ad720-90

র‍্যানসমওয়্যারের কবলে সুইজারল্যান্ডের হেলিকপ্টার নির্মাতা ‘কপ্টার’


হ্যাকারদের দাবি কপ্টার পূরণ না করায়, শুক্রবার কিছু প্রাতিষ্ঠানিক নথিও ইন্টারনেটে প্রকাশও করে দিয়েছে তারা। প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট জেডডিনেট বলছে, অনেক র‍্যানসমওয়্যার দলই ভুক্তভোগীর ডেটা বিশেষ “ফাঁস সাইটে” প্রকাশ করে দেয়। মূল উদ্দেশ্য থাকে ভুক্তভোগীর উপর চাপ বাড়িয়ে তাকে বড় মাপের মুক্তিপণ দেওয়াতে বাধ্য করা।

ডার্ক ওয়েবের এক ব্লগে কপ্টারের ডেটা প্রকাশ করেছে হ্যাকাররা। পুরোটার সঙ্গেই জড়িত ‘লকবিট’ হ্যাকার গ্রুপ।  যে নথিগুলো প্রকাশ করে দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে ব্যবসায়িক নথি, অভ্যন্তরীণ প্রকল্প এবং বিভিন্ন ধাঁচের অ্যারোস্পেস এবং প্রতিরক্ষা শিল্প মানের নথি রয়েছে।

এক ইমেইলে লকবিট র‍্যানসমওয়্যারের পরিচালকরা জেডডিনেটকে জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে কপ্টারের নেটওয়ার্কে অনুপ্রবেশ করে তারা। অনুপ্রবেশের কাজে একটি ভিপিএনের সুযোগ নেওয়া হয়েছে। হ্যাকারদের দাবি, ভিপিএনের পাসওয়ার্ড দুর্বল ছিল এবং তাতে ‘টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন’ ছিল না।

লকবিট হ্যাকার দল আরও জানিয়েছে, তারা ডার্ক ওয়েবে একটি ওয়েব পোর্টাল পরিচালনা করে। ওই পোর্টালে হ্যাকিংয়ের শিকার প্রতিষ্ঠানের আক্রমণের বিস্তারিত প্রকাশ করে তারা।

হ্যাকার দলটি আরও জানিয়েছে, কপ্টারের কোনো একজন তাদের র‍্যানসম পেইজে প্রবেশ করেছিলেন। কিন্তু হ্যাকিংয়ের শিকার প্রতিষ্ঠানকে যে চ্যাট উইন্ডো দেওয়া হয়, তা ব্যবহার করেননি।

কপ্টার এখনও নিজেদের ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো মাধ্যমে হ্যাকিংয়ের কবলে পড়ার খবর জানায়নি। এ ব্যাপারে কপ্টার মুখপাত্রের কাছেও ইমেইল মারফত জানতে চেয়েছিল জেডডিনেট। কিন্তু ইমেইলের কোনো উত্তর দেননি তিনি।

সুইজারল্যান্ড-ভিত্তিক হেলিকপ্টার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। নিজেদের ছোট এবং মাঝারি আকৃতির বেসামরিক হেলিকপ্টারের জন্য প্রতিষ্ঠানটি পরিচিত।

এ বছরের জানুয়ারিতে ইতালিয়ান অ্যারোস্পেস ও প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘লিওনার্দো’ কপ্টারকে কিনে নেয়। তবে, মালিকানা হাতবদলে কত খরচ হয়েছে, তা এখনও জানায়নি তারা।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar