ad720-90

কনটেইন্ট ফিল্টারে সক্ষমতা মার্চের মধ্যেই: মন্ত্রী


তিনি মঙ্গলবার ঢাকার কারওয়ান বাজারে সফটওয়্যার টেকনোলোজি পার্কে ইউনিসেফ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্যে এই আশার কথা শোনার।

মন্ত্রী বলেন, “ইতোমধ্যে আমাদের বেশ কয়েকটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে বা হওয়ার পথে। যেখানে আমরা কনটেইন্ট ফিল্টারিংয়ের ক্যাপাবিলিটি অর্জন করব। যেটা আমাদের খুব দরকার ছিল।

“আমরা আশা করছি, মার্চ মাসের মধ্যে প্রযুক্তিকে এমন জায়গায় নিয়ে যেতে পারব, যেন পর্নোসাইট বা এ ধরনের বিপজ্জনক সাইটগুলোকে এক জায়গা থেকেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ঘর থেকেই এগুলো বন্ধ করার বা নিয়ন্ত্রণ করার অবস্থা আমাদের কাছে আসবে।”

নিরাপদ ইন্টারনেট দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশে শিশুদের অনলাইন নিরাপত্তা’ শীর্ষক একটি সমীক্ষার ফলাফল তুলে ধরে ইউনিসেফ বাংলাদেশ।

সমীক্ষায় দেখা যায়, বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ১০ থেকে ১৭ বছর বয়সী ৩২ শতাংশ শিশু অনলাইন সহিংসতা, অনলাইনে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও ডিজিটাল উৎপীড়নের শিকার হওয়ার মতো বিপদের মুখে রয়েছে।

দেশের স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার ১ হাজার ২৮১ জন স্কুলগামী ১০ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের উপর জরিপটি পরিচালনা করা হয়।

এতে দেখা যায়, দেশের ২৫ শতাংশ শিশু ১১ বছর বয়সের আগেই ডিজিটাল জগতে বিচরণ শুরু করে। এই শিশুদের ৬৩ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারের স্থান হিসেবে বেছে নেয় তাদের নিজেদের কক্ষকে।

পর্নোগ্রাফিকে ‘সবচেয়ে বড় বিপদ’ আখ্যায়িত করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, “এটা থেকে যদি আমরা শিশুদের রক্ষা করতে না পারি, তাহলে বাকি চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করা সম্ভবপর হবে না।”

শিশুদের ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে তাদের চেয়ে বাবা-মা বা অভিভাবকের সচেতনতা বাড়ানো জরুরি বলে মনে করেন তিনি।

শিশুদের সুরক্ষার জন্য বিশেষ করে শারীরিক নিরাপত্তা ও সচেতনতা তৈরির জন্য একটি অ্যাপ তৈরির কথাও বলেন মোস্তাফা জব্বার।

ইউনিসেফের সমীক্ষায় দেখা গেছে ৭০ শতাংশ ছেলে ও ৪৪ শতাংশ মেয়ে অনলাইনে অপরিচিত মানুষের বন্ধুত্বের অনুরোধ গ্রহণ করে। এমনকি জরিপে অংশগ্রহণকারীদের একটি অংশ তাদের নিরাপত্তাকে ঝুঁকিতে ফেলে সেই অনলাইন ‘বন্ধুদের’ সঙ্গে সরাসরি দেখা করার কথাও স্বীকার করেছে।

বিভিন্ন ধরনের সাইবার অপরাধের মধ্যে ধর্মীয় উস্কানি দেওয়ার বিষয়টিও সমীক্ষায় উঠে এসেছে।

জরিপে অংশগ্রহণকারী প্রায় ১০ শতাংশ শিশু ধর্মীয় উস্কানিমূলক বিষয়বস্তুর মুখোমুখি হওয়ার অভিযোগ করে। কিশোর বয়সীরা ১৬ থেকে ১৭ বছর বয়সীরা অন্য বয়সী শিশুদের তুলনায় অনেক বেশি এই ধরনের উস্কানিমূলক বিষয়বস্তুর সম্মুখীন হয়।

সমীক্ষায় উঠে এসেছে, বাংলাদেশে অনলাইনে বিচরণের সুযোগ ও ব্যবহারের দিক থেকে ছেলেরা (৬৩%) মেয়েদের (৪৮%) চেয়ে এগিয়ে।

ইন্টারনেটে নিয়মিত সবচেয়ে বেশি যে দুটি কাজ তারা করে, তা হল অনলাইন চ্যাটিং (বার্তা আদান-প্রদান) ও ভিডিও দেখা। প্রতিদিন গড়ে ৩৩ শতাংশ সময় চ্যাট এবং ৩০ শতাংশ সময় ভিডিও দেখায় ব্যয় হয়।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে ইউনিসেফের মিশন প্রধান এদুয়ার্দ বেগবেদার শিশুদের জন্য ইন্টারনেটকে নিরাপদ একটি ক্ষেত্রে পরিণত করতে ব্যাপক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, “ইন্টারনেটের সবচেয়ে খারাপ দিক থেকে সুরক্ষিত রেখে সবচেয়ে ভালো দিকগুলো ব্যবহারের সুযোগ তৈরি করার মাধ্যমে আমরা প্রত্যেকে ভালোর জন্য ভারসাম্য আনতে সহায়তা করতে পারি।”





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar