কণ্ঠস্বর চুরি: আদালতে টিকটকের বিরুদ্ধে স্বরশিল্পী
সেবাটি কোনো লেখাকে মুখে উচ্চারিত কথায় রূপান্তর করে। ওই রূপান্তরিত অডিও ফাইলেই ব্যবহৃত হয়েছে বেভ স্ট্যান্ডিং নামের কানাডীয় স্বরশিল্পীর কণ্ঠ।
‘চাইনিজ ইনস্টিটিউট অফ অ্যাক্যুস্টিকস’ নামের সরকারী এক প্রতিষ্ঠানের জন্য মিজ স্ট্যান্ডিং প্রায় ১০ হাজার বাক্য রেকর্ড করেছিলেন ২০১৮ সালে। আদালতে করা অভিযাগের দাবি হচ্ছে, টিকটকের ওই সেবায় মিজ স্ট্যান্ডিংয়ের কণ্ঠ ব্যবহুত হচ্ছে অকথ্য ভাষায় যা তার জন্য অপূরণীয় ক্ষতির কারণ হচ্ছে।
ক্ষতিপূরণ চান তিনি
অন্টারিও, কানাডার অধিবাসী মিজ স্ট্যান্ডিং বিবিসিকে বলেন, ওই রেকর্ড করা কণ্ঠ অন্য কোথাও ব্যবহার করা বা বিক্রি করার জন্য তিনি কাউকে অনুমতি দেননি।
তিনি বলেন, “আমার কণ্ঠই আমার পণ্য, এটাই আমার আয় রোজগার।”
“যেখান থেকে আমার উপার্জন আসে, আপনি অবলীলায় সেটি ব্যবহার করে ফেলতে পারেন না। কারো কণ্ঠ যদি আপনার ব্যবহার করতেই হয়, সেজন্য আপনার পারিশ্রমিক দেওয়া উচিৎ।”
নিজে টিকটক ব্যবহার না করলেও বন্ধু, সহকর্মী, পরিচিত লোকজন তাকে টিকটক লিংক পাঠিয়েছেন যেখানে তার কণ্ঠ শোনা গেছে। তিনি আক্রান্ত বোধ করেছেন।
“যখন টের পেলাম যে আমার কণ্ঠ ব্যবহার করে যা খুশি তাই বলিয়ে নেওয়া সম্ভব আমি অসম্ভব মন খারাপ করেছি।” তিনি বলেন, অনেক কথাই তার কণ্ঠ ব্যবহার করে বলানো হয়েছে যা ওই ব্র্যান্ডের বিপক্ষে যায়।
“আমার এখন চিন্তা এটা না আমার আয় রোজগারে খারাপ প্রভাব ফেলে। ক্লায়েন্টরা আমাকে আর কাজে না-ও নিতে পারে কারণ এই কণ্ঠ এখন সুপরিচিত হয়ে গেছে।”
আক্রান্ত সাধারণ মানুষও
মিজ স্ট্যিন্ডিংয়ের আইনজীবী রবার্ট সিগ্লিমগ্যাগলিয়া বলছেন, এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে যে কারো কণ্ঠ বসিয়ে যা খুশি তাই বলিয়ে নেওয়া যায়।
“এটা যে কেবল সেলিব্রিটি বা তারকাদের জন্য হুমকি তা নায়। তারকাদের জন্য হুমকি তো বটেই, তাদের আয় রোজগার এর উপরই নির্ভর করে। কিন্তু, এটা সাধারণ মানুষের দুষ্চিন্তার বিষয়ও।”
নিউ ইয়র্কে দায়ের করা মামলাটি নিয়ে টিকটক বা এর মালিক প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্স এ আইনী পদক্ষেপ নিয়ে কোনো সাড়া দেয়নি।
Comments
So empty here ... leave a comment!