পেন্টাগনের জন্য কৃত্রিম উপগ্রহ বানাবে স্পেসএক্স
সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে এ ব্যাপারে জানিয়েছে ‘ইউএস স্পেস ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি’ (এসডিএ)। রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এবারই প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ তৈরির সরকারি কোনো চুক্তি পেলো স্পেসএক্স।
স্পেসএক্স মূলত পুনর্ব্যবহারযোগ্য রকেট এবং নভোচারী ক্যাপসুল তৈরির জন্য সুপরিচিত। সম্প্রতি নিজেদের স্টারলিংক প্রকল্পের জন্য কৃত্রিম উপগ্রহ তৈরির কাজে হাত দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এসডিএ চুক্তি বাস্তবায়নে ওয়াশিংটনের রেডমন্ডে অবস্থিত স্টারলিংক সংযোজন কারখানা ব্যবহার করা হবে বলেও উঠে এসেছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে। এসডিএ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, উপ-ঠিকাদারের সরবরাহ করা ‘ওয়াইড-অ্যাঙ্গেল ইনফ্রারেড মিসাইল-ট্র্যাকিং সেন্সর’ ব্যবহার করে চারটি কৃত্রিম উপগ্রহ তৈরি করবে স্পেসএক্স।
আরও চারটি কৃত্রিম উপগ্রহ বানানোর চুক্তি জিতে নিয়েছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘এল৩ হ্যারিস টেকনোলজিস’। মোট ১৯ কোটি ৩০ লাখ ডলারের চুক্তি ছিলো সেটি।
দুটি প্রতিষ্ঠানকেই ২০২২ সালের শরত নাগাদ পেন্টাগনকে কৃত্রিম উপগ্রহ বুঝিয়ে দিতে হবে।
এসডিএ এমন ধারার কৃত্রিম উপগ্রহ বানাতে চাইছে যা মিসাইল শনাক্ত করতে ও ট্র্যাক করতে পারবে। মূলত ‘আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক’ ধাঁচের মিসাইল শনাক্ত ও ট্র্যাক করার মতো প্রযুক্তি হাতে পেতে চাইছে পেন্টাগন। রয়টার্স জানিয়েছে, এ ধরনের মিসাইল অনেক দূর পর্যন্ত যেতে পারে, এটিকে ট্র্যাক করে বাঁধা দেওয়াও কঠিন।
স্টারলিংক কৃত্রিম উপগ্রহ নেটওয়ার্ক ব্যবহারের জন্য গত বছর স্পেসএক্সকে দুই কোটি ৮০ লাখ ডলার দিয়েছিল মার্কিন এয়ার ফোর্স। নিজেদের কিছু সংখ্যাক সামরিক আকাশযানে এনক্রিপ্টেড ইন্টারনেট সেবা পরীক্ষা করে দেখেছে তারা। কিন্তু নিজেদের জন্য এখনও কোনো স্টারলিংক কৃত্রিম উপগ্রহ তৈরি করতে বলেনি মার্কিন এয়ার ফোর্স।
Comments
So empty here ... leave a comment!