ad720-90

ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারণার অর্থ গেল হ্যাকারের পকেটে


বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে পার্টি চেয়ারম্যান অ্যান্ড্রু হিট জানিয়েছেন, এফবিআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে তার দল এবং এজেন্টরা বিষয়টি তদন্ত করছে।

বিবিসি’র প্রতিবেদন বলছে, প্রচারণার চালান প্রভাবিত করে হ্যাকাররা তহবিল চুরি করেছে বলেও দাবি করেছেন হিট।

আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গরাজ্য হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে উইসকনসিনকে। ২০১৬ সালের নির্বাচনে এই অঙ্গরাজ্যে অল্প ব্যবধানে জিতেছিলেন ট্রাম্প।

হিট বলেছেন, বিক্রেতাদের জন্য দেওয়া দলের চালান নাম্বার বদলে দেওয়া হয়েছে, যাতে অর্থ দেওয়া হলে তা বিক্রেতার কাছে না পৌঁছে।

দলের আরেক মুখপাত্র দাবি করেছেন, প্রথমে ফিশিং হামলা হিসেবে এটি শুরু হয়েছে, কোনো ডেটা চুরি যায়নি বলেই মনে হচ্ছে।

চলতি বছর অগাস্ট মাসে দলের জাতীয় কনভেনশনে অঙ্গরাজ্য কর্তৃপক্ষকে এ ধরনের সাইবার হামলার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন উইসকনসিন রিপাবলিকান পার্টির চেয়ারম্যান।

বিবিসি’র সাইবার নিরাপত্তা প্রতিবেদনে জো টাইডির বিশ্লেষণা বলছে, এটি সাধারণ বিজনেস ইমেইল কম্প্রোমাইজের (বিইসি) ঘটনা হয়ে থাকতে পারে। হ্যাকাররা সম্ভবত উইসকনসিন রিপাবলিকান দলের প্রধান কার্যালয় এবং তাদের এক সরবরাহকারীর ভেতরে ঢুকতে ইমেইলের অ্যাকসেস নিয়েছেন।

এরপরই নিজেদের প্রচারণা অংশীদারের বদলে হ্যাকারের কাছে অর্থ স্থানান্তর করেছে উইসকনসিন রিপাবলিকান পার্টি।

বিইসি’র অনেক ক্ষেত্রেই লেনদেন উল্টে দিতে পারে ব্যাংকগুলো এবং অন্তত কিছু অর্থ ভুক্তভোগীকে ফিরিয়ে দেওয়া যায়। এক্ষেত্রেও এমন কিছুরই প্রত্যাশা করছে রিপাবলিকান পার্টি।

৩ নভম্বরের নির্বাচনে উইসকনসিনে জয় নিশ্চিত করতে শেষ চেষ্টা চালাচ্ছেন ট্রাম্প এবং ডেমোক্রেটিক প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন। এর আগেই হ্যাকিংয়ের শিকার হলো উইসকনসিন রিপাবলিকান পার্টি।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar