ad720-90

রিসাইকল এড়িয়ে পুরোনো ডিভাইস বিক্রি করতে চাইছিলো প্রতিষ্ঠানটি


অভিযোগে অ্যাপল আরও বলেছে, “অন্তত ১১ লাখ ৭৬৬ পাউন্ড মূল্যের অ্যাপল ডিভাইস জিইইপি অঙ্গনে ধ্বংস না করে বাইরে নিয়ে আসা হয়েছে।” প্রযুক্তিবিষয়ক ব্লগ এনগ্যাজেট জানিয়েছে, তথ্যটি স্বয়ং জিইইপি নিশ্চিত করেছে।

অ্যাপল পাঁচ লাখ আইফোন, ওয়াচ ও আইপ্যাডের উপর নিরীক্ষা চালানোর পর সমস্যা ধরা পড়ে। অ্যাপল নিরীক্ষা চালিয়েছে ২০১৫ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে। নিরীক্ষায় ধরা পড়ে, ওই পাঁচ লাখ ডিভাইসের অন্তত ১৮ শতাংশ এখনও সেলুলার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। এর মধ্যে ওয়াই-ফাই অনলি ডিভাইস ধরা হয়নি।

এরকম ডিভাইসের সংখ্যা এক লাখ তিন হাজার ৮৪৫টি। অ্যাপল জিইইপি’র কাছে দুই কোটি ২৭ লাখ মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়েছে। জিইইপি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে। প্রতিষ্ঠানটির ভাষ্যে, তাদের তিন কর্মী এ কাজ করেছেন, জিইইপি করেনি। কিন্তু অ্যাপল বলছে, ওই তিন কর্মী জিইইপি’র জ্যেষ্ঠ নির্বাহী ছিলেন, ফলে দায়ভার জিইইপি’র।

এনগ্যাজেট জানিয়েছে, অ্যাপল নিজেও ‘রিফাব্রিশড ডিভাইস’ বাজারজাত করে। কিন্তু এ ধরনের পণ্যের বেলায় সুরক্ষা ও গুণগত মানের মাপকাঠি ঠিক রয়েছে কি না তা যাচাই করে নেয় প্রতিষ্ঠানটি। জিইইপি থেকে খোয়া যাওয়া পণ্যের ব্যাপারে অ্যাপল বলেছে, “পুনর্ব্যবহারযোগ্যের জন্য পাঠানো পণ্যগুলো আর ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করার মতো অবস্থায় নেই… ওগুলো থেকে গুরুতর সুরক্ষা সমস্যা তৈরি হতে পারে।”

‘মেরামত-অধিকার’ সমর্থক দলগুলো অ্যাপলের তৃতীয় পক্ষীয় সারাই নীতিমালা, এবং ঠিক-করা-কষ্টসাধ্য এমন ডিভাইস প্রশ্নে সমালোচনা করে আসছে অনেক আগে থেকেই। অনেক সমালোচকের বিশ্বাস, অ্যাপল ও অন্যান্য ‘ইলেকট্রনিকস’ নির্মাতার উচিত পুনঃব্যবহারে মনোযোগী হওয়া, পুনর্ব্যবহারযোগ্যে নয়।

শুধু ২০১৯ সালেই বিশ্বে ই-বর্জ্য পাঁচ কোটি ৩০ লাখ টন ছাড়িয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে এনগ্যাজেট।  





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar