ad720-90

সোলার উইন্ডস হ্যাকিং: রাশিয়াকেই দুষছেন মার্কিন গোয়েন্দারা


মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ওই সময়ে হ্যাকিংয়ের জন্য চীনকে দায়ী করলেও তার প্রশাসনের অনেকেই আঙুল তুলেছিলেন মস্কোর দিকে।

এক যৌথ বিবৃতিতে গোয়েন্দা সংস্থার টাস্ক ফোর্স জানিয়েছে, দশটির মতো সরকারি সংস্থা এবং আরও কয়েকটি বেসরকারি কাঠামো ওই সাইবার হামলায় ডেটা হারিয়েছে। সংস্থাগুলো আরও জানিয়েছে, হামলার উদ্দেশ্য জানার লক্ষ্যে এখনও তদন্ত চলছে। দেখে মনে হচ্ছে, তথ্য সংগ্রহ করাই মূল লক্ষ্য ছিল হ্যাকারদের।

বিবিসি এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, ডিসেম্বরের সাইবার হামলার ব্যাপারটি খতিয়ে দেখতে এফবিআই, এনএসএ এর মতো সংস্থার মিশেলে ‘সাইবার ইউনিফাইড কোঅর্ডিনেশন গ্রুপ’ নামে একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছিল। সাম্প্রতিক বিবৃতিটি ওই টাস্ক ফোর্সের পক্ষ থেকেই এসেছে।

সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সোলার উইন্ডসের ১৮ হাজার ‘অরিয়ন’ সেবাগ্রহীতা সাইবার হামলার কবলে পড়েছিলেন। কিন্তু গোয়েন্দা সংস্থার বিশ্বাস, ১৮ হাজার ভুক্তভোগীর স্বল্প সংখ্যকই ওই হামলার শিকার হয়েছে। সাইবার হামলার ভুক্তভোগীদের মধ্যে মার্কিন ট্রেজারারি-ও ছিল।

“এটি অনেক গুরুতর একটি আক্রমণ ছিল যার ক্ষতি সারিয়ে তুলতে টেকসই এবং নিবেদিত চেষ্টা প্রয়োজন।” –বিবৃতিতে বলেছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। আক্রমণের শিকার হয়েছে কি না তা জানতে অনেক সংস্থাকেই নিজ প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে হয়েছে।

পুরো ঘটনাটি মার্কিনীদের বিস্মিত করে দিয়েছে। কয়েক মাস পর্যন্ত হ্যাকিংয়ের ব্যাপারটি জানতেই পারেননি কেউ। হ্যাকিং গোপন রাখার এ প্রক্রিয়াটি রাশিয়ার পররাষ্ট্র গোয়েন্দা সংস্থা এসভিআর-এর হ্যাকারদের বৈশিষ্ট্য।

ঘটনা জানার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দোষ দিয়েছিলেন চীনকে। যদিও তার প্রশাসন থেকে আঙুল উঠেছিল মস্কোর দিকে। আর, এখন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও বলছে রাশিয়ার কথা। সরাসরি অবশ্য রাশিয়ার সরকারের কথা বলছে না তারাও। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ভাষ্যে, “রাশিয়া থেকে হয়ে থাকতে পারে” হামলাটি।

এরই মধ্যে জড়িতদের ব্যাপারে “অর্থবহ পদক্ষেপ” নেওয়ার কথা জানিয়েছেন নব নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে, তা কী হতে পারে, সেটি এখনও জানা যায়নি। মস্কো বরাবরের মতোই সাইবার হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে। 





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar