ad720-90

চীনা ব্যবহারকারীদের ডেটা চীনেই রাখছে অ্যাপল


তবে, অ্যাপল একইসঙ্গে বলেছে, প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহক বা তাদের ডেটার “সুরক্ষা প্রশ্নে কখনও আপোস করেনি”। চীনা নাগরিকদের ডেটা স্টোরেজ সম্পর্কে অ্যাপল চীনা আইন মেনে চলার বিষয়টিকে কারণ হিসেবে দেখিয়েছে।

তবে একজন বিশেষজ্ঞ বিবিসিকে বলেছেন, অ্যাপল এর মাধ্যমে আসলে চীনা সরকারের হাতে “চাবি তুলে দিয়েছে”। চীনের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে নাগরিকদের ট্র্যাক করার এবং গণ নজরদারির উদ্দেশ্যে প্রযুক্তি ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে।

ওবামা প্রশাসনের সাবেক এক কর্মকর্তা এবং নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর বিজনেস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের পরিচালক অধ্যাপক মাইকেল পসনার বলেন, “আমি যদি চীনা সরকারের সমালোচনা করতাম তবে আমি অনেক দিন আগেই অ্যাপল পণ্য ব্যবহারে অস্বস্তিবোধ করতাম।”

“অ্যাপল পণ্য ব্যবহার করে আমি ক্লাউডে যা কিছু রাখছি তাতে আমার কোনো আস্থা থাকতো না।”

তিনি আরও বলেন, দেশের অভ্যন্তরে সার্ভারে এনক্রিপ্ট করা ডেটা হাউজিং করে অ্যাপল আসলে “চীনা নিয়ম মেনে খেলছে”।

অ্যাপল বলেছে, যে যে দেশে তার উপস্থিতি রয়েছে, প্রতিটি দেশেই অ্যাপল স্থানীয় আইন মেনে চলে।

এক বিবৃতিতে অ্যাপল বলেছে, “আমরা ব্যবহারকারীদের ডেটার এনক্রিপশন কি’র নিয়ন্ত্রণ নিজের কাছে রাখি এবং এবং সেই কীগুলি রক্ষা করার জন্য প্রতিটি নতুন ডেটা সেন্টার আমরা অ্যাপলের সবচেয়ে অত্যাধুনিক হার্ডওয়্যার এবং নিরাপত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করি।”

“শুধু তাই নয়, আমরা চীনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অনুরোধের জবাব উপযুক্ত আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেই যেমনটা আমরা অন্য সব জায়গায় করি। এবং যখন আমরা ব্যবহারকারীর তথ্য সরবরাহ করতে বাধ্য হই তখন আমরা নিয়মিত এবং স্বচ্ছভাবে ওই বিষয়গুলো প্রকাশ করি।”

গত ডিসেম্বরে অ্যাপল চীনা কর্তৃপক্ষের ঠিক করে দেওয়া সময়সীমা মেনে চায়না অ্যাপ স্টোর থেকে প্রায় ৪৬ হাজার অ্যাপ্লিকেশন অপসারণ করে। ওই অ্যাপগুলোর বেশিরভাগই ছিল গেইম, যেগুলোর জন্য চীনা আইন অনুসারে আলাদা অনুমতির প্রয়োজন ছিল।

এর আগে ২০১৯ সালে গুগল চীনে তার সার্চ ইঞ্জিনের একটি সেন্সর করা সংস্করণের প্রকল্প নিজেদের কর্মীদের সমালোচনার মুখে বাদ দেয়।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar