ad720-90

বিপিও সামিট ২১-২২ এপ্রিল


দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং বা বিপিও খাতের অবস্থান তুলে ধরতে ২১ ও ২২ এপ্রিল চতুর্থবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০১৯’।

রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে অনুষ্ঠেয় দুই দিনের বিপিও সামিট বাংলাদেশ-২০১৯-এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে এবং তাঁর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত থাকবেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক প্রমুখ।

বিপিও সামিট বাংলাদেশ-২০১৯ সম্পর্কে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের (বাক্য) সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ বলেন, ২০১৫ সালে বিপিও সেক্টর সম্পর্কে জনগণের তেমন কোনো ধারণা ছিল না। তিনবারের বিপিও সামিট আয়োজনের ফলে এখন সবাই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত। বিপিও খাতে উন্নয়নের জন্য এ সামিট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আয়োজন সম্পর্কে বাক্যর সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন জানান, ‘সব শ্রেণির মানুষের চাকরির সুযোগ রয়েছে বিপিও সেক্টরে। আমরা এ সামিটে তা তুলে ধরার চেষ্টা করব।’ তিনি বলেন, ‘বিপিও সেক্টরে দেশের যেকোনো জায়গায় বসে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। বিপিও সামিটে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দক্ষ তরুণদের এনে চাকরির দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের রপ্তানির অসীম সম্ভাবনা রয়েছে। এ যাত্রা বর্তমান সরকারের আমলে শুরু হয়েছে। আগে আমরা প্রযুক্তি পণ্য আমদানিকারক দেশ ছিলাম, বর্তমানে আমরা উৎপাদন ও রপ্তানি করছি।’

বাক্যের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিপিও সামিট বাংলাদেশ-২০১৯ আয়োজন সফল করার জন্য দেশব্যাপী পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হবে এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পেইন চলাকালীনও প্রচারণার মাধ্যমে সিভি সংগ্রহ করা হবে।

এর আগে ২০১৬ সালে সরাসরি সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে এই সম্মেলন থেকে কল সেন্টারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাকরি পেয়েছেন তিন শতাধিক শিক্ষার্থী। ২০১৫ সালে প্রথম বিপিও সম্মেলন থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেয়েছিলেন ২৩৫ শিক্ষার্থী।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দুই দিনের আয়োজনে দেশি-বিদেশি তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, সরকারের নীতিনির্ধারক, গবেষক, শিক্ষার্থী এবং বিপিও খাতের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা অংশ নেবেন।

প্রযুক্তি ব্যবসা বিশেষ করে আউটসোর্সিং ব্যবসা পরিচালনা, ব্যবসার উন্নয়ন ও বিনিয়োগের আদর্শ দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে ইতিমধ্যে পরিচিতি পেয়েছে।

এবারের আয়োজনে দেশের আউটসোর্সিং খাতে আরও কীভাবে ভালো করা যায়, সে বিষয় বিশ্বকে জানানো হবে এবং সরকারের রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নে বিপিও খাতের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরা হবে। বিপিও খাতে দক্ষ ও পর্যাপ্ত জনবল তৈরিও এই সামিটের অন্যতম লক্ষ্য। বিপিও খাতে ২০২১ সালের মধ্যে এক লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে এ আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করেন আয়োজকেরা।

এবারের আয়োজনে ৪০ জন স্থানীয়, ২০ জন আন্তর্জাতিক স্পিকার অংশগ্রহণ করবেন। এবারের বিপিও সামিটে ১২টি সেমিনার ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে।

সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগে’র আওতাধীন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের (বাক্য) আয়োজনে এই সামিট অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

আয়োজনে অংশীদার হিসেবে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), বাংলাদেশ উইমেন ইন টেকনোলজি (বিডব্লিউআইটি), আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) ও বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইমপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশন (বিএমপিআইএ) ইত্যাদি।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar