ad720-90

উড়ন্ত গাড়ি আসছে বাজারে!


জার্মানির ভলোকপ্টার কোম্পানি তাদের ভলোসিটি মডেলের বিদ্যুতশক্তি চালিত উড়ন্ত ট্যাক্সিকে প্রথম বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য লাইসেন্স দিয়েছে।

সংস্থাটির পরিকল্পনা অনুযায়ী এই যান ভবিষ্যতে পাইলট ছাড়াই উড়তে পারবে। শুরুর দিকে ভলোসিটির পাইলটচালিত উড়ন্ত ট্যাক্সিতে বসতে পারবেন মাত্র একজন যাত্রী। ফলে এই রাইডের জন্য ভাড়া একটু বেশিই পড়বে। ভলোসিটি বাণিজ্যিকভাবে তাদের উড়ান শুরু করবে ২০২২ সালে।

কিন্তু তারা আশা করছে যাত্রীদের মধ্যে আস্থা তৈরি হলে তারা স্বয়ং-চালিত মডেল বের করবে, যেখানে চালকের প্রয়োজন হবে না। এই যান চলবে বিদ্যুতশক্তিতে, গাড়ির কোন ডানা থাকবে না। নয়টি ব্যাটারি থেকে সরবরাহ করা বিদ্যুতশক্তি দিয়ে গাড়ি চলবে।

বিমান ওঠানামার জন্য যেমন বিমানবন্দর বা এয়ারপোর্ট থাকে, এইসব উড়ন্ত ট্যাক্সি ওঠানামার জন্য বড় বড় শহরের বিভিন্ন জায়গায় বসানো হবে ভার্টিপোর্ট। এই ট্যাক্সি যেহেতু খাড়াভাবে (ভার্টিকালি) আকাশে উঠবে, তাই এই ওঠানামার বন্দরগুলোর নাম তারা দিতে চাইছেন ভার্টিপোর্ট।

উড়ন্ত গাড়িগুলো বাণিজ্যিক বিমানের চেয়ে আকারে অনেক ছোট। বেশির ভাগ নকশাই করা হয়েছে ডানার বদলে হেলিকপ্টারের মতো ঘূর্ণায়মান পাখা বা রোটার দিয়ে, যাতে গাড়িগুলো খাড়াভাবে আকাশে উঠতে বা নামতে পারে।

সবচেয়ে বড় কথা হলো এই উড়ন্ত গাড়িগুলোর নকশা তৈরি করা হয়েছে এমনভাবে, যাতে তারা দ্রুত এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে পারে, বিশেষ করে যানজটের শহরগুলোতে মানুষ যাতে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছতে পারে। তবে এই মুহূর্তে আকাশযানের বাজার কতটা আশাব্যঞ্জক, তা বলা মুশকিল। যদিও বেশ কয়েকটি নতুন প্রতিষ্ঠান পাল্লা দিয়ে বাণিজ্যিক আকাশযান, উড়ন্ত মোটরবাইক এবং ব্যক্তিগত উড়ন্ত ট্যাক্সি তৈরির কাজে নেমে পড়েছে। উদ্যোক্তাদের অর্থ সহায়তা দানকারী কিছু প্রতিষ্ঠান, পাশাপাশি গাড়ি ও বিমান সংস্থাগুলো এই সম্ভাবনাময় শিল্পে লগ্নি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাদের ধারণা ২০৪০ সাল নাগাদ এটা দেড় ট্রিলিয়ন ডলারের শিল্প হয়ে উঠতে পারে। এমনকি উবারের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোও চিন্তা-ভাবনা শুরু করে দিয়েছে যে উড়ন্ত ট্যাক্সি সেবায় তাদের ভূমিকা কী হবে। সূত্রঃ বিবিসি।

 





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar