ad720-90

হুয়াওয়ের নামে ‘নতুন বছরের উপহার’ আসলে ফাঁদ


হুয়াওয়ে জানিয়েছে, তাদের প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এরকম কোনো উপহার দেওয়া হচ্ছে না।

হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেইসবুকের মতো সামাজিক মাধ্যমে ভেসে বেড়াতে দেখা গেছে ওই স্ক্যামের লিংক। মানুষকে সহজে ফাঁদে ফেলতে হুয়াওয়ের লোগো ব্যবহার করেছে জালিয়াতরা। স্ক্যামের লিংকে ক্লিক করলেই অপরিচিত এক ওয়েবসাইটে চলে যাচ্ছেন ব্যবহারকারী। সেখানে তাদের দেখানো হচ্ছে লোভনীয় সব উপহার।

উপহার পেতে ‘গিফট বক্স’ খুলতে বলছে জালিয়াতরা। গিফট বক্স খোলার জন্য তিনটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হচ্ছে ব্যবহারকারীদের। প্রশ্ন তিনটি হলো – আপনি কী হুয়াওয়ের ব্যাপারে জানেন?, কোন সামাজিক মাধ্যমটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে থাকেন?, নতুন বছরের উপহার হিসেবে কোন হুয়াওয়ে পণ্যটি কিনতে চান?

উত্তর দেওয়ার পর ভুক্তভোগীদেরকে জানানো হচ্ছে, আপনি উপহার পাওয়ার যোগ্য। এর পরপরই দুটি খালি বাক্স ও একটি উপহারের বাক্স খুলছে। উপহার হাতে পেতে ব্যবহারকারীদেরকে প্রচারণাটি হোয়াটসঅ্যাপ, লাইন ও ফেইসবুকে পাঁচটি গ্রুপ, ২০ জন বন্ধুর সঙ্গে শেয়ার করতে বলা হচ্ছে। এ কাজের জন্য জালিয়াতরা সময় বেঁধে দিচ্ছে ছয়শ’ সেকেণ্ড। ধাপগুলো পার করে ‘কন্টিনিউ টু রিসিভ নিউ ইয়ার গিফটস’-এ ক্লিক করলেই ব্যক্তিগত তথ্য ও ডেটা বেহাত হচ্ছে।

অনলাইন থ্রেট অ্যালার্টসের ওয়েবসাইট বলছে, ‘যদি স্ক্যাম পেয়ে থাকেন, তাহলে এর নির্দেশনা অনুসরণ করবেন না।’

এর পাশাপাশি অনেকেই মোবাইল ফোনের হোয়াটসঅ্যাপ বা ফেইসবুক মেসেঞ্জারে আসা বার্তায় একই ধরনের ফাঁদের শিকার হয়েছেন। তারা মোবাইল ফোনে পাওয়া লিংকে ক্লিক করামাত্রই একই মেসেজ তাদের কন্ট্যাক্টস লিস্টে থাকা অন্যদের কাছে পাঠানো শুরু হয়েছে।

বাসাবোর বাসিন্দা নিলুফার নিলি বলেন, “আমি তো প্রথমে বুঝিনি, বিশ্বাস করে ক্লিক করেছি। এখন আমার ফোন থেকে অন্যদের কাছে ক্রমাগত এই লিংকের এসএমএস গিয়ে আমার প্রিপেইড ব্যালেন্স শেষ করে ফেলেছে।”

এই ফাঁদ থেকে বাঁচতে কী করবেন?

প্যান্ডা সিকিউরিটি বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে অনলাইন স্ক্যামের বিষয়ে। আসুন দেখে নেই সেগুলো-

প্রথমত: অপরিচিত কারো কাছ থেকে পাওয়া মেসেজ বা মেইলের কোনো লিংকেই ক্লিক করবেন না।

দ্বিতীয়ত: পরিচিত কারো কাছ থেকে এমন মেসেজ এলেও আগে খেয়াল করুন লিংকে অপরিচিত কোনো সাইটের ঠিকানা আছে কি না। অপরিচিত হলে আগে প্রেরকের সঙ্গে যোগাযোগ করে জেনে নিন তিনি নিজেই ওই মেসেজ পাঠিয়েছেন কি না।

তৃতীয়ত: অতীতে নাইকি, অ্যামাজন, এমিরেটস বা কাতার এয়ারওয়েজসহ বিভিন্ন সুপরিচিত ব্র্যান্ডের নাম ব্যবহার করে ফ্রি গিফট বা এয়ারলাইন টিকেট জেতার মেসেজ এলেও ইতিহাস বলছে এইসব প্রতিষ্ঠান কখনোই সামাজিক মাধ্যমে লিংক শেয়ারের মাধমে বিজয়ী নির্ধারণ করেনি। কাজেই মাথা থেকে ‘ফ্রি গিফটে’র আশায় পানি ঢেলে দিন।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar