ad720-90

ইউটিউব ২০১৯: আয়ের হিসেবে শীর্ষে যারা


আয়ের ভিত্তিতে শীর্ষ দশ ইউটিউবারের ওই তালিকাটি তৈরি করেছে মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস। জুন ২০১৮ থেকে জুন ২০১৯ পর্যন্ত কোন ইউটিউবারের কত আয় হয়েছে, সে হিসেবেই তৈরি করা হয়েছে তালিকাটি।  তালিকায় থাকা শীর্ষ দশ ইউটিউবার মিলে ২০১৯ সালে আয় করেছেন ১৬ কোটি ২০ লাখ ডলার। — খবর বিবিসি’র।

ওই শীর্ষ দশ তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে ডুড পার্ফেক্ট, পিউডিপাই, জেফরিস্টার ও মার্কিপ্লায়ারের মতো ইউটিউব চ্যানেলগুলো। আর তালিকা থেকে ছিটকে পড়েছেন লোগান পল ও জেক পল। ২০১৮ সালে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন জেক পল।   

চলুন জেনে নেওয়া যাক ঠিক কত আয় করে কোন কোন চ্যানেলগুলো জায়গা করে নিয়েছে এ বছরের তালিকায়-

আয়ের হিসেবে ২০১৯ সালের শীর্ষ দশ ইউটিউবার

১. রায়ান কাজি – দুই কোটি ৬০ লাখ ডলার আয় করেছেন আট বছর বয়সী এই ইউটিউবার। 

২. ডুড পার্ফেক্ট – দুই কোটি ডলার আয় করে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছে চ্যানেলটি।

৩. নাস্তেয়া – এক কোটি ৮০ লাখ ডলার আয় করেছে এই চ্যানেল। পাঁচ বছর বয়সী ইউটিউবার আনাস্তাসিয়া র‌্যাজিনস্কায়ার দেখা মিলবে চ্যানেলটিতে।

৪. রেট অ্যান্ড লিঙ্ক – ফোর্বসের হিসেবে এক কোটি ৭৫ লাখ ডলার আয় করেছে রেট অ্যান্ড লিঙ্ক। 

৫. জেফরি স্টার – এক কোটি ৭০ লাখ ডলার আয় করে তালিকার পঞ্চমে জায়গা করে নিয়েছেন জেফরি স্টার।

৬. প্রেসটন আর্সেমেন্ট – মোট আয় করেছেন এক কোটি ৪০ লাখ।

৭. পিউডিপাই – পিউডিপাইয়ের এ বছরে আয় হয়েছে এক কোটি ৩০ লাখ ডলার।  

৮. মার্কিপ্লায়ার – পিউডিপাইয়ের সমপরিমাণ আয় করেছেন মার্কিপ্লায়ার-ও। ২০১৯ সালে এই ইউটিউব চ্যানেলের আয় এক কোটি ৩০ লাখ ডলার।

৯. ড্যানিয়েল মিডলটন – এক কোটি ২০ লাখ ডলার আয় করে তালিকার নবম স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন ড্যানিয়েল মিডলটন।

১০. ইভান ফঙ – ২০১৯ সালে ইভান ফঙ’য়ের আয় হয়েছে এক কোটি ১৫ লাখ ডলার।

তালিকা তৈরির সময় বিজ্ঞাপন, সফর, পণ্যদ্রব্য ও স্পন্সরড কনটেন্ট থেকে ইউটিউবারদের করপূর্ব আয় অনুমান করার চেষ্টা করেছে ফোর্বস।

এদিকে, ইউটিউবারদের আয় প্রসঙ্গে ইন্টারনেট সংস্কৃতি বিষয়ক লেখক ক্রিস স্টোকেল-ওয়াকার বলেছেন, “ইউটিউব চ্যানেল শুরু করা বা পেশা হিসেবে ‘ইনফ্লুয়েন্সার’ হতে চাওয়া অধিকাংশই সুবিধা করে উঠতে পারেন না। মার্কিন দারিদ্র্য রেখা পার করতে যেটুকু আয় হওয়া প্রয়োজন, ৯৬.৫ শতাংশ ইউটিউবারই বিজ্ঞাপন থেকে সেটুকু আয় করতে পারেন না। আর প্ল্যাটফর্মে ক্রমাগত নতুন নতুন ইউটিউবার আসতে থাকায় প্রতিযোগিতাও আগের তুলনায় অনেক কঠিন হয়ে উঠেছে।”

ওয়াশিংটনভিত্তিক পিউ রিসার্চ সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, শিশুদের উপস্থিতি ইউটিউব ভিউয়ের ক্ষেত্রে প্রভাব রাখে। ‘যেসব ভিডিওতে শিশুরা উপস্থিত হয়, সেগুলো অন্যান্য আর দশটি ‘উচ্চ সাবস্ক্রাইবার’ চ্যানেলের তুলনায় তিন গুণ বেশি ভিউ পায়।’





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar