ad720-90

মাইক্রোসফট অ্যাকসেস (ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) ১০ হাজার টাকার ফুল কোর্স ফ্রিতে। পর্ব 1


আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা !! কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভালো আছেন । স্বাগতম জানাচ্ছি আমার দ্বিতীয় পোস্টে।

আপনাদের সাথে আলোচনা করতে চলেছি মাইক্রোসফট অ্যাকসেস অ্যাপ্লিকেশনটি নিয়ে।
আমরা দৈনন্দিন জীবনের সব ক্ষেত্রে মাইক্রোসফ্ট এক্সেস এর ব্যবহার দেখতে পাই। চাকরিতে বলুন বা যেকোনো ইন্ডাস্ট্রিতে বড় বড় সকল ধরনের প্রতিষ্ঠানে মাইক্রোসফট অ্যাকসেস ব্যবহৃত হয়ে থাকে।তো চলুন কথা না বাড়িয়ে সরাসরি মূল পোস্টে আসি।।

প্রথমে মাইক্রোসফ্ট এক্সেস নিয়ে টুকটাক একটু আলোচনা করা যাক. ভাষাটিকে সহজ করার জন্য আমি একটি বইয়ের সাহায্য নিলাম

Microsoft office এর মধ্যে একটি উল্লেখযােগ্য প্রােগ্রাম হচ্ছে Microsoft Access. এটি একটি ডাটাবেজ
প্রােগ্রাম। যদিও আমরা Microsoft Access -এ ডাটা এন্ট্রি সম্পাদন করা যায়। কিন্তু Access হচ্ছে মূল
ডাটাবেজ প্রােগ্রাম। এটি আকারের দিক
থেকে ছােট প্রােগ্রাম হলেও কাজের ক্ষমতার ক্ষেত্রে অত্যন্ত শক্তিশালী একটি প্রােগ্রাম।

ব্যাংক, বীমা, ডিপার্টমেন্টাল
স্টোর, বড় হাসপাতাল ইত্যাদিতে ব্যবহৃত ডাটাবেজ সংরক্ষন, অ্যানালাইসিস, হিসাবরক্ষন ইত্যাদিতে ব্যবহার
করার জন্য Access সত্যিই জনপ্রিয়, শক্তিশালী, সংরক্ষিত একটি প্রােগ্রাম। অন্যান্য ডাটাবেজ প্রােগ্রাম, যেমন
ডিবেজ, ফক্সপ্রাে, ফক্স বেজ, সাইবেজ ইত্যাদি ডাটাবেজ প্রােগ্রামকে পেছনে ফেলে Access এখন সবার উপরে।
কোন কোন ক্ষেত্রে এটি SQL বা ORACLE এর বিকল্প হিসেবে সমন্বয় ঘটিয়ে খুব শক্তিশালী বেজ
অ্যাপ্লিকেশন তৈরী করা সম্ভব। Access এর মাধ্যমে আপনি নিজেই আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ যেকোন
ডাটাএন্ট্রির কাজে ব্যবহার করতে পারেন।

Access দ্বারা বিভিন্ন ধরণের টেবিল ডাটাবেজ তৈরী করা যায় যা অসংখ্য টেবিলের সাথে সম্পর্ক যুক্ত এবং
সবধরণের গাণিতিক নিউমেরিক্যাল গণনা আনা থেকেই সম্পাদিত হয়। এছাড়াও বিভিন্ন
রিপাের্টে পছন্দমত চার্ট, ছবি ইত্যাদি সংযােজন করা যায়।

এবার আসুন জানা যাক একসিস দিয়ে আপনি কি করতে পারবেনঃ

১. বিভিন্ন ধরনের টেবিল এবং ডেটাবেজ তৈরি করতে পারবেন যা অসংখ্য টেবিলের সাথে সম্পর্ক থাকতে পারে।
২. হাজার হাজার ডাটা থেকে আপনার প্রয়ােজনীর ডাটা খুব সহজেই বাহির করতে পারবেন এবং রিপাের্ট তৈরি করে
প্রিন্ট করতে পারবেন।
৩, অসংখ্য আকৃতি ও ফরমেটে রিপাের্ট তৈরি করতে পারবেন।
৪. ডেটাবেজের গানিতিক কার্যকলাপ গুলাে স্বয়ংক্রিয়ভাবে হয়ে যাবে তাই আপনাকে বারতি পরিশ্রম করতে হবে না।
৫. রিপাের্টে বিভিন্ন গ্রাফ, ছবি, চার্ট দিতে পারবেন।

এবার আসুন জেনে নেই একসিসে কাজ করতে গেলে কি কি জানার প্রয়ােজনঃ

Data; একটি টেবিলে অনেকগুলাে রাে এবং কলাম থাকতে পারে। এই রাে এবং কলামে যে সকল তথ্য ইনপুর করা হবে
তাদের প্রতিটিকে এক একটি ডেটা বলে। অথ্যাৎ একটি টেবিলে বিভিন্ন ফিল্ডের অধীনে।। সব তথ্যকেই ডেটা

বলে।
Record: একটি টেবিলের অনেকগুলাে সারি থাকতে পারে। পুরাে একটি রাে একটি সারি কে একটি রেকর্ড বলে।
Field; একটি টেবিলের যে সকল উপাদান থাকে তাকে Field বলে। যেমনঃ কোন টেবিলে ইনফরমেশন থাকতে পারে
ID, Name, Address। এইগুলােকে এক একটি ফিল্ড বলে।
Table; একসেস এর মূল কাজ হলাে টেবিলকে নিয়ে। একসেসে বিভিন্ন ডাটা এই টেবিলে সংরক্ষিত থাকে। আর পুরাে
একটি প্রােগ্রামের সকল টেবিলকে একত্রে বলে ডেটাবেজ।
Form: টেবিলে ডেটা সহজভাবে ইনপুট দেবার জন্য একসেসে ব্যবহার করা হয়ে থাকে ফরম। ফরম অনেক ভাবে
নিজের ইচ্ছে মতাে তৈরি করা যায়।
Query: হাজার হাজার ডেটা থেকে আপনার প্রয়ােজন অনুযায়ী তথ্যকে বাহির করবার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে
Query
Reports: প্রিন্ট করবার জন্য মূলতাে রিপাের্ট তৈরি করা হয়ে থাকে। আপনি আপনার চাহিদা মােতাবেক রিপাের্ট তৈরি
করতে পারেন একসেসে।
Macro; একসেস ডাটাবেশ এর একটি শক্তিশালী উপাদান হচ্ছে ম্যক্রো। যে সকল কাজ আপনাকে বারবার করতে হয়
তা আপনি ম্যাক্রো দ্বারা করে রাখতে পারে। প্রয়ােজন মতাে এক ক্লিকেই সব কাজ সম্পাদন করতে পারেন
Modules: Visual Basic দ্বার প্রােগ্রাম রচনার জন্য মডিউল ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
গােপন সূত্রঃ যারা ভিজিয়্যাল বেসিক পাড়েন তাদের কাছে একসিস ডাল ভাত মনে হবে।

এবার আসি কিভাবে এক্সেস এ ডাটাবেজ তৈরি করবেন

আপনি একসিস ওপেন করবার জন্য নিচের পদক্ষেপ নিনঃ
start👉 all programs👉 Microsoft Office👉-Microsoft Office Access 2003 / 2007.

আপনি সফল ভাবে একসেস ওপেন করবার পর আপনার কাছে একসেস এর একটি পেজ ওপেন হবে। যাতে আপনি
অনলাইন থেকে তৈরি করা ডাটাবেজ নিতে পারেন অথবা নতুন ডাটাবে তৈরি করতে পারেন। আমরা যেহেতু প্রথম থেকে
শুরু করছি তাই নতুন ডাটাবেজ তৈরি করবাে।

এজন্য Blank Database সিলেট করুন.
অথবা আপনি অন্য ভাবেও নতুন ডেটাবেজ তৈরি করতে পারেন। এজন্য আপনার একসিস মেনুবারে ক্লিক করে নতুন
ডাটাবেজ ক্রিয়েট করতে হবে.
আপনি নতুন একটি ডেটাবেজ ক্রিয়েট করবার পর নিচের মতাে আপনার কাছে একটা ডাটাবেজ ওপেন হবে। এই
ডাটাবেজের ফিল্ড এ ডাবল ক্লিক করে আপনি ফিল্ডের নাম দিতে পরবেন।

আপনি এবার View আইকনে ক্লিক করে Design View সিলেট করুন। এবং নিচের মতাে করে ফিল্ড সেট করুন।
এবার আপনি টেবিলটি সেভ করেন। আমি সেভ করেছি Album নামে। এখন আপনার হচ্ছে টেবিলে ডেটা এন্টি
করা।

এবার আসুন দেখা যাক আপনি ডিজাইন ভিউতে প্রবেশ করে যে সকল ডাটা ইনপুর করবার জন্য ডাটা ধরন সেট
করেছেন তার কাজ দেখা যাক।

* টেক্সট (Text); সকল বর্ন, বিরাম চিহৃ এবং বেশ কিছু প্রতীক টেক্সট হিসেবে ইনপুট করা যায়। ডেটাবেজ প্রােগ্রামের
টেক্সট ফিল্ডের ধারন ক্ষমতা ২৫৫ ক্যারেক্টার পর্যন্ত।
→ মেমাে (Memo): মেমাে হিসেবে টেক্সট ডেটা রাখা যায়। এই ফিল্ডে প্রতিষ্টানের তথ্য, ব্যাক্তির তথ্য ইত্যাদি রাখা হয়।
এই ফিল্ডের ধারন ক্ষমতা ডিস্কের যতটুকু জায়গা খালি আছে তার সমান।
* সংখ্যা (Number); এটার মাঝে গানিতিক সংখ্যা লেখা হয়ে থাকে।
তারিখ/ সময় (Date/ Time): এটার দ্বারা তারিখ এবং টাইম ইনপুর করা যায়।
=> কারেন্মি (Currency): ডেটাবেজ প্রােগ্রামের কারেন্সি এই ফিল্ড ইনপুট দেওয়া হয়ে থাকে। এর সাইজ হলাে ৮
বাইট। এটি চার দশমিক স্থান পর্যন্ত নিখুত হিসেব বের করতে পারে।
→ অটোনাম্বার (Auto number): ডেটা টেবিলে এন্টিকৃত ডেটার রেকর্ড সংখ্যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে গননার জন্য এটা
ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এর ক্রমিক নম্বর কখনাে পরিবর্তন করা যায় না।
* ইয়েস/ নাে (Yes/ No): এটি সত্য, মিথ্যা, হ্যা অথবা না এমন ডাটা ইনপুট দেবার ক্ষেত্র ব্যবহৃত হয়। এর সাইজ
হলাে ১ বিট।
ওএলই অবজেক্ট (OLE object): এর পূর্ন নাম হলাে object Linking And Embedding। উইন্ডােজের অন্যান্য
প্রােগ্রাম যেমন: ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট ইত্যাদি থেকে কোন ছবি, শব্দ, গ্রাফ ইত্যাদি এই ফিল্ডে রাখা যায়।
* হাইপারলিংক (Hyperlink): শুধু মাত্র টেক্সট অথবা টেক্সট ও নম্বরের সংমিশ্রিত ডেটা এটাতে ইনপুট দেওয়া যায়।
ডেটাবেজ প্রােগ্রামের হাইপারলিংক ফিল্ডে এ ধরনের ডেটা প্রদর্শন হয়। এর সাইজ ২০৪৮ ক্যারেক্টার।
* লুকআপ উইজার্ভ (Look-up Wizard): এই জাতীয় ফিল্ডে সরাসরি ডেটা ইনপুট না করে কোন লিস্ট থেকে
পছন্দকৃত ডেটা ইনপুট করা যায়।
* এটাচমেন্ট (Attachment): এই ফিল্ডে বিভিন্ন ধরনের ছবি বা ফাইল এটাচ করা যায়।

আজকের মত এ পর্যন্তই আবার দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে,পোস্ট অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে আশাকরি সকলেই মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন এবং বুঝতে পেরেছে যদি কিছু না বুঝে থাকেন তাহলে কমেন্ট করে অবশ্যই জানিয়ে দিন । আমি চেষ্টা করব আপনাদেরকে বিস্তারিত ভাবে শিখিয়ে দেওয়ার।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar