‘অ্যামাজনে বাথরুমে যেতেই বিরতির পুরো সময় চলে যায়’
“অ্যামাজন খুব বড় মুখ করে বলে যে প্রতিষ্ঠানটি শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরির চেয়েও বেশি বেতন দেয়। কিন্তু তারা যেটা বলে না তা হলো সেই চাকরিগুলি আসলে কেমন”, জেনিফার বেটস বলেন সিনেট কমিটির সামনে।
“আমাদের তীব্র গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হয়। আমার কাজের দিনটি মনে হয় যেন আসলে নয় ঘণ্টার ভয়াবহ শারীরিক কসরত। এবং তারা আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ ট্র্যাক করে – যদি আপনার কম্পিউটার স্ক্যানার কাজ না করে তাহলেও আপনাকে কাজে ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হবে। বেটস, যিনি নিজে নতুন অ্যামাজন কর্মীদের প্রশিক্ষক, তিনিই এই ইউনিয়ন গঠনের পেছনে সোচ্চার সংগঠক ছিলেন।
“শুরু থেকেই আমি জেনেছি যে, আমি যদি ধীরে কাজ করি বা বেশি সময় ধরে কাজ করে থাকি তবে আমি শৃঙ্খলা বিষয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে পারি বা আমার চাকরিও চলে যেতে পারে।”
বেটসকে সিনেটে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স। “আমেরিকাতে আয় এবং সম্পদ বৈষম্য সংকট” নিয়ে আলোচনায় তাকে ডেকেছিলেন সিনেটর। অ্যামাজনের বিদায়ী সিইও জেফ বেজোসও একই আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন তবে তিনি সেটি ফিরিয়ে দেন। বরং গত সপ্তাহে একটি বিবৃতিতে অ্যামাজনের একজন মুখপাত্র বলেছেন, “সিনেটর স্যান্ডার্সের উদ্যোগকে আমরা পুরোপুরি সমর্থন করি। এমনকি তিনি যে ঘণ্টায় ১৫ ডলার মজুরির কথা বলছেন, আমরা সেই ২০১৮ সাল থেকেই অ্যামাজনে সেটি প্রবর্তন করেছি।”
“আমরা মিজ বেটস সহ সকল কর্মচারীর মতামতকেই গুরুত্বের সঙ্গে নেই, তবে আমরা বিশ্বাস করি না তিনি যা বলেছেন, শতকরা ৯০ ভাগ সহকর্মীও একই কথা বলবেন, যারা অ্যামাজনকে চমৎকার কাজের জায়গা হিসেবে বর্ণনা করেন।”
“অ্যামাজন কর্মীরা প্রতি ঘণ্টায় অন্তত ১৫ ডলার মজুরির পাশাপাশি ব্যাপক স্বাস্থ্যসেবা এবং প্রদত্ত ছুটির সুবিধা পান।”
অ্যামাজন বেসেমার ইউনিয়ন নির্বাচন ৮ ফেব্রুয়ারি মেইলে শুরু হয়ে ২৯ শে মার্চ পর্যন্ত চলবে এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং স্টেসি আব্রামস সহ জাতীয় পর্যায়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। অ্যামাজন কর্মীদের ইউনিয়ন করার দাবির মুখে এই মাসের শুরুতেই মার্কিন কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল অ্যামাজনের এই ইউনিটটি পরিদর্শন করে।
ইউনিয়ন গঠনের এই উদ্যোগ সফল হলে অ্যামাজনের ২৭ বছরের ইতিহাসে প্রথম শ্রমিক ইউনিয়ন হয়ে উঠবে।
বেটস ১০ ঘণ্টার শিফটের বর্ণনা দিয়ে বলেন, আধা ঘণ্টা দীর্ঘ দুটি বিরতি কর্মীদের বিশ্রাম দেওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়।
“কেবল বাথরুমে যেতে হলেও এতো দীর্ঘ পথ হেঁটে পেরোতে হয় যে যাওয়া আসায় বিরতির প্রায় পুরো সময় চলে যায়।”
Comments
So empty here ... leave a comment!