ad720-90

গুগল ম্যাপে থাই রাজতন্ত্র বিরোধীদের ছবি, বিস্তারিত তথ্য!


গুগল ম্যাপে ব্যবহারকারীরা নতুন নতুন তথ্য যেমন, অপরিচিত সড়কের নাম, কোনো নতুন ভবন, বিশেষ কারো বাড়ির অবস্থান ইত্যাদি যোগ করতে পারেন।

থাই রাজতন্ত্রপন্থী কর্মী সোংক্লোড “পুকেম” চুয়েনচুপোল রয়টার্সকে বলেন, তিনি এবং ৮০ জন স্বেচ্ছাসেবকের একটি দল গুগল ম্যাপের সেবা ব্যবহার করে একটি মানচিত্র তৈরি করেছেন এবং রাজতন্ত্রকে অপমান করার অভিযোগ রয়েছে এমন প্রত্যেকের নামে পুলিশের কাছে অভিযোগ করার পরিকল্পনা করেছেন।

অ্যালফাবেট মালিকানাধীন গুগলের একজন মুখপাত্র ইমেইলে “বিষয়টির সমাধান করা হয়েছে” জানিয়ে বলেন, “মাই ম্যাপস সেবার অধীনে ব্যবহারকারীদের বেলায় গ্রহণযোগ্য বিষয়াদি নিয়ে আমাদের স্পষ্ট নীতি রয়েছে। ব্যবহারকারীর তৈরি মানচিত্রে যদি আমাদের নীতির লঙ্ঘন ঘটে তাহলে আমরা সেটি সরিয়ে দেই।”

মানচিত্রটির একটি সংস্করণ দেখার সুযোগ হয়েছে জানিয়ে রয়টার্স প্রতিবেদনে বলেছে, সেখানে প্রায় পাঁচশত ব্যক্তির নাম এবং ঠিকানা ছিল। এদের মধ্যে অনেকেই শিক্ষার্থী, যাদের অনেকেরই বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজের ইউনিফর্ম পরা অবস্থায় ছবিও ছিল। ওই নথি সাড়ে তিন লাখের বেশি ‘ভিউ’ পেয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থাটি।

ফাইলে যাদের নাম উল্লেখ করা ছিল, ছবিতে তাদের মুখ কালো বর্গক্ষেত্র দিয়ে ঢেকে সেখানে ১১২ লিখে রাখা ছিল। দেশটির ফৌজদারি বিধিতে ১১২ নম্বর ধারায় রাজতন্ত্রর সম্মনহানীর জন্য ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান আছে।

সোমবার গভীর রাতে রয়টার্স ম্যাপগুলো অনলাইনে এক্সেস করার চেষ্টা করলে সেগুলো পাওয়া যায়নি।

সোংকোড বলেন, তিনি এবং স্বেচ্ছাসেবকদের দলটি চেষ্টা করছিলেন যারা ১১২ নম্বর ধারা ভেঙেছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ধরতে।

আমরা যখন সামাজিক মাধ্যমে আপত্তিকর কিছু পোস্ট হতে দেখি, তখন সেটি মানচিত্রে তুলে ধরি।”

একে “মনস্তাত্ত্বিক” যুদ্ধ হিসেবে বর্ণনা করে সোংকোড বলেন, এর উদ্দেশ্য ছিল রাজতন্ত্রের অনলাইন সমালোচনা থেকে মানুষকে বিরত রাখা।

গত বছর শুরু হওয়া তরুণদের নেতৃত্বে বিক্ষোভে রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে অভূতপূর্ব সমালোচনা উঠে আসে এবং আন্দোলনকারীরা রাস্তায় এবং অনলাইনে এর সংস্কারের দাবি তোলে।

থাই সরকার গুগল মানচিত্র অপসারণ বা এর বিষয়বস্তু সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও প্রশ্নের জবাব দেয়নি।

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন এবং দক্ষিণপন্থী বিশিষ্ট কর্মী ৫৪ বছর বয়সী সোংক্লোড বলেছেন, মানচিত্রটি অপসারিত হলেও রাজতন্ত্র বিরোধীদের লক্ষ্য করে চালানো অভিযানকে তিনি ‘ব্যাপক সাফল্য’ বলে মনে করেন।

মানবাধিকার সংগঠন এবং রাজতন্ত্রের সমালোচকরা বলছেন, মানচিত্রগুলিতে শত শত লোকের ব্যক্তিগত তথ্য এবং ঠিকানা রয়েছে এবং এটি তাদের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।

রাজতন্ত্রের সমালোচক এবং মানচিত্রের অস্তিত্ব তুলে ধরা প্রথম দিকের একজন স্কটল্যান্ডের অ্যান্ড্রু ম্যাকগ্রেগর মার্শাল বলেন, “আমি থাই তরুণদের কাছ থেকে আতঙ্কিত বার্তা পেতে শুরু করি, যারা গুগল ম্যাপের একটি রাজকীয় নথিতে তাদের রাজতন্ত্র বিরোধী বলে অভিযোগ করে ব্যক্তিগত তথ্য তুলে ধরা হয়েছিল।”

“এটা পরিষ্কার যে থাই তরুণরা যারা স্রেফ গণতন্ত্র চায় তারা আরও ভয়াবহ ঝুঁকিতে পড়ছে।”





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar