ফ্লোরিডায় কোভিড-১৯ ডেটা গবেষকের বাড়িতে পুলিশের তল্লাশি
মে মাসে জোনস অভিযোগ তুলেছেন যে, মহামারীর সীমাবদ্ধতা শিথিল করতে ভাইরাসের ডেটা হেরফের করছে মার্কিন স্বাস্থ্য বিভাগ। এরপর তাকে চাকুরিচ্যুত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
টুইটারে তল্লাশির বেশ কিছু ভিডিও প্রকাশ করেছেন জোনস। এতে দেখা গেছে, তার ফোন ও ল্যাপটপ জব্দ করেছেন সশস্ত্র পুলিশ কর্মকর্তারা।
পুলিশের দাবি, অঙ্গরাজ্যের জরুরি স্বাস্থ্য সতর্কতা ব্যবস্থায় হ্যাকিংয়ের তদন্ত চালাচ্ছিলেন তারা। হ্যাকিংয়ের দাবি অস্বীকার করেছেন জোনস।
বিবিসি’র প্রতিবেদন বলছে, চাকুরিচ্যুত হওয়ার পর স্বাধীনভাবে ভাইরাসের বিস্তারে নজর রাখতে নিজস্ব ডেটাবেইজ তদারকি করছেন জোনস।
জোনস বলেছেন, নভেম্বরের হ্যাকিংয়ের ওই ঘটনায় জরুরি সহায়তা দলের সদস্যদের কাছে যাওয়া এক বার্তায় বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ এ আরও হাজারো মানুষ মারা যাওয়ার আগে “আওয়াজ তুলুন”।
এক বিবৃতিতে ফ্লোরিডা ডিপার্টমেন্ট অফ ল এনফোর্সমেন্ট কমিশনার রিক সয়ারিনজেন জানিয়েছেন, এক তদন্তে উঠে এসেছে জোনসের ঠিকানা থেকে ওই হ্যাকিং হয়েছে। সেটির ভিত্তিতেই তল্লাশি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
জোনস আরও দাবি করেছেন, তল্লাশি চলাকালে তার সন্তানের দিকে বন্দুক তোলা হয়েছে। যদিও, এমন দাবি অস্বীকার করেছেন সয়ারিনজেন।
পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, “সাধারণ প্রোটোকলেই বাড়িতে ঢুকেছেন এজেন্টরা এবং কিছু ডিভাইস জব্দ করেছেন, যা ফরেনসিক ল্যাবে বিশ্লেষণ করা হবে। কখনোই বাড়ির কারও দিকে বন্দুক তোলা হয়নি।”
আইনি খরচে সহায়তা করতে তহবিল সংগ্রহ প্রক্রিয়া শুরুর সাত ঘন্টার মধ্যে ৬৫ হাজার পাঁচশ’ মার্কিন ডলার জোগাড় করেছেন জোনস।
তহবিল জোগাড়ের পাতায় জোনস লিখেছেন, “মনে হচ্ছে আমার নতুন একটি কম্পিউটার এবং অনেক ভালো একজন আইনজীবী লাগবে।”
Comments
So empty here ... leave a comment!