কোভিড-১৯ অ্যাক্ট অনলাইন হ্যাকাথনে পুরস্কার জিতল ‘নিরাপদ’ অ্যাপ
মহামারী মোকাবেলায় দেশের তরুণ
বিজ্ঞানী, উদ্যোক্তা, উদ্ভাবক, সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ারদের অংশগ্রহণে
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে এবং কল ফর নেশন প্লাটফর্মের আওতায় গত ৮
জুন ছিল এই প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব।
অ্যাপটিতে কোয়ারেন্টিন
মনিটরিং, প্লাজমা ডোনেশন ডেটাবেইজ, কনট্যাক্ট ট্রেসিং ও অ্যালার্ট, কমিউনিটি ভলান্টিয়ার মডিউল, পাবলিক রিলিফ ডিস্ট্রিবিউশন
ম্যানেজমেন্ট এবং আরও কয়েকটি ফিচার রয়েছে বলে বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানালেন ইনোভেস টেকনোলজিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিনহাজ খান।
নিরাপদ এই ইন্টারনেট অব থিংস
(আইওটি) ভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানেরই বানানো অ্যাপ।
এটুআইয়ের ভেরিফায়েড ফেইসবুক
পাতায় প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণায় বলা হয়, অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন
বিভাগে বিজয়ী হয়েছে ইনোভেস
টেকনোলজিসের ‘নিরাপদ:
স্টে হোম, স্টে সেফ, হেল্প
বাংলাদেশ পুলিশ অর এনি কনসার্নড অথরিটি টু মনিটর অল দ্যা পিপল হু আর ইন হোম
কেয়ারাইনটাইন’ নামের প্রকল্প।
প্রতিযোগিতায় এই প্রকল্পের
টিম লিডার ছিলেন ইনোভেস টেকনোলজিসের প্রধান নির্বাহী মুনিরুল আলম।
প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা
পরিচালক মিনহাজ খান বলেন, “অ্যাপের
কোয়ারেন্টিন মনিটরিং ফিচারটি ইতোমধ্যে বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
“বিদেশথেকে আসাদের হোম
কোয়ারেন্টিনে তদারকিতে এই অ্যাপ চালু করে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ।”
পরে চট্টগ্রাম ও চাঁদপুর জেলা
পুলিশও ‘নিরাপদ’ নামের এই কোয়ারেন্টিন অ্যাপ নিয়ে মাঠে নামে।
“হোম কোয়ারেন্টিন
অ্যাপটি ফিচারটি গ্রামীণ ফোনের নেটওয়ার্কে কোনো রকম ইন্টারনেট চার্জ ছাড়াই ব্যবহার
করা যাচ্ছে”, বলেন মিনহাজ।
তিনি বলেন, “অ্যাপের অন্যসব ফিচারও বাস্তবায়নের জন্য
পুরো প্রস্তুত। আমাদের রিলিফ ম্যানেজমেন্ট ফিচারটি শুধু এই সময়েই নয়, দেশের যে কোনো দুর্যোগ পরিস্থিতিতে ব্যবহার করা সম্ভব।”
নিরাপদ অ্যাপের পুরস্কার
পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় মিনহাজ বলেন, “আমরা আশা করি বিভিন্ন ফিচার নিয়ে তৈরি এই অ্যাপটি সরকার কাজে লাগাবে।
আমরা অ্যাপটি তাদের দিতে চাই। এর পরিচালনায় সার্বিক সহযোগিতা আমরা দেব।”
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে
ও মানুষকে সচেতন করতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ বাহিনীকে নিরাপদের কোয়ারেন্টিন
মনিটরিং ফিচারটি ‘বিনামূল্যে’
দিয়েছিল ইনোভেস টেকনোলজিস।
গত ৩০ মার্চ শুরু হওয়া
কোভিড-১৯ অ্যাক্ট অনলাইন হ্যাকাথন প্রতিযোগিতায় তরুণদের ৬৮১টি প্রকল্প জমা পড়ে বলে
ফেইসবুক পোস্টে জানিয়েছে এটুআই।
১৮ জনের জুরি প্যানেল
নিয়ে চূড়ান্ত পর্বে ৬টি বিভাগে ৬টি
প্রকল্পকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এই ৬টি বিভাগে ২টি করে রানার্সআপ পুরস্কারও দেওয়া
হয়।
এছাড়া ২টি বিশেষ বিভাগে ২টি
পুরষ্কার ও ১৬টি অনারেবল মেনশনসহ প্রতিযোগিতায় মোট ৩৬টি পুরষ্কার ঘোষণা করা হয়।
প্রতিযোগিতায় অ্যাকসেস টু
ইনফরমেশন বিভাগে প্রথম রানার্স আপ হয় টগুমগু প্রাইভেট লিমিটেডে ‘ওয়ান স্টপ প্যারেন্টিং অ্যাপ বাই টগুমগু’
প্রকল্পটি।
‘কোভিড-১৯ ডেটা
এ্যানালিসিস টু ডিটারমাইন ক্রিটিকাল হেলথ, হাইজিন অ্যান্ড
ইনফরমেশন অ্যাকসেস ফ্যাক্টর টু অ্যাসেস রিস্ক অ্যান্ড ডেভলপ মিটিগেশন অ্যান্ড
প্রিভেনশন স্ট্রাটেজি ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্প নিয়ে একই
বিভাগে দ্বিতীয় রানার্স আপ হন পিফিজারের অনিক আলম।
হ্যাকাথনের অন্যান্য বিভাগের
মধ্যে ছিল – সোশিও ইকোনোমিকালি ডিজঅ্যাডভানটেজ পিপল,
বিজনেস অপারেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন, হেলথ
কেয়ার ইকুইপমেন্ট অ্যান্ড ট্রিটমেন্ট ও মেন্টাল হেলথ।
এছাড়া ‘কানেক্টিং দ্যা আনকানেকটেড স্লাম
ডুয়েলারর্স ’ ও ‘প্ৰান্ন:
কোভিড+ পেশেন্ট ম্যানেজমেন্ট টুল’ প্রকল্প দুটিকে বিশেষ বিভাগে
পুরস্কার দেওয়া হয়।
|
|
প্রকল্প |
|
বিভাগ |
বিজয়ী |
প্রথম রানার আপ |
দ্বিতীয় রানার আপ |
সোশিও ইকোনোমিকালি |
সুযোগ-এ ভার্চুয়াল অপারেশনাল |
মানুষ.এআই |
আইওটি অ্যানাবলড অটো সলিউশন |
বিজনেস অপারেশন অ্যান্ড |
ল্যান্ডনক: লাস্ট মাইল |
নিউ থ্রেড |
নেক্সট জেনারেশন স্মল |
হেলথ কেয়ার ইকুইপমেন্ট অ্যান্ড |
পাওয়ারড এয়ার পিউরিফায়িং |
র্যাডঅ্যাসিস্ট: দ্যা |
সেন্ট্রাল |
মেন্টাল হেলথ |
মনের বন্ধু |
নির্ভানা: মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড |
মনোসেবা: অ্যান অনলাইন |
অন্যান্য |
লং ডিসটেন্স ডিজইনফেকশান |
আলট্রাভায়োলেট জার্মিসাইডাল |
মানবতার ঘর |
অনলাইনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে
উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এতে সভাপতি ছিলেন সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম
পিএএ।
অনুষ্ঠানে জুনাইদ আহমেদ পলক
বলেন,
“এই সকল সলিউশনগুলোর সুবিধা যাতে দেশের মানুষ গ্রহণ করতে
পারেন, সে কারণে এইগুলোকে স্টার্টআপে পরিণত করা হবে।
এজন্য স্টার্টআপ ফান্ড ও মেন্টরিংসহ সরকারের পক্ষ থেকে সকল ধরনের সহযোগিতা করা
হবে।”
এই প্রতিযোগিতায় সহযোগী
পার্টনার ছিল আইডিয়া, স্টার্টআপ
বাংলাদেশ, ওয়ার্ল্ডসামিট অ্যাওয়ার্ডসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান।
Comments
So empty here ... leave a comment!