‘পয়সা কামাবেন ভারতে, চলবেন মার্কিন আইনে- সেটি হবে না’
ব্যবহারকারীর তথ্য এবং কনটেন্ট নিয়ে কাজ করে এমন যে কোনো বিদেশী প্রতিষ্ঠানকে ভারতে কাজ করতে হলে ‘কমপ্লায়েন্স অফিসার’ নিয়োগ করতে হবে, দেশটি সম্প্রতি এমন নীতি তৈরি করেছে। টুইটার সেই নীতি মেনে চলছে না- নরেন্দ্র মোদীর সরকার এমন অভিযোগ তোলার পরপরই প্রযুক্তিমন্ত্রী রবি শংকর প্রসাদ এই মন্তব্য করলেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।
“আপনারা ভারতে কাজ করছেন, ভারত থেকে ভালো পরিমাণ অর্থ কামাই করছেন … কিন্তু বলবেন- আমি কেবল মার্কিন আইনেই চলবো, এটা একেবারেই গ্রহনযোগ্য নয়।” ইন্ডিয়া গ্লোবাল ফোরাম ২০২১ এর এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় বলেন প্রসাদ।
“আপনাকে ভারতের সংবিধান এবং ভারতের আইন মেনে চলতে হবে।”
মন্ত্রী তার বক্তৃতায় এক বছর আগে করা একটি টুইটের কারণে তার টুইটার অ্যাকাউন্ট অল্প সময়ের জন্য ব্লক করে দেওয়া নিয়েও কথা বলেন। টুইটার কারণ হিসেবে বলেছিল, বিশেষ ওই টুইটটি মার্কিন আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। মন্ত্রী বলেন, তা-ই যদি হয়, তবে টুইটারকে ভারতের আইনও মানতে হবে।
একদিকে টুইটারের সঙ্গে ভারতের দ্বন্দ্ব, অপরদিকে ফেইসবুক মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ এবং অ্যামাজনের মতো অন্যান্য মার্কিন ডিজিটাল জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর ভারতের নতুন আরোপিত নীতিমালার বিধিনিষেধ মিলে সম্ভাবনাময় এই বাজারের পরিবেশ তিক্ত করে তুলছে, দেশটিতে প্রযুক্তি নির্বাহীরা এমনটাই মনে করছেন বলে উঠে এসেছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে।
ভারতে হোয়াটসঅ্যাপের ৫৩ কোটি এবং ফেইসবুকের ৪১ কোটি ব্যবহারকারী রয়েছে। দুটি ক্ষেত্রেই ভারত সবচেয়ে বড় বাজার। অপরদিকে দেশটিতে টুইটার ব্যবহারকারী আছেন প্রায় এক কোটি ৮০ লাখ।
ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে টুইটার অন্তত পাঁচটি পুলিশী মামলায় পড়েছে। এর মধ্যে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানো, মানচিত্রে ভারতের কিছু অংশকে ভারতের বাইরে দেখানো, শিশু নগ্নতার মতো বিষয় রয়েছে। মানচিত্র প্রশ্নে কোনো মন্তব্য না করলেও শিশু নিপীড়ন প্রশ্নে প্রতিষ্ঠানটি শূন্য সহনশীলতার কথা বলেছে।
Comments
So empty here ... leave a comment!