ad720-90

অ্যান্টার্কটিকার বরফ গলে ফের হবে মহাপ্লাবনের শঙ্কা বিজ্ঞানীদের


পৃথিবীর সবক’টি মহাসাগরের পানিস্তর ৩০ ফুটেরও বেশি উঠে এসেছিল। ভূপৃষ্ঠের প্রায় পুরোটাই চলে গিয়েছিল পানি তলায়। নেপথ্যে  অ্যান্টার্কটিকার বরফের বিশাল বিশাল খন্ড গলে যাওয়া।

খুব একটা দূর অতীতের ঘটনা নয়। মাত্র সওয়া এক লক্ষ বছর আগেকার কথা। ঠিক তেমনটাই ঘটতে চলেছে আবার। কুমেরুর বরফের খন্ডগুলি খুব দ্রুত গলে যাচ্ছে বলে। আর এ বার সেই মহাসাগরগুলির পানিস্তর উঠে আসবে কম করে ৭০/৮০ ফুট! মানে, প্রায় ৬/৭ তলা বাড়ির সমান!

তফাতটা শুধু একটা জায়গায়। তখন কুমেরুর বরফের বিশাল বিশাল খন্ডগুলি গলে যাওয়ার পিছনে মানবসভ্যতার কোনও হাত ছিল না। তা ছিল একেবারেই প্রাকৃতিক ঘটনা। আর এ বার সেই ভয়াবহ ঘটনা ঘটতে চলেছে আমাদের জন্যই, উষ্ণায়নের দৌলতে। যে ঘটনা আগামী ১০ বা ৫০ বছরের মধ্যে ঘটতে পারে। ৫০০/৭০০ বছরের (সঠিক হিসেবে, ৪৭৫ বছর) মধ্যে সেই পৃথিবীকে ডুবিয়ে দেওয়ার মতো মহাপ্লাবনের আশঙ্কা অন্তত ৭০ শতাংশ।

ওরেগন স্টেট ইউনিভার্সিটির ক্লাইমেট সায়েন্স বিভাগের হালের একটি গবেষণায় মিলেছে সেই ভয়াবহ ভবিষ্যতের অশনি সংকেত।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাইমেট সায়েন্স বিভাগের সিনিয়র প্রফেসর আন্দ্রেজ কার্লসনের নেতৃত্বে সেই গবেষকদলে রয়েছেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়েরই আরও দুই অধ্যাপক। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘সায়েন্স’-এ। গবেষণাপত্রটি এই ডিসেম্বরেই পড়া হয়েছে ওয়াশিংটনে আমেরিকান জিওফিজিক্যাল ইউনিয়নের (এজিইউ) বৈঠকে।

গবেষকরা দেখেছেন, গত দেড় থেকে দু’দশক ধরে যে গতিতে গলে গিয়ে পাতলা হয়ে গিয়েছে সেখানকার বরফের অত্যন্ত পুরু ও বিশাল খন্ডগুলি, তাতে কুমেরুর পশ্চিম প্রান্তের বরফের খন্ডগুলি (ওয়েস্ট অ্যান্টার্কটিকা আইস শিট) আরও দ্রুত ও আরও বেশি পরিমাণে গলে যাবে। এমনকি, আগামী ৩০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে সেই আশঙ্কা বেড়ে যাবে আরও ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ।

গবেষণা এও বলছে, প্রতি শতাব্দীতে ৮ থেকে ১০ ফুট করে উঠছে ও উঠবে মহাসাগরগুলির পানিস্তর। তার মানে আরও ৮০ ফুট উঠতে আরও ৮ শতাব্দী লাগার কথা। যার অর্থ ২৮০০ সালের মধ্যেই সেই মহাপ্লাবন হবে পৃথিবীতে। আর সেই ‘হিমশৈলে’র চূড়াটা দেখা যাবে আর ৫০০ বছরের (২৫০০ সাল) মধ্যেই।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar