ad720-90

‘অনার স্মার্টফোন’ ব্যবসা বিক্রি করবে হুয়াওয়ে


সংশ্লিষ্ট সূত্ররা জানিয়েছেন, ব্যবসা বিক্রির জন্য ডিজিটাল চায়না গ্রুপ ও অন্যান্যদের সঙ্গে আলোচনা করছে হুয়াওয়ে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখে শুধু নিজেদের উচ্চ মূল্যের ফোনের দিকেই মনোযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

হুয়াওয়ে অনার স্মার্টফোন বাজারে এনেছিল মূলত তরুণ বয়সী ও বাজেট সাশ্রয়ী ক্রেতাদের বাজার ধরার জন্য। রয়টার্স জানিয়েছে, বিক্রি করে দেওয়া হতে পারে অনার ব্র্যান্ড, এর গবেষণা ও উন্নয়ন সক্ষমতা এবং অনার ব্র্যান্ড সংশ্লিষ্ট সরবরাহ ব্যবস্থাপনা ব্যবসা। ঠিক কী কী বিক্রি হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

এমনও হতে পারে আড়াই হাজার কোটি ইউয়ানের বদলে নগদ অর্থ পেলে এক হাজার পাঁচশ’ কোটি ইউয়ানেই ব্যবসা বিক্রি করে দেবে হুয়াওয়ে।

আপাতত অনার ব্র্যান্ডের সম্ভাব্য ক্রেতাদের মধ্যে ডিজিটাল চায়না এগিয়ে রয়েছে। অনেকদিন ধরেই ফোনটির প্রধান বিতরণকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে তারা। অন্যান্য সম্ভাব্য ক্রেতার মধ্যে রয়েছে চীনের টিসিএল এবং প্রতিদ্বন্দ্বী ফোন নির্মাতা শাওমি।

আলোচনার ব্যাপারে কোনো তথ্য দিতে রাজি হননি সংশ্লিষ্ট সূত্ররা। এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি হুয়াওয়ে এবং টিসিএল। আর মন্তব্য করেনি ডিজিটাল চায়না ও শাওমি।   

অনার ব্র্যান্ডটিকে ২০১৩ সালে পরিচয় করিয়ে দেয় হুয়াওয়ে। তবে, অনার স্মার্টফোন ব্যবসা সবসময়ই স্বাধীনভাবেই পরিচালিত হয়েছে। বাজারে শাওমি, অপ্পো ও ভিভোর সঙ্গে লড়েছে স্মার্টফোনটি। দক্ষিণপূর্ব এশিয়া ও ইউরোপের বাজারে এসেছিল অনার ব্র্যান্ড।

টিএফ ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটিসের বিশ্লেষক মিং-চি কুয়ো বলছেন, পুরো বিষয়টিই অনার স্মার্টফোন ব্যবসা ও এর সরবরাহকারী, এবং চীনের ইলেকট্রনিক্স শিল্পের জন্য সুফল বয়ে আনতে পারে। “যদি হুয়াওয়ের কাছ থেকে অনার মুক্ত হয়ে যায়, তাহলে এর উপাদান কিনতে আর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বাধা পার হতে হবে না। এটি অনার স্মার্টফোন ব্যবসা ও সরবরাহকারীদের সাহায্য করবে।” – গত সপ্তাহে এক গবেষণা নোটে লিখেছেন তিনি।

এমনিতে বাজেট ফোন শিল্পের লাভ হয় তুলনামুলভাবে কম। গত বছর অনার স্মার্টফোন মোট আয় করেছে সাত হাজার থেকে আট হাজার কোটি ইউয়ান। এ থেকে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা হয়েছে পাঁচশ’ কোটি ইউয়ান।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar