ad720-90

Google Search কিভাবে কাজ করে…..? How Google Search Works



আপনার মনের মধ্যে একটা প্রশ্ন এলো বিরিয়ানি কি করে তৈরি করতে হয়। আর এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য আপনি সবার প্রথম চলে গেলেন গুগলে। যেখানে লক্ষ লক্ষ ওয়েবসাইট আছে এবং হাজারো প্রসেস আছে কিভাবে বিরিয়ানি তৈরি করতে হয়। যদিও আপনি এটা আপনার মাকে জিজ্ঞেস করতে পারতেন। কিন্তু না আপনি গুগল কে বেশি ভরসা করলেন।

কারণ আপনি জানেন গুগল সমস্ত প্রশ্নের উত্তর জানেন কিন্তু কিভাবে গুগল সমস্ত প্রশ্নের উত্তর জেনে যায়। google.com নিজেও একটা ওয়েবসাইট তা সত্ত্বেও এর মধ্যে আমরা সমস্ত ওয়েবসাইটের ইনফর্মেশন খুব ইজিলি পেয়ে যায়।তাই একবারও কি আপনার মনে হয় না যে এই গুগল কিভাবে কাজ করে..?

কিভাবে এই গুগল সমস্ত ওয়েবসাইটের ইনফর্মেশন একত্রিত করে এবং তাদের বিভিন্ন রেংক দিয়ে পেজের পর পেজ হিসেবে সাজিয়ে রাখে যাতে আপনার সুবিধা হয়। তো চলুন আজকের আর্টিকেলে আমরা জেনে নিই গুগল কিভাবে কাজ করে। গুগল নিজের একটা ওয়েবসাইট কিন্তু আপনার যদি কোন ওয়েবসাইট কে সার্চ করতে হয় তাহলে আপনি গুগলে গিয়ে সার্চ করেন তবে একটা জিনিস আপনাকে মাথায় রাখতে হবে যে,সমস্ত ওয়েবসাইটের ইনফর্মেশন কিন্তু গুগলের কাছে থাকেনা।

ধরুন যদি আজকে আমি একটা ওয়েবসাইট বানাই তবে সেই ওয়েবসাইট থেকে কিন্তু গুগলের মধ্যে আসতে প্রায় তিন দিন থেকে এক সপ্তাহের মত সময় লেগে যেতে পারে। কারন গুগল নিজের অ্যালগরিদম রান করবে এবং পৃথিবীতে যত ওয়েবসাইট আছে সেগুলোতে ভিজিট করতে থাকবে এবং তার ডেটা কালেক্ট করতে থাকবে। এবং এই প্রক্রিয়ার জন্য তার একটু সময় লেগে যেতে পারে।

এই কারণে নতুন ওয়েবসাইট গুগলের রেংকিংয়ে আসতে মোটামুটি তিন থেকে পাঁচ দিন বা এক সপ্তাহের মত সময় লেগে যেতে পারে এবার যখন আমরা কোনো কিছু গুগলের সার্চ করব তখন গুগোল যে সমস্ত ওয়েবসাইটগুলোকে দেখে রেখেছে এবং সেই ওয়েবসাইটগুলোর ডেটাকে এক জায়গায় স্টোর করে রেখেছে এবং সেই ওয়েবসাইটগুলোকে যে ইন্ডেক্স এসে সাজিয়ে রেখেছে সেই ওয়েবসাইটগুলোর আমরা দেখতে পাব।

তুমি গুগোল তো কোন ভগবান নয় যে প্রত্যেক দিন রিয়েল-টাইমে পৃথিবীতে যে সমস্ত ওয়েবসাইটগুলো কন্টিনুওসলি তৈরি হচ্ছে তাদের সমস্ত ডাটা ইন্সট্যান্টলি দেখাতে পারে।এভার তাহলে প্রশ্ন হল যে গুগলের কাছে যে আলাদা ওয়েবসাইট লিস্ট আছে এগুলো কিভাবে তৈরি করে।মানে এই লিস্টটা কিভাবে তৈরি করে।

কারণ গুগলের কাছে এরকম তো কোনো অলৌকিক শক্তি নেই যে যে ওয়েবসাইট তৈরি হবে তাদের ডেটাগুলো অটোমেটিক্যালি গুগলের কাছে চলে আসবে এই কাজের জন্য গুগল একটা Botকে ইউজ করে থাকে যাকে অনেকে গুগলের স্পাইডার বলে থাকে মানে ধরুন কোন ওয়েবসাইটে গুগলের এই স্পাইডার গেল। স্পাইডার মানে একেবারে সত্যি কারের মাকোসা ভেবে নেবে না।

এটা একটা কোড একটা বট যখন কোন ওয়েবসাইটে যায় তখন সেই স্পাইডার ওয়েবসাইট থেকে সার্চ করতে থাকে যে ওই ওয়েবসাইটের মধ্যে আর অন্য কোন হাইপারলিংক আছে কিনা। হাইপারলিংক মানে ওই ওয়েবসাইটের মধ্যে এমন কোন লিংক যেটা অন্য কোন পেজেতে যেতে বা অন্য কোন ওয়েবসাইট লিংক করে এবার যখন ঐ স্পাইডার অন্য সমস্ত হাইপারলিংক গুলোকে খুজে নেবে।

তখন রোবটটা ওই হাইপারলিংক গুলো কি ইউজ করে আর যে সমস্ত ওয়েবসাইট কানেক্টেড আছে তাদের মধ্যেও চলে যাবে এবং সেখানে কেউ সার্চ করতে থাকবে অন্য কোন হাইপারলিংক আছে কিনা এইভাবে যত হাইপারলিংক পাবে সেই গুলোতেই কন্টিনুওসলি এই Bot সার্চ করতে থাকবে এবং ডাটা কালেক্ট করতে থাকবে।এবার এরকম করতে করতে ইস্পাইডার ওয়েবসাইটের একটা জাল তৈরি করে।

এই কারণের জন্যই হয়তো গুগলের ওই বটটাকে স্পাইডার বলা হয় তার সাথে সাথে যে যে ওয়েবসাইটকে এই স্পাইডার স্ক্যান করতে থাকবে তাদের মধ্যে থাকা ইউ আর এর টাইটেল ডেসক্রিপশন কিওয়ার্ডগুলোকে সার্চ করতে থাকবে এবং যে ডেটা পাবে সে গুলোকে ব্যবহার করে নিজের ইন্ডেক্স বানাবে।সারা ইন্টারনেটজুড়ে গুগলের এই স্পাইডার বা কোডিং বা Bot চারিদিকে ছড়িয়ে আছে আর কন্টিনিউয়াসলি ছাড়া ইন্টারনেট কেন স্কেন করে চলেছি নতুন নতুন ডিটার জন্য এবং নতুন নতুন আপডেটের জন্য।

মানে ধরুন যদি কোনো পুরোনো ওয়েবসাইট আপডেট হয় তবে তার আপডেট কেউ গুগোল কালেক্ট করে নিজের ডেটাবেসে স্টোর করে রাখে। মানে একটা কন্টিনুওস প্রসেস মানে কন্টিনিউয়াসলি গুগোল এই কাজটা করে চলেছে। এরকম মোটেই নয় যে গুগোল পুরো ইন্টারনেটের ডেটা একসাথে কানেক্ট করে তারপর তার সার্চ ইঞ্জিনে আমাদেরকে দেখাতে থাকে।

এই রোবটগুলো কন্টিনুওসলি কাজ করতে থাকে এবং কন্টিনিউয়াসলি ডেটাবেজ কি আপডেট করতে থাকে এবং ব্যাপার হলো গুগোল যদি এত ডাটা কালেক্ট করে তবে সেগুলোকে স্টোর করার জন্য অনেক বড় বড় সার্ভার এর দরকার হয় তাই সারা পৃথিবীতে গুগলের অনেক বড় বড় সার্ভার চারিদিকে ছড়িয়ে আছে।

এবার এটা তো হয়ে গেল গুগলের back-end মানে গুগল কিভাবে ডাটা কালেক্ট করে তবে আমরা যখন কোন কিছু গুগলে সার্চ করি তখন সেই প্রসেসটা কিভাবে কাজ করে। এবার ধরুন আপনি সার্চ করেছেন গুগোল বিরিয়ানি কিভাবে তৈরি করতে হয় কিংবা ধরুন হাউ টু মেক চিকেন বিরিয়ানি। এবার চিকেন বিরিয়ানি যে যে ওয়েব সাইটের টাইটেল থাকবে কিংবা ডেসক্রিপশনে থাকবে সেই ওয়েবসাইটগুলোকে গুগল নিজের সার্ভারে খুজবে এবং যে ওয়েবসাইটগুলোকে অথেন্টিক মনে হবে এবং মনে হবে যে অনেক লোকের মধ্যে ভিজিট করে এবং অনেক টাইম কাটায় সে গুলোকে রেংকিং এর মাধ্যমে উপরের দিকে রাখবে

তারপর ওই ওয়েবসাইটগুলোকে গুগোল আবার স্ক্যান করবে এবং কয়েকটা পার্টিকুলার কোশ্চেন করবে। যেমন ধরুন চিকেন বিরিয়ানি কি ওই ওয়েবসাইটের টাইটেলে আছে কিংবা ধরুন চিকেন বিরিয়ানি কি ওর ডেসক্রিপশনে আছে অথবা ওয়েবসাইটের মধ্যে এমন কি কোন জিনিস আছে যেটা এই কী-ওয়ার্ড এর সঙ্গে ম্যাচ করে। এছাড়াও ধরুন ঐ ওয়েবসাইটের মধ্যে যে সমস্ত হাইপারলিংক আছে সেগুলো অ্যাক্টিভ কিনা কিংবা অথেন্টিক কিনা সেগুলোও গুগোল বারবার চেক করে দেখে আর সেই হিসেবে গুগল নিজের সার্চ এর রেজাল্ট তৈরি করে এবং আমাদেরকে দেখার।

যাতে আমরা খুব ইজিলি অথেন্টিক ওয়েবসাইটের মধ্যে যেতে পারি এবং বিনা ঝনঝটে আমাদের প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যায়। তবে গুগল সার্চের মধ্যে যে রেজাল্ট আমরা দেখি সেটা কন্টিনুওসলি একই থাকেনা বিভিন্ন ধরনের ফ্যাক্টর আছে যার জন্য গুগল সার্চের রেজাল্ট অপ ডাউন হতে থাকে এবং তার সাথে চেঞ্জ হতে থাকে নানান ধরনের ওয়েবসাইট এর রেংকও। তার সাথে আরও একটা জিনিস ডিপেন্ড করে সেটা হল সিটিআর অর্থাৎ Click Through Rate

মানে ধরুন কোনো কিছুকে আপনি গুগলের সার্চ করেছেন এবার বলুন মানুষ সার্চ রেজাল্ট এর মধ্যে থেকে কোন একটা ওয়েবসাইট কে বারবার ধরে ভিজিট করছে এবং সেই ওয়েবসাইটের মধ্যে কিছু টাইম কাটাচ্ছি। তখন গুগোল মনে করবে যে এই ওয়েবসাইটের সিটিআর অর্থাৎ Click Through Rate হাই তখন সাথে সাথে ওই ওয়েবসাইটের রেংকিং একটু বেড়ে যেতে পারে তার সাথে এটাও ভ্যারি করে যেকোনো ওয়েবসাইটের ট্রাফিক কতটা বেশি জেনারেট হয়।

এরকম ধরনের বিভিন্ন কারণের জন্য কোন ওয়েবসাইটে রেংকিং ডিপেন্ড করে এর সাথে গুগোল আরো একটা জিনিস আমাদের বলে সেটা হল গুগল সার্চ রেজাল্টে যে রেংকিং আমরা দেখি তার জন্য গুগল কোন ওয়েবসাইটের কাছে কোন টাকা চার্জ করেনা। মানে ধরুন যদি কোন ওয়েবসাইট মনে করে যে আমি গুগল এ টাকা দিয়ে আমার ওয়েবসাইটে রেংকিং বাড়াবো তবে গুগোল সেটা কিন্তু কোনভাবেই করবে না।

তবে হ্যাঁ গুগল বিভিন্নতা keyword এর জন্য তার সার্চ রেজাল্টে এডভারটাইজমেন্ট দেখার আর সেই এড থেকে গুগোল একটা ভালো টাকা ইনকাম করে। এইজে ফ্রিতে গুগল আপনাকে সার্চ রেজাল্ট দেখাচ্ছে।বিভিন্ন ওয়েবসাইটে স্পাইডার পাঠিয়ে তাদের ডাটা কালেক্ট করছে এবং রেংকিং এর মাধ্যমে সাজাচ্ছে। এই সবকিছু গুগোল ফ্রিতেই করে কিন্তু এসব কিছু করার জন্য বিভিন্ন এডভারটাইজমেন্ট থেকে টাকা ইনকাম করে।

সেটা সার্চ রেজাল্টে হতে পারে বিভিন্ন ব্লগেও হতে পারে এমনকি ইউটিউব ভিডিওর অ্যাডভার্টাইজমেন্ট এর মাধ্যমেও। মানে গুগোল আমাদেরকে অ্যাডভার্টাইজমেন্ট দেখাচ্ছে এবং সেখান থেকে টাকা কামিয়ে গুগোলের বিভিন্ন ফিচারস কে আমাদের ফ্রিতে ইউজ করতে দিচ্ছে। যেমন ধরুন গুগোল সার্চ, গুগোল ফটোস, গুগোল ড্রাইভ, ইউটিউব, গুগোল ডকস এর মত এরকম ভালো ভালো ভালো সার্ভিসেস যেগুলো আমরা সম্পূর্ণ ফ্রিতে ব্যবহার করতে পারি।

ধরুন আপনি একটা ওয়েবসাইট বানিয়েছেন কিন্তু আপনি চান যে গুগলের রোবট আপনার ওয়েবসাইটে যাতে না ঢুকে সেটাও করা যায় এর জন্য গুগোল নিজেই একটা প্রোগ্রাম বা একটা কোডিং বানিয়ে রেখেছে আর আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটে Robots.txt বলে একটা ফাইল তৈরি করে তার মধ্যে গুগলের ওই কোডটি লিখে দেন। তবে গুগলের স্পাইডার আপনার ওয়েবসাইটে ঢুকবে না।

তবে আপনাকে এটাও মাথায় রাখতে হবে যে এর জন্য কিন্তু আপনার ওয়েবসাইট গুগলের সার্চ রেজাল্টে ও আসবেনা। যখন গুগলের স্পাইডার আপনার ওয়েবসাইটে ঢুকবে এবং দেখবে যে ওই robots.txt ফাইল টা আছে এবং এর মধ্যে প্রোগ্রাম লেখা আছে তখনও স্পাইডার আর আপনার ওয়েবসাইটের মধ্যে থেকে কোন ডাটা কালেক্ট করবেনা।

কিন্তু প্রবলেম ওটাই আপনার ওয়েবসাইট গুগলের সার্চ রেজাল্টে আসবে না। যার ফলে আপনার ওয়েবসাইটের রিচ কমে যাবে। কারণ এখন মোটামুটি সবাই গুগোল এই সবকিছু সার্চ করে আর গুগল সার্চের মধ্যে যদি আপনার ওয়েবসাইট না আসে তবে বুঝতেই পারছেন যে আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিকও বেশি জেনারেট হবে না। তবে বর্তমানে গুগোল আগের থেকে অনেক বেশি অ্যাডভান্স হয়ে গেছে।

এমন কিছু জিনিস আছে যার জন্য গুগল চাই যে আপনাকে কোন ওয়েবসাইটে ঢুকতেই না হয় তার রেজাল্টা আপনি গুগলের সার্চ এর মধ্যেই সাথে পেয়ে যান। ধরুন আপনি সার্চ করলেন প্রেসিডেন্ট অফ আমেরিকা তখন গুগলের সার্চ রেজাল্টে আপনি দেখতে পাবেন যে জো বাইডেন হল প্রেসিডেন্ট অফ আমেরিকা।

আর এই ইনফর্মেশন থেকে জানার জন্য আপনাকে কোন ওয়েবসাইটে যেতে হলোনা গুগল নিজের সার্চ এর মধ্যেই এর রেজাল্ট আগে আপনাকে দেখিয়ে দিলো। কিংবা ধরুন যদি আপনি গুগলের মধ্যে লেখেন ক্যালকুলেটর তাহলে একটা ক্যালকুলেটর গুগল সার্চের মধ্যে চলে আসে। গুগলের সার্চ ইঞ্জিন কন্টিনিউয়াসলি আমাদের অর্থাৎ যারা গুগলে সার্চ ইঞ্জিন কে ব্যবহার করে তাদের বিহেভিয়ার মানে তারা কিরকম ভাবে সার্চ করে কিভাবে রেজাল্ট কি জানতে চাই এই গুলোকে ধীরে ধীরে নিজেই বুঝতে পারছে এবং কন্টিনিউয়াসলি নিজেকে আপডেট করছে

সুতরাং একটা টাইম ছিল যখন আমরা গুগলকে চালাতাম। তবে বর্তমানে গুগোল আমাদের চালাচ্ছে। মানে ধরুন আপনি যদি কোনোকিছুকে সার্চ করেন তবে গুগলের প্রথম পেজ এর মধ্যে যে কটা রেজাল্ট তাকে মস্ট প্রবাবলি আপনি ওই রেজাল্ট গুলোর মধ্যে একটাতে ক্লিক করে। মানে গুগোল আমাদের বলে দিচ্ছে যে কোনটাতে ক্লিক করতে হবে। আপনি যদি কোন রাস্তা না জানেন গুগল আপনাকে রাস্তা দেখিয়ে দেবে সেখানে যাওয়ার জন্য।

আপনি কি কিনবেন কী পড়বেন সবকিছুর জন্য গুগোল আমাদেরকে কোনো না কোনোভাবে কন্টিনিউয়াসলি ইনফ্লুয়েন্স করে চলেছে। এই কারণে যখন আপনার চিকেন বিরিয়ানি খাওয়ার ইচ্ছে হলো তখন সেটা কিভাবে তৈরি করতে হয় সেটা জানার জন্য আপনি নিজের মায়ের কাছে না গিয়ে আগে গুগলের কাছে চলে যান। আর গুগোল যেভাবে করে সেইভাবেই আমরা রান্না করে ফেলে





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar