দুইশ’ ডলারে মিলছে মস্কোর ফেইশল রিকগনিশন তথ্য
প্রযুক্তি সাইট ভার্জের প্রতিবেদন বলছে, টেলিগ্রামে বিজ্ঞাপন দেখে নিজের ছবিসহ অর্থ পাঠিয়েছিলেন কুজনেৎসভা। দুই দিন বাদে নিজের এক মাসের গতিবিধির বিস্তারিত প্রতিবেদন পেয়েছেন ওই নারী। সরাসরি পুলিশি ব্যবস্থা থেকে নেওয়া হয়েছে এই প্রতিবেদন।
শহরজুড়ে এক লাখের বেশি ক্যামেরাযুক্ত ফেইশল রিকগনিশন ব্যবস্থার প্রবেশাধিকার শুধু আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার দখলে থাকার কথা। প্রতিবেদন বিক্রেতা কীভাবে এই ব্যবস্থায় প্রবেশ করেছেন তা এখনও অস্পষ্ট।
এই ঘটনায় ইতোমধ্যেই দুই কর্মকর্তাকে তদন্তের আওতায় নিয়েছে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা। আর স্পষ্ট প্রক্রিয়া ঠিক না হওয়া পর্যন্ত এই নজরদারি প্রকল্প বাতিল করার লক্ষ্যে মামলা করেছেন কুনেতসোভা।
এই ব্যবস্থাকে মানুষের জন্য স্পষ্ট বিপদ হিসেবেই দেখেন কুজনেৎসভা।
“এটি ব্যবহার করে যেকোনো উন্মাদ ব্যক্তি আপনার ওপর নজরদারি করতে পারেন, অপরাধীরা দেখতে পারেন আপনি কখন কোথায় যাচ্ছেন এবং আপনার বাসা থেকে চুরি করতে পারেন বা আপনাকে আঘাত করতে পারেন। সবকিছুই হতে পারে,” যোগ করেন তিনি।
চলতি বছর জানুয়ারিতেই ফেইশল রিকগনিশন প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করেছে মস্কো পুলিশ। তবে, এই প্রযুক্তি ব্যবহারে মস্কোই একমাত্র শহর নয়।
বিশ্বজুড়ে অনেক শহরেই এখন ব্যবহার হচ্ছে ফেইশল রিকগনিশন প্রযুক্তি। ইতোমধ্যে এই প্রযুক্তি নিষিদ্ধও করেছে বেশ কিছু মার্কিন শহর।
Comments
So empty here ... leave a comment!