ওয়েইমোর চালকবিহীন ট্যাক্সি চলবে ফিনিক্সের রাস্তায়
মহামারী সব স্থবির করে দেওয়ার আগে ওই অঞ্চলে চালকবিহীন ট্যাক্সি পরীক্ষা করে দেখেছে ওয়েইমো। শুরুর দিকে ওই পরীক্ষায় যারা অংশ নিয়েছিলেন, আপাতত শুধু তাদের বন্ধু ও পরিবারবর্গকে চালকবিহীন ট্যাক্সি ব্যবহারের সুযোগ দেবে প্রতিষ্ঠানটি। এর কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সব অ্যাপ ব্যবহারকারীকেই ওয়েইমো চালকবিহীন ট্যাক্সি ডাকার সুযোগ দেবে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
আরও দুই বছর আগে এ সেবা এনে হাজির করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ওয়েইমো। চালকবিহীন গাড়িগুলোতে দূর থেকে নজর রাখবে প্রতিষ্ঠানটি, যাতে খুব জরুরি অবস্থায় নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নিয়ে নিতে পারেন ‘ভেহিকেল অপারেটর’।
আর্স টেকনিকা জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে শুধু একশ’ ৩০ বর্গ কিলোমিটার পর্যন্ত সেবা দেবে ওয়োইমোর চালকবিহীন ট্যাক্সি। ফিনিক্স শহরের শহরতলী চ্যান্ডলার, টেম্পে এবং মেসায় চলতে দেখা যবে এগুলোকে। ঠিক কতজনকে শুরুতে চালকবিহীন ট্যাক্সি ডাকার অ্যাপে প্রবেশাধিকার দেওয়া হবে, তা এখনও জানায়নি প্রতিষ্ঠানটি।
তবে, ওয়েইমো বলেছে, “আমরা আশা করছি, আমাদের চালকবিহীন ট্যাক্সি সেবা খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠবে, এবং চাহিদা অনুসারে সেবা হাজির করার সময়টিতে আমরা যাত্রীদের ধৈর্য্যের জন্য কৃতজ্ঞ।”
ওয়েইমোর অধীনে প্রায় ছয়শ’ গাড়ি রয়েছে। নতুন সেবায় ঠিক কতগুলো গাড়ি চলবে, তা এখনও জানায়নি প্রতিষ্ঠানটি।
বিশ্লেষণী প্রতিষ্ঠান ক্যানালিসের বিশ্লেষক ক্রিস জোনস জানিয়েছেন, ওয়েইমো আগে থেকেই চালকবিহীন প্রযুক্তিতে নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে ছিল। এখন প্রতিষ্ঠানটির মানুষকে এ ধরনের প্রযুক্তির গাড়িতে চড়তে রাজি করাতে হবে। করোনাভাইরাস এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে।
“আমরা এ সময়টিতে গাড়ি শেয়ারে উদ্বিগ্নতা বাড়তে দেখছি। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, উবারে বুকিং উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।” – বলেছেন জোনস।
তিনি আরও বলেছেন, “ওয়েইমোর সঙ্গে মানুষ পরিচিত, তারা অনেক বছর ধরে ফিনিক্সে এটি পরীক্ষা করছে। এখানে সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াবে বিশ্বাস। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আমি কী আমার মেয়েকে ওয়েইমোর মাধ্যমে স্কুলে পাঠাবো?”
প্রতিষ্ঠানটির পরবর্তী ধাপ হবে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য স্থানে নিজেদের সেবাটিকে নিয়ে যাওয়া। বর্তমানে ২৫টির মতো স্থানে পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে ওয়েইমো।
Comments
So empty here ... leave a comment!