ad720-90

[এবার আপনার ইউটিউব চ্যানেলে মনিটাইজেশন হবেই যদি এই ট্রিক গুলো ফলো করেন]



ভালোই টেনশন শুরু হয়ে গেছে তাই না? কেউ মনিটাইজেশন পাচ্ছে না তাই তো এটাই তো অভিযোগ?
কেন মনিটাইজেশন পাচ্ছে না আপনার ও যদি একই সমস্যা হয় আপনিও মনিটাইজেশন পাচ্ছেন না ইউজ ভিডিও আপলোড করছেন।
ভালো ভালো কনটেন্ট তৈরি করছেন তারপরেও মনিটাইজেশন পাচ্ছেন না না না তাহলে বলব আজকের এই পোষ্ট টি আপনার জন্য।
তো অবশ্যই পোস্টটি পুরো পড়বেন নাহলে কিন্তু জানতে পারবেন না যে আসলে কিভাবে মনিটাইজেশন পাওয়া যায় ইউটিউবে।
তো চলুন শুরু করা যাক।
প্রথমে যে কথা বলব যে কেন ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজ হচ্ছে না প্রথম যে বিষয় সেটা হলো।
যে অনেকের ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিওর মাত্রা অনেক কম যেমন দেখেন আজকে সকালে আমার এক ফ্রেন্ডের ভিডিও দেখলাম।
তার চ্যানেলে মাত্র দুইটা ভিডিও দুইটা ভিডিওতে তার ভিউ আছে পাঁচ লাখ সে মনিটাইজেশন এর জন্য এপ্লাই করতে যাচ্ছে।
আমি তাকে একদম সরাসরি বললাম আপনি যদি মনিটাইজেশন এর জন্য হাজার বার এপ্লাই করেন তাও আপনি মনিটাইজেশন পাবেন না।
এখন মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে কেন পাবে না? এখানে তো তার কোনো অপরাধ নেই।
কিন্তু ইউটিউব এর এখানে অনেক চুক্তি আছে এবং সেটা আপনাকে বুঝতে হবে ইউটিউব নিয়ম হলো যে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে ভালো কনটেন্ট থাকতে হবে।
ভালো কনটেন্ট এর অর্থ কিন্তু এটা না যে আপনার চ্যানেলে একটা ভিডিও থাকলেই আপনার চ্যানেল মনিটাইজেশন হবে।
ইউটিউব এর কথা হল যে আপনার চ্যানেলের যথেষ্ট পরিমাণ কয়েকটা কনটেন্ট থাকতে হবে যেখানে ইউটিউব এভারেজ টা হিসাব করতে পারে।
যেমন দেখেন একটা মিষ্টির দোকানে গিয়ে কিন্ত আপনি একটা মিষ্টি টেস্ট করে আপনি বাকি সব গুলার কথা বলতে পারবেন না।
কিন্তু যদি 50 রকমের মিষ্টি থাকে এবং আপনি সেখান থেকে দশটা মিষ্টি খান তাহলে কিন্তু আপনি এভারেজে একটা আইডিয়া বলতে পারবেন যে এই দোকানের মিষ্টি ভালো হতে পারে।
কি ঠিক বলছি না? ইউটিউব ও ঠিক এই ফর্মুলা টাই ইউজ করে যদি আপনার ইউটিউব চ্যানেলে ভালো কনটেন্ট থাকে এবং কয়েকটা কনটেন্ট থাকে।
একটা দুইটা বা তিনটা চারটা ভিডিওতে ইউটিউব কখনও আপনাকে মনিটাইজেশন দিবে না।
যদি আপনার কয়েকটা ভালো ভালো কনটেন্ট থাকে তাহলে ইউটিউবের ডিসাইড করতে খুবই সুবিধা হয় যে আপনার ইউটিউব চ্যানেলটা মনিটাইজেশন করা হবে কি হবে না।
তো এখন আসে দ্বিতীয় বিষয়।
দ্বিতীয় বিষয় হলো কপিরাইট যেমন ধরুন মিউজিক্যাল লি মিউজিক্যাল লি ভিডিওগুলা এতটা ট্রেন্ড ইন এতটাই ভাইরাল ভিডিও যে আপনি যদি কয়েকটা মিউজিক্যালি ভিডিও কপি করে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করেন।
একটা সেখানে কপিরাইট ধরবে না কারণ মিউজিক্যালি ভিডিও গুলা এত পরিমান কপিরাইট হয় যে সেখানে কপিরাইট বলে কিছুই থাকে না।
তো এদিক থেকে তো আপনি বেঁচে গেলেন আপনার ভিডিওতে কপিরাইট ধরল না।
আপনার ইউজ পরিমাণ ভিউ হবে কারণ মিউজিক্যালি ভিডিও গুলা এত পরিমাণ ভাইরাল হয় যে পতিতা ভিডিও তে 5 লাখ ৭ লাখ করে ভিউ এমনিতেই হতে থাকে।
তো সে ক্ষেত্রে যেটা হয় যে আপনার কয়েকদিনের মধ্যে যেমন ধরুন এক থেকে দুই মাসের মধ্যে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে এক থেকে দুই লাখ সাবস্ক্রাইবার হয়ে যাবে আপনার ভিউজ এর বন্যা বয়ে যাবে।
কিন্তু আপনি কান্নাকাটি করলে ও কখনোই মনিটাইজেশন পাবেন না।
এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে ইমরান ভাই ইতিমধ্যে যারা মিউজিক্যালি ভিডিও নিয়ে কাজ করছে তাদের তো মনিটাইজেশন অন আছে।
আবার আপনাকে ভালো করে একটু মনে করায় দিয় তারা আগে তাদের ইউটিউব চ্যানেল টাকে মনিটাইজ করছে এবং তার পরে তারা মিউজিক্যালি ভিডিও গুলা আপলোড করতেছে।
সরাসরি তারা মিউজিক্যালি ভিডিও দিয়ে কখনোই শুরু করে নাই চাইলে আপনারা একটু রিসার্চ করে বিষয়টা ভালভাবে দেখে নিতে পারেন।
এবার আসি তিন নম্বর বিষয়ে যারা একটু বেশি চালাক।
অনেক মানুষ আছে যারা অনেক অনেক চালাক তো তারা কি করে তারা খুব ভালো ভালো কিছু কনটেন্ট কপি করে সেটা মিক্স করে মিক্স করে এত সুন্দর একটা কমপ্লিট কনটেন্ট তৈরি করে সেটা ইউটিউবে আপলোড করে দেয়।
আপলোড করার পরে যেটা হয় ইউটিউব এর কাছে কোন রকম ইনফরমেশন থাকে না যে ভিডিওটা কে কপিরাইট স্টাইক দেওয়া।
কারণ এই ভিডিও টা কে সে এত পরিমাণে এডিটিং করেছে যে যার ভিডিও সেও যদি স্টাইক দেয়ার চেষ্টা করে তাও কিন্তু সে পারে না।
তো এরকমটা যদি আপনি করেন আপনি যদি অতিরিক্ত চালাক হন এবং আপনি সবার কনটেন্ট একটু একটু করে নিয়ে একটা কমপ্লিট কনটেন্ট তৈরি করেন।
এবং সেটা যদি আপনি ইউটিউবে আপলোড করেন কারো ক্ষমতা নেই আপনাকে বন্ধ করার কিন্তু ইউটিউব এর ক্ষমতা আছে আপনাকে মনিটাইজেশন না দেওয়ার।
তো আমার মনে হয় বিষয়টা টোটালি বুঝছেন যে আসলে ইউটিউব কেন মনিটাইজেশন দিচ্ছে না।
তো এবার আসি যে আপনি কিভাবে মনিটাইজেশন টা পেতে পারেন।
নরমালি প্রথম যে শর্ত সেটা হল আপনাকে ভালো ভালো কনটেন্ট তৈরি করতে হবে।
দ্বিতীয় হল আপনার ইউটিউব চ্যানেলে যথেষ্ট পরিমাণ কনটেন্ট থাকতে হবে এবং আপনার চ্যানেল টা সাজানো গোছানো পরিপাটি এবং খুব সুন্দর করে রাখতে হবে।
তৃতীয় হল আপনার ইউটিউব চ্যানেলে কোন ফেক ভিডিও থাকা যাবে না ইতিমধ্যে এমন অনেক ইউটিউব আর কে দেখছি যে তাদের থামলাইন ই দেয়া মোশারফ করিমের ছবি কিন্তু ভিডিওটা প্লে করলে চলে আসে হিরো আলমের তো এরকম যেন না হয় এটাই ছিল বিষয়বস্তু।
তো এবার হবে ছোট্ট একটা টিপস যাকে বলে ছোট জালে মরিচ বেশি।
আপনার কনটেন্ট যাই হোক না কেন ভিডিওর শুরুতে অথবা ভিডিওর শেষে আপনার একটা ক্লিপ 10 সেকেন্ড বা 15 সেকেন্ডের দিবেন।
এটা আপনাকে করতে হবে আপনার ভিডিওতে যেখানে খুশি সেখানে আপনার দশ সেকেন্ডের একটা ক্লিপ দিয়ে দিবেন।
এক্ষেত্রে ইউটিউব আপনাকে রিয়েল একজন কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসাবে ধরবে।
অনেক কিছু বললাম তো এই ছোট্ট বিষয়গুলো একটু মাথায় রেখে ইউটিউব এ কাজ করেন তাহলে ইনশাল্লাহ কোনরকম কোনো সমস্যা হবে না।
এবং কয়েক দিনের মধ্যেই মনিটাইজেশন পেয়ে যাবেন।
তো আজকের পোস্ট টি এ পর্যন্তই ছিল দেখা হচ্ছে নতুন কোন পোস্টের মাধ্যমে ততক্ষণ সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন আজকের মত আল্লাহ হাফেজ।
Bitcoin,Paypal,Skrill, সহ যেকোন ডলার এক্সচেঞ্জ করে বিকাশে টাকা নিতে এই পেজে যোগাযোগ করুন।




সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar