ad720-90

“মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা হওয়া উচিৎ গুগলের মতো”


ড. স্টিফেন ক্লাসকো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টমাস
জেফারসন ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট। তিনি একইসঙ্গে সেফারসনহেলথ-এর সিইও। তার মতে, মার্কিন
মেডিকেল স্কুলগুলোয় ছাত্রসংগ্রহ পদ্ধতি ‘পুরোই ভুল’।

আধুনিক বিজ্ঞানের জগতে তারা এখনও দেখে কোনো শিক্ষার্থী
রাসায়নিক সমীকরণ মনে রাখতে পারে কি-না। অথচ দেখা দরকার ছিল তাদের (ছাত্রছাত্রীদের)
উদ্যম, জটিল চিন্তাক্ষমতা এবং দরদ আছে কি-না- বলেন এই শিক্ষক।

তার মতে, এই শিক্ষাপদ্ধতি তৈরিই করা হয়েছে “চিকিৎসকদের
সৃজনশীলতা ধ্বংস করা জন্য”।

ড. ক্লাসকো এখন চেষ্টা করছেন তার বিশ্ববিদ্যালয়কে
নতুন এক ধারায় পরিচালিত করতে যেটা মাউন্ট সিনাই, স্ট্যানফোর্ড বা ইয়েল ইউনিভার্সিটিও
করছে। উল্লিখিত প্রতিটি মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ই এখন তাদের মেডিকেল স্কুলগুলোয় ছাত্রছাত্রী
ভর্তির বেলায় প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলোর বিভিন্ন পদ্ধতি কাজে লাগাতে চাইছে।

ড. ক্লাসকোর ছেলে গুগলে চাকরির জন্য গিয়েছিলেন।
“সেখানে তারা কোনো সনদ বা নম্বরপত্র দেখতে চায়নি। ওরা তাকে একসারি প্রশ্ন করেছে ও জবাব
থেকে বুঝার চেষ্টা করছে সে তৎক্ষণাৎ কোনো ভালো সমাধান দিতে পারে কি-না।”

মার্কিন সংবাদসাইট এমএসএনবিসি’র সঙ্গে সাক্ষাৎকারে
ড. ক্লাসকো বলেন, – “আমাদের উচিৎ মেডিকেলে ছাত্রছাত্রীদের আরও মানবিক করে তোলা।”

“এখন যে পদ্ধতি চালু আছে তাতে করে আপনি হয়ে উঠবেন
সবচেয়ে অসামাজিক ব্যক্তি। এরপর ক্লাসের পরীক্ষায় আপনি যখন প্রশ্নপত্রে সঠিক জায়গায়
টিকমার্ক দিতে পারবেন, ওরা আপনাকে রোগী দেখতে পাঠিয়ে দেবে।”

জেফারসন ইউনিভার্সিটি এখন মানবিক বিভাগ, ডিজাইনবিষয়ক
বিশ্ববিদ্যালয় এবং নাট্যবিভাগের নতুন স্নাতকদের উদ্বুদ্ধ করছে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে
চিকিৎসাবিজ্ঞান পড়ার জন্য। সম্প্রতি তারা প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির সঙ্গে একটি চুক্তি
করেছে যার ফলে প্রিন্সটনের অন্তত ১২ জন শিক্ষার্থী প্রতি বছর নূনতম সংখ্যক বিজ্ঞানের
বিষয় পড়েও এখানে চিকিৎসাবিজ্ঞান পড়তে পারবেন।

চিকিৎসক বেন কু হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কাজ
করেন। তাকে একবার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল ফিলাডেলফিয়ার সবচেয়ে চমৎকার ডাক্তার হিসেবে। এখন
এই বিশ্ববিদ্যালয়ে তার অধীনেই একটি কোর্স চালু করা হয়েছে যেখানে তিনি আগামীদিনের ডাক্তারদের
চিকিৎসা চিন্তাপদ্ধতি সম্পর্কে পড়ান।

ড. ক্লাসকো মনে করেন, রোগীর লক্ষণ দেখে ওষুধ
বা পরীক্ষা সুপারিশ করবে এমন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যত উজ্জ্বল। আর সেটি সম্ভব
হলে চিকিৎসকরা অন্যান্য বিষয়ে মনোযোগ দিতে পারবেন।

অনেক বৈজ্ঞানিক বিষয়আসয় এখনও ছাত্রছাত্রীদের
মুখস্ত করতে হয় যেটি অসম্ভব কঠিন। ড. ক্লাসকোর মতে, “আর চিকিৎসাবিজ্ঞানে সেটি দ্বিগুণ
কষ্টকর।”

“দিন শেষে আপনি রোগীর কথা শুনছেন কি-না এবং তাদের
সঙ্গে আলাপ করতে পারছের কি-না সেটিই চিকিৎসার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।”





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar