ad720-90

অ্যান্টিট্রাস্ট মামলা খারিজে আবদার ফেইসবুকের


ফেইসবুকের ওই আবেদনের পরপরই মার্কিন ফেডারেল ট্রেড কমিশন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনেকগুলো অঙ্গরাজ্য মিলে বুধবার সংশ্লিষ্ট আদালতে দাবি করেছে ওই অনুরোধ অগ্রাহ্য করতে।

আদালতে এফটিসি বলেছে যে, ফেসবুক ফটো শেয়ারিং অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টাগ্রামকে কিনেছিল কারণ, প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ বিশ্বাস করতেন যে এটি “বড় প্রতিযোগী যাকে অগ্রাহ্য করার উপায় নেই”। আর, মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপকে কেনা হয়েছিল স্রেফ একটি নতুন হুমকিকে সরিয়ে দিতে। প্রতিবেদনে রয়টার্স বলেছে, এফটিসি চাইছে আদালত যেন ফেসবুককে প্রতিষ্ঠান দুটি বিক্রি করার নির্দেশ দেয়।

ফেসবুকের বিরুদ্ধে পৃথক অ্যান্টিট্রাস্ট মামলা দায়ের করেছিল অঙ্গরাজ্যগুলি। তাদের অভিযোগের ভাষা হচ্ছে, ফেইসবুকের আচরণ ছিল “শিকারীসুলভ আক্রমণাত্মক, যার মূল মন্ত্র ছিল ‘কিনে ফেল নয়তো কবর দাও’। এই অধিগ্রহনের মাধ্যমে ফেইসবুক সম্ভাব্য প্রতিযোগীকে চিড়েচ্যাপ্টা, দমন এবং প্রতিযোগিতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পথ বেছে নিয়েছে এবং একচেটিয়া ক্ষমতা নিশ্চিত করেছে, যে কর্তৃত্ব তারা আজও ধরে রেখেছে।”

ফেইসবুক অবশ্য আদালতে বলেছে যে, “অবিরাম সমালোচনার মাধ্যমে তৈরি এক উদ্বেগময় পরিবেশে মামলাগুলো আদালতে তোলা হয়েছে এবং যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা অ্যান্টিট্রাস্টের সঙ্গে যায় না।”

“অঙ্গরাজ্যগুলি এটাও দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে যে, ফেইসবুকের ওই কার্যক্রমে তাদের সত্যি সত্যি ক্ষতি হয়েছিল আর অভিযোগ করতে তারা অবিশ্বাস্যরকম দেরি করেছে।”

অন্যদিকে এফটিসি এবং অঙ্গরাজ্যগুলির অভিযোগ হলো, ফেইসবুক ছোট প্রতিযোগীদের দূরে রাখতে অ্যান্টিট্রাস্ট আইন ভেঙেছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় প্রতিষ্ঠানটি ২০১২ সালে এক বিলিয়ন ডলারে ইনস্টাগ্রাম এবং ২০১৪ সালে  ১৯ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে হোয়াটসঅ্যাপ কেনার বিষয়টি।

গত বছরই মার্কিন ফেডারেল সরকার এবং অঙ্গরাজ্যগুলো ফেইসবুক এবং গুগলের বিরুদ্ধে অ্যান্টিট্রাস্ট অভিযোগে পাঁচটি মামলা করেছে যেখানে দুটি রাজনৈতিক দলের জনপ্রতিনিধিরাই এক সুরে কথা বলেছেন যে প্রতিষ্ঠানদুটি নির্লজ্জভবে বাজারে একচেটিয়া প্রভাব বজায় রেখেছে।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar