থ্রিডি প্রিন্টেড দস্তানায় ফের দশ আঙুলে বাজল পিয়ানো
পিয়ানো এতোদিন ছয় আঙুলে বাজাতেন কার্লোস। ১৯৯৫ সালে ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল ডান হাত। তাই বাম হাত আর ডান হাতের বুড়ো আঙুলই ছিল ভরসা। পরে সে হাতও নিউরোলজিকাল সমস্যা ‘ফোকাল ডিস্টোনিয়া’র কবলে পড়ে বিকল হয়ে যায়।
মার্টিনেসকে বায়োনিক দস্তানাটি তৈরি করে দিয়েছেন শিল্প নকশাবিদ “উবিরাটান বিজারো’। শুরুতে দস্তানার ব্যাপারে সন্দিহান ছিলেন স্বয়ং মার্টিনেস।
“আমাকে যখন দস্তানা দেখিয়েছিলেন, তখন মজা করে বলেছি এটি মুষ্টিযুদ্ধের জন্য, পিয়ানো বাজানোর জন্য নয়।” – বলেছেন ৮০ বছর বয়সী মার্টিনেস। দস্তানাটি কালো নিওপ্রেনে থ্রিডি প্রিন্ট করা বলে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।
দস্তানাটিতে রডের আঙুল রযেছে যা পিয়ানোর চাবি চাপার পর আবার উঠে আসে এবং এভাবেই পিয়ানো বাদককে পিয়ানো বাজানোর সুযোগ করে দেয়।
মার্টিনস যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের নেতৃস্থানীয় অর্কেস্টার সঙ্গে বাজিয়েছেন। বাকের ধ্বনি কিবোর্ডে তুলে রেকর্ড করেছেন। কিন্তু দুর্ঘটনার পর ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গিয়েছিল তার।
দীর্ঘদিন পর দশ আঙ্গুলে সেবাস্টিয়ান বাখ বাজানোর পর উচ্ছসিত পিয়ানোবাদকের মন্তব্য- “বিশ বছরেরও বেশি সময় পর আবারও ১০ আঙুল ব্যবহারের বিষয়টি ৮০ বছর বয়সে আমার কাছে অলৌকিক মনে হচ্ছে।”
নকশাবিদ বিজারো জানিয়েছেন, ফর্মুলা ১ মোটর রেসিং প্রযুক্তি থেকে ধারণাটি পেয়েছেন তিনি। মার্টিনেসের জন্য প্রথম জোড়াটি বানাতে খরচ হয়েছিল একশ’ ডলারেরও কম। এখন দস্তানাটি তিনি ‘বায়োনিক এক্সটেন্ডার গ্লভস’ নামে ইউরোপে বিক্রি করছেন।
Comments
So empty here ... leave a comment!