ad720-90

সমালোচনার মুখে ফেইসবুক ছাড়লেন ভারতের আঁখি দাস


ফেইসবুকের চোখে, “ভারতে সবচেয়ে পুরানো কর্মীদের একজন দাস এবং প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তিনি।” তারপরও শেষ অব্দি ফেইসবুক ছাড়তেই হলো তাকে।

ছয় মাস আগে এক প্রতিবেদনে উঠে আসে, ভারতে রাজনৈতিক কনটেন্টগুলোতে ফেইসবুক যেভাবে নীতিমালা প্রয়োগ করছে,তাতে লাভবান হচ্ছে প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ক্ষমতাসীন দল।

দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভারতের ক্ষমতাসীন দলের এক রাজনীতিবিদের বিদ্বেষমূলক পোস্টের ক্ষেত্রে নীতিমালার প্রয়োগে বিরোধীতা করছিলেন তিনি। এমন সংবাদ প্রকাশের পর সমালোচনার মুখে পড়েছেন আঁখি এবং ফেইসবুক।

মঙ্গলবার ফেইসবুকের এক বিবৃতির সূত্র ধরে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সরকারি চাকরিতে আগ্রহের কারণেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দাস।

অগাস্ট মাসে আরেক প্রতিবেদনে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল দাবি করেছে, ফেইসবুকের ব্যবসায়ীক ক্ষতির কথা চিন্তা করে কিছু হিন্দু জাতীয়তাবাদী ব্যক্তি এবং গ্রুপের ওপর বিদ্বেষমূলক কনটেন্টের নীতিমালা প্রয়োগের বিরোধিতা করেছেন দাস। এই ঘটনার পর দাস এবং ফেইসবুকের সমালোচনায় মেতেছেন বামপন্থী আইনপ্রণেতারা।

২০১৪ সালে প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা শেরিল স্যান্ডবার্গের বই হাতে নরেন্দ্র মোদী। সঙ্গে আঁখি দাস। ছবি: ইন্টারনেট ডটঅর্গ

২০১৪ সালে প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা শেরিল স্যান্ডবার্গের বই হাতে নরেন্দ্র মোদী। সঙ্গে আঁখি দাস। ছবি: ইন্টারনেট ডটঅর্গ

প্রতিবেদনে প্রকাশের পর অবশ্য দাস এবং প্রতিষ্ঠানের নীতিমালার সমর্থনে কথা বলেছেন ফেইসবুক ইন্ডিয়ার প্রধান আজিত মোহান।

ভারতের যথাযথ কনটেন্ট নীতিমালা অনুসরণ করা হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ফেইসবুক কর্মীরাও। এতে ভারতে জনসংযোগ এবং রাজনৈতিক শঙ্কা দ্বিমুখী সংকটে পড়েছিল সামাজিক মাধ্যম জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটি।

ভারতে ফেইসবুকের সবচেয়ে প্রভাবশালী নির্বাহী কর্মকর্তাদের একজন ধরা হতো আঁখি দাসকে। ২০১১ সালে ফেইসবুকে যোগ দেওয়ার পর থেকে প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা বৃদ্ধিতে কেন্দ্রীয় ভূমিকায় ছিলেন তিনি।

“ভারতে ফেইসবুককে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। তার চলে যাওয়াটা বড় কিছু।”

ফেইসবুকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাজার ভারত। দেশটিতে ৩০ কোটির বেশি গ্রাহক রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar