ad720-90

ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে কম সময় দিলে লাভ বেশি


সামাজিক যোগাযোগের সাইটে সময় কম দিলে সুফল পাওয়া যায়। ছবি: রয়টার্সফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও স্ন্যাপচ্যাট ব্যবহার কমিয়ে দেওয়ার সরাসরি সুফল পাওয়ার কথা বলেছেন গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, যাঁরা সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় এ তিনটি ওয়েবসাইট ব্যবহার সীমিত করেছেন তাঁরা আর একাকিত্বে ভোগেন না বা তাঁদের বিষণ্নতা কমতে দেখা যায়। যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা তাঁদের সাম্প্রতিক গবেষণায় এ তথ্য পেয়েছেন।

গবেষণার শিরোনাম ছিল ‘নো মোর ফোমো: লিমিটিং সোশ্যাল মিডিয়া ডিক্রিজ লনলিনেস অ্যান্ড ডিপ্রেশন’। ওই গবেষণার অংশ হিসেবে তাঁরা ১৪৩ জন শিক্ষার্থীকে তিন সপ্তাহ পর্যবেক্ষণ করেন।

গবেষকেরা শিক্ষার্থীদের দুটি দলে ভাগ করেন। একটি দলের শিক্ষার্থীরা স্বাভাবিকভাবে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ব্যবহার চালিয়ে যান। অন্য দলটি প্রতিদিন ১০ মিনিট করে প্রতিটি সামাজিক যোগাযোগের সাইট ব্যবহার করেন। শিক্ষার্থীরা তাদের আইফোনের ব্যাটারি ব্যবহারের স্ক্রিনশট পাঠান। এতে গবেষকেরা কোনো শিক্ষার্থী প্রতিদিন কতটুকু অ্যাপ ব্যবহার করেছেন সে তথ্য পান।

গবেষণায় দেখা যায়, যে শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ব্যবহার সীমিত করেছেন, তাঁদের মধ্যে বিষণ্নতার উপসর্গ কম।

ওই গবেষকদলের মধ্যে একজন গবেষক বলেন, ‘নিজের জীবনের সঙ্গে অন্যের জীবনের তুলনা না করার একটি শক্তিশালী প্রভাব দেখা যায়। যখন সামাজিক যোগাযোগের সাইট থেকে দূরে থাকা যায় তখন নিজের মধ্যে ইতিবাচক দিক ফুটে ওঠে।’

এ গবেষণা নিয়ে ফেসবুক ও স্ন্যাপচ্যাটের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

এর আগের অনেক গবেষণায় সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ব্যবহারের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সম্পর্ক দেখা গেছে। তবে এই গবেষণায় প্রথমবারের মতো সামাজিক যোগাযোগের সাইট ব্যবহার সীমিত করার সরাসরি সুফলের কথা জানা গেল। এতে একাকিত্ব ও বিষণ্নতা থেকে মুক্তি পাওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে।

গবেষণায় বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলো পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সাহায্য করে এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু এর ব্যবহার কমালে সুফলও পাওয়া যায়। তথ্যসূত্র: সিএনবিসি ও স্ন্যাশডট।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar