ad720-90

টেলিনরের চোখে এবছর সাড়া ফেলবে যে ৭ প্রযুক্তি


সোমবার ঢাকার বসুন্ধরার জিপি হাউজে
অনুষ্ঠিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন টেলিনর রিসার্চের ভাইস প্রেসিডেন্ট
বিয়র্ন হ্যানসেন।

প্রতিবেদন প্রকাশের পর একটি আলোচনার
অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় যেখানে আলোচক ছিলেন গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী মাইকেল ফোলি।

টেলিনর গ্রুপের গবেষণা প্রতিষ্ঠান
টেলিনর রিসার্চের বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা প্রতিবছর ভবিষ্যতের সম্ভাবনাময় ও
বিশ্বজুড়ে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে এমন সাতটি প্রযুক্তি নিয়ে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেন।

এ বছরের বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে ডিপফেক,
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ফাইভ জি’র প্রসার, আইওটি (ইন্টারনেট
অব থিংস) এর বিস্তৃত ব্যবহারের উত্থান, বাসায় ব্যবহারে ভয়েস অ্যাক্টিভেটেড চ্যাটবটস
এবং সচেতনতামূলক বিষয় যেমন ডিজিটাল স্ক্রিনে থাকার সময়ের নিয়ন্ত্রণ ও মোবাইলচালিত গ্রিন
টেকনোলজি।

হেড অব টেলিনর রিসার্চ বিয়র্ন টালে
স্যান্ডবার্গ বলেন, “চলতি বছর যুগান্তকারী উদ্ভাবনী প্রযুক্তির ব্যবহার আগের যে কোনো
সময়ে চেয়ে ব্যাপক পরিসরে হবে বলেই আমরা মনে করি।

“যত পথই পাড়ি দিতে হোক না কেন; আমরা
চাই, আমাদের জীবনে প্রযুক্তির ব্যবহার যেন নিরাপদ, বাস্তব ও ইতিবাচক হয়।”

টেলিনর রিসার্চের মতে, অতিউন্নত
অ্যালগরিদম সহজেই জাল ছবি ও ভিডিও তৈরি করতে পারবে। ২০১৯ সালে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান,
অপারেটর এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো ডিপফেক কন্টেন্ট হ্রাসে কাজ করবে এবং এ নিয়ে বিস্তৃত
পরিসরে গণসচেতনতামূলক নানা কর্মসূচির আয়োজন করবে।

ফাইভ জি প্রযুক্তির সম্ভাবনা পুরোপুরি
উপলব্ধি এই বছরই বিশ্ববাসী করবে বলে টেলিনর মনে করে। 

তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯ সালে
লো-পাওয়ার ওয়াইড-এরিয়া (এলপিডব্লিউএ) ইকোসিস্টেমে ইন্ডাস্ট্রিয়াল আইওটির মাধ্যমে প্রোটোটাইপ
থেকে বৃহৎ পর্যায়ে কমার্শিয়াল ডেপ্লয়মেন্ট (বাণিজ্যিক স্থাপনা) ঘটবে। বৃহদায়তনে আইওটি
শিল্প বিশেষ করে স্মার্টসিটি, শিল্প উৎপাদন এবং প্রক্রিয়াজাত শিল্প যেমন- শিপিং, ট্রাফিক
ও ট্রান্সপোর্ট মনিটরিং ও ফিশারিজ গড়ে উঠবে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, টেক্সট-নির্ভর
চ্যাটবটস, ভয়েস-অ্যাক্টিভেটেড চ্যাটবটসে রূপান্তরিত হবে। বাসার প্রতিদিনকার কাজের রুটিনগুলো
অত্যন্ত সহজে ভয়েস-অ্যাক্টিভেটেড চ্যাটবটস নির্ভর স্মার্ট ভয়েস-রিকগনিশনের নানা অ্যাপ্লিকেশনের
মাধ্যমে করে ফেলা যাবে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্জ্য হ্রাস
ও বিশ্বজুড়ে মানুষের জন্য পরিবেশবান্ধব অভ্যাস গড়ে তোলায় বিশ্বাসী ভোক্তাদের মধ্যে
সচেতনতা তৈরি করছে মোবাইলচালিত সবুজ প্রযুক্তি।

২০১৭-১৮ সালে কম খাবার নষ্ট করা,
রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম, সাইকেল দিয়ে খাবার ডেলিভারি সেবা এবং ইলেক্ট্রিক গাড়ি ব্যবহারের
মাধ্যমে বাংলাদেশে ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত বেশ কিছু পদক্ষেপ লক্ষ্য করা গিয়েছে। পরিবেশবান্ধব
আরও বেশি নীতিমালা ও নতুন উদ্যোগের বিস্তৃতি ঘটবে বলে এ প্রতিবেদনে আশাবাদ ব্যক্ত করা
হয়েছে।

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী মাইকেল
ফোলি বলেন, “ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে অন্যতম সহযোগী হিসেবে গ্রামীণফোন ধারাবাহিকভাবে
এ দেশের বাজারে নতুন উদ্ভাবন নিয়ে আসবে এবং মানুষকে তার চাহিদা অনুযায়ী সেবা প্রদান
করবে পাশাপাশি সমাজের ক্ষমতায়নেও বিশেষ ভূমিকা রাখবে। এ ব্যাপারে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।’





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar