ad720-90

‘বন্ধুর’ পাঠানো মেসেজেও বেহাত হতে পারে হোয়াটসঅ্যাপ


এই চালাকি বছরের পর বছর ধরেই চলছে। ভুক্তভোগীদের অনেকেই তাদের গল্প সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন বলে প্রতিবেদনে বলেছে বিবিসি।

হোয়াটস অ্যাপ বরাবরই বলছে, ব্যবহারকারীদের কখনই তাদের নিরাপত্তা কোড কারও সঙ্গে শেয়ার করা উচিত নয়, এমনকি যদি তারা বন্ধুও হয়।

একজন ভুক্তভোগী বলেছিলেন যে তিনি “এতো সহজে” এই কেলেঙ্কারীতে পড়ে বোকা বনে গিয়েছেন। তিনি এখন বিব্রত বোধ করছেন।

আপনার কী দেখা উচিত?

আপনি যদি ছয় সংখ্যার হোয়াটসঅ্যাপ কোড সহ একটি এসএমএস বার্তা পান যেটি আসলে আপনার কাছে আসার কথা নয়, তবে সম্ভবত আপনি স্ক্যামের লক্ষ্য হয়েছেন।

সাধারণত নতুন অ্যাকাউন্ট সেট আপ করার সময় বা নতুন ডিভাইসে আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন করার সময় আপনার এই কোডের দরকার হয়।

এখন, আপনি যদি এমন কোনো কোড না চেয়ে থাকেন তবে সম্ভবত কোনো স্ক্যামার আপনার অ্যাকাউন্টে লগ ইন করার চেষ্টা করছে। পরবর্তী ধাপে, স্ক্যামার আপনাকে ছয় সংখ্যার কোড চেয়ে একটি হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা পাঠাবে।

সমস্যা হচ্ছে, এটি আপনার খুব কাছের কোনো বন্ধুর কাছ থেকেও আসতে পারে। কারণ, সম্ভবত সেই অ্যাকাউন্টটিও ইতোমধ্যেই হাইজ্যাক করা হয়ে গেছে।

চার্লি নামে একজন ভুক্তভোগী বিবিসিকে বলেন, “আমি আমার কাছের বন্ধু মিশেলের কাছ থেকে একটি হোয়াটস অ্যাপ বার্তা পেয়েছি। সেখানে লেখা ছিল যে তার অ্যাকাউন্ট ‘লকড’ হয়ে গিয়েছে।”

“তিনি বলেছিলেন যে, তিনি ভুল করে তার নাম্বারের বদলে আমার ফোনে অ্যাক্সেস কোডটি পাঠিয়েছিলেন। এখন আমি কেবল একটি স্ক্রিনশট নিয়ে তাকে পাঠালেই সে তার অ্যাকাউন্টে য়ুকতে পারে।”

বাস্তবে, চার্লি তার নিজের অ্যাকাউন্টের জন্য অ্যাক্সেস কোড স্ক্যামারের কাছে পাঠিয়েছেন।

তিনি বিবিসিকে বলেন, “আমার মনে হয়, আমি ওই ফাঁদে পড়েছি, কারণ, আমরা সবাই জানি এমন পরিস্থিতি কতোটা হতাশাজনক হতে পারে এবং আমি সাহায্য করতে চেয়েছিলাম।”

“কী ঘটেছে তা বুঝতে আমার একদিন সময় লেগেছিল।”

চার্লি বলেন, তিনি হোয়াটসঅ্যাপ মুছে দিয়েছেন এবং এটি আর ব্যবহার করবেন না।

স্ক্যামাররা চুরি করা অ্যাকাউন্টগুলি নিয়ে কী করে?

চুরি করা অ্যাকাউন্ট দিয়ে হাইজ্যাকার আপনার বন্ধু এবং পরিবারকে আপনি সেজে মেসেজ পাঠাতে পারে।

তারা ভান করতে পারে যে, আপনার কোনও সংকট হচ্ছে এবং আপনার পরিচিতিদের কাছে অর্থ চাইতে পারে।

এর মাধ্যমে আপনার পরিচিতিদের ফোন নম্বরও তারা পেতে পারে এবং সে নাম্বার নিয়ে নতুন ভুক্তভোগীদের কাছ থেকেও একই ভাবে তাদের অ্যাকাউন্টও ছিনতাই করতে পারে।

আপনি কীভাবে নিজেকে রক্ষা করতে পারেন?

এক বিবৃতিতে হোয়াটসঅ্যাপ বলেছে: “আমাদের ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা এবং তাদের মেসেজ আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে নিয়মিত এসএমএস বা ফোন কলের মতো, অন্যান্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের পক্ষেও আপনার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব।”

আপনার কী করা বা না করা উচিত:

কাউকে পাসওয়ার্ড বা এসএমএস সিকিউরিটি কোড দেবেন না – এমনকি বন্ধু বা পরিবারও নয়।

সুরক্ষার জন্য দুই ধাপ যাচাইকরণ চালু করুন।

আপনার কাছে অর্থ চেয়ে যদি কোনও মেসেজ পান তবে সতর্ক হোন। সন্দেহ হলে যাচাই করতে বন্ধু বা পরিবারের সদস্যকে কল করুন।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar