ad720-90

চলার পথে মোবাইল ফোনে কথা বললে আমাদের যে ক্ষতি হয়


নিউজ টাঙ্গাইল ডেস্ক: রাস্তায় চলার পথে মোবাইল ফোনে কথা বলেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়। তবে চলার পথে মোবাইল ফোনে কথা বলা আর অন্য কাজ করায় প্রাণহানির মতো ঘটনাও অনেক ঘটেছে। পথ চলতে চলতে অনেকে মোবাইলে কথা বলেন বা টেক্সট মেসেজ পাঠান, ফেসবুক স্ক্রলিং করেন।

মোটরসাইকেল চালাতে চালাতে হেলমেটের এক পাশ দিয়ে মোবাইল সেট গুঁজে দিয়ে কেউ কেউ কথা বলতে থাকেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, মানুষ একসঙ্গে একাধিক কাজে মনোযোগ দিতে পারে না। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরচর্চার সময় ফোনে কথা বললে পেশি এবং হাড়ের ভয়ানক ক্ষতি হতে পারে।

বেশ কয়েক বছর আগে স্টোনি ব্রিক ইউনিভার্সিটির লিসা এম মুরাটোরি ও এরিক এম ল্যামবার্গ একটি জরিপে দেখেছেন, হাঁটতে হাঁটতে মোবাইল ফোনে টেক্সট করতে গিয়ে ৬১ শতাংশ ব্যক্তি আঁকাবাঁকা পথে চলে গেছেন। সাধারণত তাদের বয়স ১৮ থেকে ৩৪ বছরের মধ্যে। সেল ফোনে খুদে বার্তা পাঠাতে গিয়ে আহত হয়েছেন অনেকে। এদের সংখ্যাটা বেড়েই চলেছে।

কানে ফোন নিয়ে কথা বলতে বলতে মাথার অবস্থানও পরিবর্তন হয়ে যায়। হাঁটার সময় ফোনে কথা বললে মাথা বা ঘাড়ের নাড়াচাড়া বেড়ে যায়। যা স্বাস্থ্যের পক্ষে বেশ খারাপ। তাই হাঁটার সময় কথা নয়, শুধু হাঁটুন।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, হাঁটার সময় কানে মোবাইল ফোন ধরে কথা বললে একটি হাতের অবস্থান ভুল থাকে। ফলে পেশিতে অসামঞ্জস্যতা তৈরি হয়। এর ফলে শরীরের নানা ব্যথা দেখা দেয়।

মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে বা হেডফোন কানে গুঁজে রাখলে চারপাশে কী হচ্ছে তার সঙ্গে তাল রেখে চলা যায় না। এ জন্য মারাত্মক বিপদ হতে পারে। এ ধরনের ব্যস্ততা মানুষকে মৃত্যু মুখেও ঠেলে দিতে পারে।

পরামর্শ

১.হাঁটার সময় মোবাইল ফোন একেবারেই ব্যবহার করবেন না। কারণ জীবনের চেয়ে যোগাযোগ জরুরি নয়।

২.গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোনে কথা বলা, টেক্সট করা বা গান শোনা উচিত নয়।

৩.একসঙ্গে একাধিক কাজ করলে কোনো কাজেই ভালো ফলাফল আসে না, সুতরাং হাঁটার প্রয়োজন হলে শুধু হাঁটুন।

৪. হাঁটতে গিয়ে যদি মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেই হয়, তাহলে ফুটপাথের একপাশে গিয়ে প্রয়োজনীয় কথা বা টেক্সট করতে পারেন।

“নিউজ টাঙ্গাইল”র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar