ad720-90

গ্রাহক তথ্যের মালিকানা প্রশ্নে রায় লিংকডইনের পক্ষে


এই রায়ের ফলে লিংকডইন সাইটে ব্যবহারকারীদের প্রোফাইল থেকে প্রকাশ্য তথ্য ঢালাওভাবে সংগ্রহ করার সুযোগ হারাবে প্রতিদ্বন্দ্বী সেবা হাইকিউ। লিংকডইনের বক্তব্য হচ্ছে, এইভাবে ডেটা সংগ্রহ গ্রাহক গোপনতার জন্য হুমকি।

মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারকরা নিম্ন আদালতের দেওয়া আগের রায়ের বিপরীতে এই সিদ্ধান্ত টানলেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে রয়টার্স, যেখানে বলা হয়েছিল- গ্রাহক যদি তার নিজের তথ্য উন্মুক্ত রাখেন, তবে সেখান থেকে সেই তথ্য নেওয়া “বৈধ”।

এই রায়ের মূলে রয়েছে ‘কম্পিউটার ফ্রড অ্যান্ড অ্যাবিউজ অ্যাক্ট’ নামে একটি আইন। ওই আইনের মাধ্যমে যে সীমারেখা টেনে দেওয়া হয়েছে সোজা ভাষায় তা হলো- অনুমতি ছাড়া অন্য কারো কম্পিউটারের নাগাল (এক্সেস) পাওয়ার চেষ্টা অবৈধ। এই আইন প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে ব্যবহার করা যাবে কি না সেইটিই ছিল এই মামলার মূল বিবেচ্য। যদি প্রতিষ্ঠানগুলো এই আইনের সুবিধা নিতে পারে, তবে একটি প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে রাখা তথ্য যতোই উন্মুক্ত হোক না কেন, অনুমতি ছাড়া অন্য প্রতিষ্ঠান তা নিতে পারবে না।

সুপ্রিম কোর্টের বিচারকরা তাদের সিদ্ধান্ত পাঠিয়ে দিয়েছেন স্যান ফ্রন্সিসকোর ৯ম মার্কিন সার্কিট কোর্ট অফ আপিলে। তারা গত ৪ জুনের একটি রায়ের আলোকে বলছেন, এই ধরনের কর্মকাণ্ড উল্লিখিত ওই একই আইনের আওতায় আপরাধমূলক বলে গণ্য হয়।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, লিংকডইনের এই মামলা, ইন্টারনেটে রাখা ব্যক্তিগত তথ্য, ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানগুলো সেই তথ্য ব্যবহার করতে পারবে কি না, করলে কোন স্বার্থে এবং ব্যক্তিগত তথ্য কার নিয়ন্ত্রণে থাকবে, ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠা এই প্রশ্নগুলোকে সামনে নিয়ে এসেছে।

এর আগে ২০১৭ সালে প্রায় ৭৫ কোটি ব্যবহারকারীর সাইট লিংকডইন হাইকিউকে বারণ করেছিল সাইটে উন্মুক্ত অবস্থায় থাকা তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংগ্রহ করার প্রশ্নে। সেটি মার্কিন অ্যান্টি হ্যাকিং আইনের পরিপন্থি বলেও তখন সতর্ক করেছিল মাইক্রোসফট মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটি।

সংগৃহীত ডেটা হাইকিউ তাদের বিভিন্ন পণ্যে ব্যবহার করে। এর মধ্যে রয়েছে পেশাদার কর্মীদের দক্ষতা বিশ্লেষণ বা কোনো কর্মী অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার চেষ্টা করছেন কি না, সেটি বর্তমান প্রতিষ্ঠানকে জানানোর জন্য।

২০১৯ সালে ৯ম মার্কিন সার্কিট কোর্ট অফ আপিল রায়ে বলেছিল, লিংকডইন চাইলেই হাইকিউয়ের তথ্য সংগ্রহ বন্ধ করার কথা বলতে পারে না। সার্কিট কোর্টের রায় অনুসারে, ‘কম্পিউটার ফ্রড অ্যান্ড অ্যাবিউজ অ্যাক্ট’ এই পরিস্থিতিতে প্রয়োগযোগ্য নয়। কারণ, যে তথ্যের কথা লিংকডইন বলছে, সেই তথ্য পাওয়ার জন্য কোনো অনুমতির প্রয়োজন পড়ে না।

সুপ্রিম কোর্টের যুক্তিতর্কে লিংকইন বলে, হাইকিউ ‘বটে’র মাধ্যমে ব্যপক পরিসরে তথ্য সংগ্রহ করে, এবং সেটি কোনো ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহের ব্যপ্তির সঙ্গে তুলনাযোগ্য নয়। এইভাবে সংগ্রহীত তথ্য একত্র করে বিক্রির জন্য অনলাইনে তোলা হয়েছে বলেও আদালতে দাবি করেছে লিংকডইন।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar