ad720-90

অডিও ক্যাসেট টেপ উদ্ভাবকের জীবনাবসান


মানুষের গান শোনার অভ্যাস বদলে দিয়েছিলো লু ওটেনসের উদ্ভাবন। ডিজিটাল যুগে এসেও মানুষ ক্যাসেট টেপ খুঁজে ফিরেছে। সাম্প্রতিক বছরে ফের চাহিদা দেখা দিয়েছে ক্যাসেট টেপের।

বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত সপ্তাহে নিজ অঞ্চল ডুইজেলে মারা যান এ প্রকৌশলী। মঙ্গলবার এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে জানায় তার পরিবার।

ওটেনস ১৯৬০ সালে ফিলিপসের পণ্য উন্নয়ন বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন। সেখানে তিনি ও তার দল ক্যাসেট টেপ তৈরি করেন। ১৯৬৩ সালে বার্লিন রেডিও ইলেকট্রনিক্স মেলায় তা দেখনো হয়। এরপর গোটা বিশ্বে সফলতা অর্জন করে অডিও ক্যাসেট টেপ।

ক্যাসেট উদ্ভাবনের পরপরই অনেক জাপানি প্রতিষ্ঠান অডিও টেপ বাজারে নিয়ে আসতে শুরু করে। কিন্তু আকার ঠিক ছিল না সেগুলোর। ক্যাসেট ভেদে আকার ভিন্ন হতো। পরে নিজ মডেলের ক্যাসেটটিকে পেটেন্ট করাতে ফিলিপস এবং সনির সঙ্গে চুক্তি করেন ওটেনস।

ক্যাসেট তৈরির ৫০ বছর পূর্তিতে ওটেনস টাইম ম্যাগাজিনকে জানান, প্রথম দিনটি থেকে “সাড়া” ফেলতে পেরেছিলো ক্যাসেট।

শুধু ক্যাসেট নয়, কমপ্যাক্ট ডিস্ক বা সিডি তৈরিতেও জড়িত ছিলেন ওটেনস। এখন পর্যন্ত গোটা বিশ্বে ২০ হাজার কোটিরও বেশি সিডি বিক্রি হয়েছে। ১৯৮২ সালে ফিলিপস যখন সিডি প্লেয়ার দেখায়, তখন ওটেনস বলেছিলেন, “এখন থেকে গতানুগিতক রেকর্ড প্লেয়ার বাতিলের খাতায় নাম লেখালো।”

সিডি প্লেয়ার দেখানোর ঠিক চার বছর পর অবসরে যান ওটেনস। নিজ কর্মজীবনের মাত্র একটি ব্যাপার নিয়েই আক্ষেপ কাজ করতো তার। সে আক্ষেপটি হলো, “আইকনিক ক্যাসেট প্লেয়ার সনি তৈরি করেছে, ফিলিপস নয়।”

সাম্প্রতিক বছরে আবার হুট করে বেড়েছে ক্যাসেট টেপের চাহিদা। মার্কিন পপ তারকা লেডি গাগা ও দ্য কিলারসের মতো শিল্পীরা ক্যাসেটে গান প্রকাশ করেছেন।

যুক্তরাজ্যের অফিশিয়াল চার্টস কোম্পানির দেওয়া তথ্য অনুসারে, গত বছরের প্রথমার্ধে ২০১৯ সালের তুলনায় ক্যাসেট বিক্রি বেড়েছিল ১০৩ শতাংশ।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar