ad720-90

গুগল প্লে'র নীতিমালা: মামলায় ৩৭ মার্কিন অঙ্গরাজ্য


মামলার দাবি অনুসারে, প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল তার প্লে স্টোরে সম্পন্ন কেনাকাটা থেকে বড় মুনাফা অর্জনের জন্য “নিজের একচেটিয়া অবস্থান” ব্যবহার করেছে।

প্রতিদ্বন্দ্বীতা এড়াতে প্রতিযোগীদের কিনে নেওয়ার অভিযোগও মামলায় রয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।

গুগল বলছে, অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাপ স্টোর রয়েছে। পাশাপাশি, সরাসরি ডেভেলপারদের নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকেও অ্যাপ ডাউনলোড করা যায়।

আইনী পদক্ষেপ নেওয়া ৩৭টি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে নিউ ইয়র্ক, টেনেসি এবং নর্থ ক্যারোলাইনার পাশাপাশি রয়েছে ওয়াশিংটন ডিসি।

মামলায় গুগল প্লে থেকে কেনাকাটায় গুগল যে কমিশন কেটে নেয় তার সমালোচনা রয়েছে। কমিশনের বেলায় গুগল এবং প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাপলের অ্যাপ স্টোর নীতি একই, যা শতকরা ৩০ ভাগ পর্যন্ত হতে পারে। অ্যামাজন এবং মাইক্রোসফট এক্সবক্সের মতো অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের স্টোরের হিসাবও প্রায় একই।

স্ট্যাটিস্টা’র হিসাব অনুসারে, ২০২০ সালে গুগল প্লে থেকে গুগলের মোট আয় ছিল তিন হাজার ছয়শ’ ৮০ কোটি  ডলার। অন্যদিকে অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী টিম কুক বলেছেন, অ্যাপলের অ্যাপ স্টোর তার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি স্বতন্ত্র সত্তা হিসেবে কতটা লাভজনক তা তারা জানেন না।

গুগল আরও বলেছে,  শতকরা ৯৭ ভাগ ডেভেলপার তাদের অ্যাপের মধ্যে ডিজিটাল পণ্য বিক্রি না করার কারণে কোনও “পরিষেবা ফি” দেয় না।

ইউটা অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল শন রেয়েস এক বিবৃতিতে বলেন, “গুগল প্লে আদতে ফেয়ার প্লে নয়।”

“একচেটিয়া ক্ষমতা এবং বাজারে অতি-প্রভাবশালী অবস্থান ব্যবহার করে গুগল ছোট প্রতিষ্ঠান, প্রতিযোগী এবং ভোক্তাদের কাছ থেকে ন্যায্য পাওনার বাইরে অবৈধভাবে যে কোটি কোটি ডলার আয় করে, সেটি বন্ধ করা উচিত।”

‘উন্মুক্ততা এবং পছন্দ’

গুগলের জননীতি প্রধান উইলসন হোয়াইট এক ব্লগ পোস্টে এই কর্মকাণ্ডকে “অদ্ভুত” বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, “আমরা এই তদন্তের যৌক্তিকতা বুঝি এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোকে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

“কিন্তু অ্যান্ড্রয়েড এবং গুগল প্লে বরং উন্মুক্ততাকে স্বগত জানায় যা অন্যান্য প্ল্যাটফর্মগুলি একেবারেই করে না।”

টেক জায়ান্টদের অ্যাপ স্টোরের রেওয়াজ ক্রমেই তদন্তের মুখোমুখি হচ্ছে।

মে মাসে যুক্তরাজ্যের কম্পিটিশন অ্যান্ড মার্কেটস অথরিটি অ্যাপলের অ্যাপ স্টোর নীতিমালা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।

এর আগে জানুয়ারিতে জনপ্রিয় গেইম ফোর্টনাইটের নির্মাতা এপিক গেইমস অ্যাপ স্টোরের নীতিমালা প্রশ্নে যুক্তরাজ্যে অ্যাপল এবং গুগল উভয়ের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে শুরু করে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে লোকজন যে অ্যাপ ব্যবহার করে তার বেশিরভাগই অ্যাপল বা গুগলের তৈরি বলে ডিসেম্বরে উঠে এসেছে ফেইসবুকের করা এক গবেষণায়।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar