ad720-90

অ্যামাজন ওয়ান: হাতের তালু ব্যবহারেই লেনদেন


প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট দ্য ভার্জ জানিয়েছে, প্রথমে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলের ‘অ্যামাজন গো’ বিক্রয়কেন্দ্রে আসছে প্রযুক্তিটি। সামনের মাসগুলোতে অন্যান্য অ্যামাজন বিক্রয়কেন্দ্রেও যোগ হবে ‘অ্যামাজন ওয়ান’।

অ্যামাজনের পরিকল্পনা অবশ্য আরও বড়। শুধু অর্থ পরিশাধের মধ্যে নিজেদের ‘অ্যামাজন ওয়ান’ প্রযুক্তিকে সীমিত করে রাখতে চাইছে না প্রতিষ্ঠানটি।

“আমাদের বিক্রয়কেন্দ্রের বাইরেও অ্যামাজন ওয়ানের প্রয়োগ রয়েছে বলে আমাদের বিশ্বাস। এ জন্য তৃতীয় পক্ষীয় বিক্রেতা, স্টেডিয়াম ও অফিস ভবনে আমাদের সেবা দেওয়ার কথা ভেবেছি আমরা, যাতে আরও মানুষ এটি থেকে আরও অনেক স্থানে সহজে স্বাচ্ছন্দ্যে লাভবান হতে পারে “ – বলেছেন অ্যামাজনের বাহ্যিক রিটেইল ব্যবসার ভাইস প্রেসিডেন্ট দিলিপ কুমার।

অন্য কোনো বিক্রয়কেন্দ্র, ব্যবসা বা ভেন্যুতে অ্যামাজন ওয়ান ব্যবহার করা হবে কি না, তা এখনও নিশ্চিত করেনি অ্যামাজন। তবে “কয়েকজন সম্ভাব্য ক্রেতার সঙ্গে” ব্যাপারটি নিয়ে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

অ্যামাজন জানিয়েছে, গোপনতার মতো বিষয়ের কথা চিন্তা করে ফেইশল রিকগনিশন প্রযুক্তির বদলে পাম রিকগনিশন প্রযুক্তির কথা ভেবেছে তারা।

“পাম রিকগনিশনকে আরও গোপনতা বান্ধব বিবেচনা করার অন্যতম একটি কারণ হলো আপনি হাতের তালুর ছবি দেখে কোনো ব্যক্তির পরিচয় সম্পর্কে জানতে পারবেন না। এ ছাড়াও এটি ব্যবহারের জন্য ঐচ্ছিকভাবে হাতের তালুকে ডিভাইসের উপর ধরতে হবে।” – বলেছেন কুমার।

অ্যামাজন ওয়ান ছবি স্ক্যানিং হার্ডওয়্যার ব্যবহার করবে যা কম্পিউটার ভিশন অ্যালগরিদেমের মাধ্যমে হাতের তালুর ছবি ধারণ করবে এবং তা এনক্রিপ্ট করবে। কাজটির জন্য কোনো অ্যামাজন অ্যাকাউন্টের প্রয়োজন পড়বে না, শুধু ফোন আর ক্রেডিট কার্ড নাম্বার হলেই হবে।

চাইলে অ্যামাজনের অনলাইন পোর্টাল থেকে নিজ বায়োমেট্রিক ডেটাও মুছে দিতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। গত বছরের শেষের দিকে পাম রিকগনিশন প্রযুক্তির পেটেন্ট পাওয়ার আবেদন করেছিল অ্যামাজন। প্রযুক্তিটি নিয়ে কয়েক বছর আগে থেকেই কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar