ad720-90

‘ঘুম’ দরকার হবে ভবিষ্যতের এআই-এর


সায়েন্টিফিক আমেরিকানের এক ব্লগ পোস্ট বলছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি যেভাবে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনছে, সেক্ষেত্রে এমন এক সময় আসতে পারে যখন টোস্টার, গাড়ি, ফ্রিজসহ এআই নির্ভর বিভিন্ন মেশিনের ঘুম দরকার হবে।

এমন পরিবর্তন তখনই আসবে যখন এআই ব্যবস্থা মস্তিষ্কের মতো হবে। বর্তমানে বিভিন্ন ডিভাইসের কম্পিউটার এবং মাইক্রোপ্রসেসর জটিল কাজগুলো করে থাকে। একসময় এতে এআইয়ের ব্যবহার এতোটা উন্নত হতে পারে যা মানব মস্তিষ্কের মতোই কাজ করতে পারবে।

মানব মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর মতো কোন ব্যবস্থাগুলো কাজ করে তা নিয়ে লস অ্যালামস ন্যাশনাল ল্যাবরেটরিতে গবেষণা চালাচ্ছেন একদল গবেষক।

গবেষক দলটি এমন এক নিউরাল নেটওয়ার্ক বানানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন, যা মানুষ এবং অন্যান্য জৈবিক ব্যবস্থা কীভাবে দেখতে পায়, সে বিষয়টি বুঝতে পারবে। এ ধরনের ব্যবস্থায় নেটওয়ার্কটিকে অনির্দিষ্ট নথির মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ফলে ব্যবস্থাটির কাছে আগের উদাহরণ থাকে না। সেক্ষেত্রে প্রচুর জটিল গণনার মধ্য দিয়ে যেতে হয় ব্যবস্থাটিকে।

এই গবেষণার সময় দলটি দেখতে পেয়েছে, অনেকক্ষণ শেখার পর ব্যবস্থাটি অস্থির হয়ে পড়ছে। পরে যখন ব্যবস্থাটিতে, ঘুমের সময় মস্তিষ্ক যে অবস্থায় থাকে নিউরাল ব্যবস্থায় ওই অবস্থার সিমুলেশন দেওয়ার পর এটি ফের কাজ করছে।

সব এআই নেটওয়ার্কে এই অস্থিরতা দেখা যায় না। জৈবিকভাবে বাস্তবসম্মত প্রসেসরের প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রেই কেবল এমনটা দেখা যায়। বেশিরভাগ মেশিন লার্নিং, ডিপ লার্নিং এবং এআই গবেষণায় এমনটা দেখা যায় না, কারণ এতে জীবন্ত নিউরনের মতো গাণিতিক কার্যক্রম চালাতে হয় না।

গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, কৃত্রিম এবং জৈব বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থা উভয় ব্যবস্থাতেই ঘুম স্থিরতা নিয়ে আসছে।

নিউরাল নেটওয়ার্কে কৃত্রিম ঘুমের আর কী সুবিধা হতে পারে, সে বিষয়টি নিয়েও গবেষণা চালাচ্ছে দলটি। এতে দেখা গেছে, সিমুলেশন শুরু করার পর অনেকগুলো নিউরন একেবারেই কাজ করছে না। এই নিউরনগুলোকে কৃত্রিমভাবে ঘুম পাড়ানোর পর এগুলো পুনরায় কাজ করেছে।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar