ad720-90

‘অল সিভিলিয়ান’ স্পেসএক্স মিশনে দ্বিতীয় যাত্রী হেইলি আর্সেনৌ


দীর্ঘদিনের রেওয়াজ অনুসারে মার্কিন মহাকাশ অভিযানে সধারণত সমরিক বাহিনীর সদস্যরাই থাকেন। এর বাইরে প্রয়োজন অনুসারে যুক্ত হন বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী বা চিকিৎসকরা। একই রেওয়াজ পালন করে রাশিয়া, চীনসহ অন্যান্য দেশও।

নাসার প্রথম ৩৩০জন নভোচারীর মধ্যে দুই শতাধিকই ছিলেন সামরিক বাহিনীর সদস্য। কোনো নভোযানে সব অসামরিক যাত্রী বহন করার ঘটনা ঘটেনি এখন পর্যন্ত। সেই রেওয়াজই ভাঙতে যাচ্ছে স্পেসএক্স।

এ বছরের শেষ নাগাদ এক অভিযানে সব অসামরিক নভোচারী যাবেন এক মহাকাশ অভিযানে। সেই যাত্রী তালিকার দ্বিতীয় নামটি হেইলি আর্সেনৌ।

প্রযুক্তি সাইট ভার্জের প্রতিবেদন বলছে, মার্কিন মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স-এর ‘ইনস্পিরেশন ৪’ অভিযানের অংশ হিসেবে ক্রু ড্রাগন ক্যাপসিউলে করে পাঁচ দিন পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরবেন আর্সেনৌ।

এই “অভিযানের চার স্তম্ভ নেতৃত্ব, প্রত্যাশা, উদারতা এবং উন্নয়নের” ওপর ভিত্তি করে বাছাই করা হচ্ছে ক্রু সদস্য। এখানে আর্সেনৌ ‘প্রত্যাশার’ ভূমিকায় বাছাই হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্পেসএক্স।

১০ বছর বয়সে হাড়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন আর্সেনৌ। চিকিৎসার জন্য তার পায়ের কিছু হাড় টাইটেনিয়াম দিয়ে বদলানো হয়েছে। সেইন্ট জুডে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। বর্তমানে ওই একই হাসপাতালে লিম্ফোমা এবং লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসায় কাজ করছেন তিনি।

আসন্ন এই অভিযানের মাধ্যমে কৃত্রিম অঙ্গ নিয়ে মহাকাশে পাড়ি জমানো প্রথম ব্যক্তি হবেন আর্সেনৌ।

সব ঠিকঠাক এগোলে অভিযানটি পরিচালিত হবে চলতি বছরের শেষ নাগাদ। সেসময় আর্সেনৌের বয়স হবে ২৯। এতে সবচেয়ে কম বয়সে মহাকাশে যাওয়া মার্কিন নাগরিকও হতে পারেন তিনি।

যদিও, সবচেয়ে কম বয়সে মহাকাশে পাড়ি জমানো ব্যক্তির তকমা থাকছে গার্মান তিতভের দখলেই। ২৫ বছর বয়সেই পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরে এসেছেন এই রাশিয়ান নভোচারী।

ক্রু সদস্য বাছাইয়ের এই প্রক্রিয়ায় সেইন্ট জুডের জন্য তহবিল জোগাড়ের ব্যবস্থাও রয়েছে। সংস্থাটিতে অনুদান দিলে অভিযানের তৃতীয় সদস্য হওয়ার সুযোগ থাকছে।

অভিযানের চতুর্থ সদস্য বাছাই করা হবে একটি প্রতিযোগিতার মাধ্যমে। এই প্রতিযোগিতার তহবিল দিচ্ছেন অভিযানের কমান্ডার জেরার্ড আইজ্যাকম্যান।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar