প্রচার না করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে গুগল।

রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ভুল তথ্য যাতে ছড়াতে না পারে, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছে সামাজিক মাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলো। মার্কিন সামাজিক মাধ্যম জায়ান্ট ফেইসবুক এরইমধ্যে নির্বাচনের আগের সপ্তাহে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছে। নির্বাচন ফলাফলের আগে কোনো দলকে বিজয়ী ঘোষণা করে বিজ্ঞাপন দিলে, সেটিকেও প্রতিহত করার কথা জানিয়েছে ফেইসবুক।

এক গুগল মুখপাত্র জানিয়েছেন, আশা করা হচ্ছে, অন্তত এক সপ্তাহের জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। কবে নাগাদ রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনের উপর থেকে ওই নিষেধাজ্ঞা উঠবে, সে বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি মুখপাত্র। 

গুগল মুখপাত্র জানিয়েছেন, দেশে অস্থিরতা বিরাজ করছে কি না, ভোট গণনায় কত সময় লাগতে পারে, সে বিষয়গুলোও আমলে নেবে তাদের প্রতিষ্ঠান।

নিষেধাজ্ঞাটি গুগলের “স্পর্শকাতর নীতিমালার” অধীনে আরোপ করা হবে। গুগল মুখপাত্রের দেওয়া তথ্য অনুসারে, ওই একই নীতিমালার অধীনে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত কয়েকটি বিজ্ঞাপন ব্লক করেছিল গুগল।

‘ইউটিউব’ ও ‘গুগল অ্যাডসের’ মতো গুগলের বিজ্ঞাপন সেবাদাতা প্ল্যাটফর্মেও আরোপ হবে নিষেধাজ্ঞাটি। এ ছাড়াও, নির্বাচন বিজ্ঞাপনদাতারা যাতে ভোটারদের ‘মাইক্রো-টার্গেট’ করতে না পারে, সে রাস্তা আগেই সীমিত করেছে গুগল।

উল্লেখ্য, গত বছর নিজেদের প্ল্যাটফর্মে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করেছে টুইটার।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar