ad720-90

‘ব্যাটারিগেইট’ মামলায় জরিমানার মুখে অ্যাপল


বিবিসি’র প্রতিবেদন বলছে, গ্রাহককে নতুন আইফোন কিনতে প্ররোচনা দিতেই অ্যাপল এমনটা করেছে বলে দাবি জানিয়েছে ৩৩টি মার্কিন অঙ্গরাজ্য।

২০১৬ সালে আইফোন ৬, আইফোন ৭ এবং আইফোন এসই’র গতি কমিয়ে দেওয়ার কারণে ভুক্তভোগী হয়েছেন বহু গ্রাহক। এই কেলেঙ্কারিই পরে ‘ব্যাটারিগেইট’ নামে পরিচিতি পেয়েছে।

মীমাংসার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি অ্যাপল। তবে, আগে প্রতিষ্ঠানটি দাবি করেছে পুরানো ব্যাটারি সংরক্ষণের লক্ষ্যে আইফোনের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এর আগে মার্চ মাসে এই বিষয়ে আলাদা একটি ক্লাস অ্যাকশন মামলা মীমাংসা করতে ভুক্তভোগী আইফোন মালিকদেরকে ৫০ কোটি মার্কিন ডলার পর্যন্ত জরিমানা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে অ্যাপল।

২০১৬ সালে সফটওয়্যার আপডেটের মাধ্যমে আইফোন ৬, আইফোন ৭ এবং এসই’র প্রসেসরের গতি কমিয়ে দিয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্ট মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি।

২০১৭ সালে অনিয়মিত ধীর গতির বিষয়টি গবেষকরা বের করার পর আইফোনের গতি কমানোর বিষয়টি স্বীকার করেছে অ্যাপল।

সে সময় রাষ্ট্রপক্ষ দাবি করেছিলো, অ্যাপল প্রতারণামূলক আচরণ করেছে এবং ব্যাটারি বদলে দেওয়া দরকার ছিলো বা বিষয়টি প্রকাশ করা দরকার ছিলো।

আর্থিক লাভের জন্য এমন পদক্ষেপের অভিযোগ নাকচ করেছে অ্যাপল।

অ্যারিজোনার অ্যাটর্নি জেনারেল মার্ক ব্রনোভিচ আদালতের নথিতে লিখেছেন, “অনেক গ্রাহক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উন্নত কার্যকরিতা পাওয়ার একমাত্র উপায় অ্যাপলের কাছ থেকে নতুন মডেলের আইফোন কেনা।”

“অ্যাপল অবশ্যই বিক্রির ক্ষেত্রে এই প্রভাবগুলো বুঝতে পারে।”

মীমাংসায় কোনো অন্যায় বা আইন অম্যান্য করার কথা স্বীকার করেনি আইফোন নির্মাতা মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar