ad720-90

সখীপুরে স্কুল-কলেজে প্রস্তুতি শেষ, ১২ সেপ্টেম্বর প্রাণ ফি‌রে পাওয়ার আশা



সেপ্টেম্বর ১১, ২০২১
1 Views

নিজস্ব প্রতিনিধি:  টাঙ্গাইলের সখীপুরে স্কুল-কলেজগুলেরা পরিষ্কার পরিছন্নতা ও ধোয়া-মোছার কাজ শেষ। বড় বড় ভবনগুলো ঠাই দাঁড়িয়ে আছে নিষ্প্রাণ হয়ে। চারিদিক চকচকে হলেও যেন প্রাণ নেই প্রতিষ্ঠানগুলোতে। নেই শিশু-কিশোরদের সেই চিরচেনা কোলাহল। রোববার সকালেই চেনা রূপে ফিরবে খেলার মাঠ ও ভবনসহ প্রতিটি কক্ষ, প্রাণ ফিরে পাবে স্কুল কলেজগুলো। এমনটিই প্রত্যাশা করছেন শিক্ষকরা।

শনিবার উপজেলার বেশ কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে কথা হলে তারা শঙ্কা প্রকাশ করেন। তারা বলেন, আঠারোটি মাস কম সময় নয়। যতদূর সম্ভব চেষ্টা করেছি, তবে অনেক শিক্ষার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তারা কোন অবস্থায় আছে একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই ভালো জানেন। কত শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে তা কেবল মাত্র প্রতিষ্ঠান খোলার কয়েকদিন পরই বোঝা যাবে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে টানা ১৮ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর ১২ সেপ্টেম্বর রবিবার খুলছে সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সারাদেশের মতো টাঙ্গাইলের সখীপুরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থী‌দের জন্য উপযোগী করতে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন, শ্রেণিকক্ষ ধোয়া-মোছাসহ অগ্রিম প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

উপ‌জেলার ১৪৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৭৯টি বিদ্যালয়ে দপ্তরি না থাকায় শিক্ষকরাই নিজ হা‌তে শ্রেণিকক্ষ ধোয়ামোছা ও আঙিনা পরিষ্কারের কাজ করেছেন। উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের চাম্বলতলা, বেলতলী, ধলীপাড়া, দেবলচালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সেখানে শিক্ষকরাই শ্রেণিকক্ষ ধোয়ামোছা করছেন। বেঞ্চ পরিষ্কার, আঙিনা ঝাড়ু দেওয়া ও বিদ্যালয়ের চারপাশের ঝোপঝাড় পরিস্কার করছেন।

উপজেলা শিক্ষা বিভা‌গের সং‌শ্লিষ্ট কার্যালয় সূত্রে জানা গে‌ছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণের সময় অনলাইনে পাঠদান শুরু হলেও অ‌ধিকাংশ শিক্ষার্থী নানা কারণে অনলাইন পাঠের সুযোগ থেকে বঞ্চিত ছিল। সরকারি ঘোষণার পর থেকেই উপজেলার ১৪৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২৭টি মাদ্রাসা, কারিগরিসহ ১০টি কলেজ  খোলার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। শ্রেণিকক্ষসহ পরিচ্ছন্ন করা হয়ে‌ছে কলেজ ও বিদ্যালয়ের আঙিনা। অ‌নেক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা নিজেরাই ঝাড়ু হাতে নিয়ে শ্রেণিকক্ষ ও আঙিনা পরিস্কার-পরিছন্ন করেছেন।

বেড়বাড়ী খন্দকারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নবাব আলী বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে   সীমানা প্রাচীর নেই। স্থানীয়রা স্কুলমাঠে গরু চড়ায়। স্কুল বন্ধ থাকায় তাঁদের কিছু বলা যায়নি। তবে ১২ তারিখের পর তাঁরা আর গরু চড়াবেন না বলে কথা দিয়েছেন।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল বলেন, আমরা স্কুলের পক্ষ থেকে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, তাপমাত্রার মেশিন ও একটি আলাদা আইসোলেশন কক্ষ ঠিক করে রেখেছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব কার্যক্রম চালানো হবে। শিক্ষা কার্যক্রম চালু কর‌তে শিক্ষকরা প্রস্তুত রয়েছেন।

সখীপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রাফিউল ইসলাম  এবং মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মফিজুল ইসলাম বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠদা‌নের উপযোগী করতে সব ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।  ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি বিদ্যালয় পরিদর্শনে ক‌রা হয়েছে।  বর্তমানে প্রতিষ্ঠানগু‌লো পাঠদা‌নের উপযোগী হ‌য়ে‌ছে বলেও তারা জানান।

 

“নিউজ টাঙ্গাইল”র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar