টেলিযোগাযোগ বিভাগের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল করার সিদ্ধান্ত
লাস্টনিউজবিডি,১লা সেপ্টেম্বর: পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল প্রতিষ্ঠান হিসেবে রূপান্তরের মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন বিটিসিএল, ডাক অধিদপ্তর ও টেলিফোন শিল্প সংস্থার ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত ১৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সভাপতিত্বে এই বিভাগের ব্যবস্থাপনাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের পরিচালনা পর্ষদ ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সাথে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে পূর্ণাঙ্গ ডিটিটাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে রূপান্তরের এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বৈঠকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, বিটিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইকবাল মাহমুদ, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এসএস ভদ্র, টেশিস ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফকরুল ইসলাম এবং বিজয় ডিজিটাল এর সিইও জেসমিন জুঁই ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল বিপ্লবের দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী এবং ডাক ও টেলিযোগাাযোগ বিভাগ ডিজিটাল মহাসড়ক নির্মাণসহ ডিজিটাল অবকাঠামো নির্মাণ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই বিভাগের অধীন প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ডিজিটালাইজড করা এই বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ একটি দায়িত্ব। এরফলে ক্লাসরুমে বই পেন্সিলের পরিবর্তে ডিজিটাল কনটেন্ট দিয়ে পড়ালেখা করানো সম্ভব। ডিজিটালাইজেশনের অংশ হিসেবে এই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে ডিজিটাল হাজিরা ও ফলাফলসহ প্রতিষ্ঠানে ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম ডিজিটালাইজড করা হবে।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, প্রাইমারি থেকে পাঠ প্রদান কার্যক্রম ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমুহ থেকে শুরু করতে চাই। এর ফলে অন্যরাও এগিয়ে আসবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ছাত্রদের জন্য চিন্তা নাই। শিক্ষকদেরকে ডিজিটাল পাঠ প্রদানের জন্য সক্ষমতা তৈরি করার প্রয়োজন হলে তা করা হবে। প্রাথমিক স্তর পর্যন্ত কনটেন্ট আছে তবে হাইস্কুলের জন্য যথোপযুক্ত কনটেন্ট না থাকলেও বিদ্যমান কনটেন্ট দিয়ে যাত্রা আমরা শুরু করতে চাই।
ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরিচালিত দেশের প্রায় একহাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠ্য কার্যক্রমের দৃষ্টান্ত তুলে ধরে কম্পিউটারে বাংলা সফটওয়্যারের জনক মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রচলিত পাঠ্যক্রমের এক বছরের সিলেবাস ডিজিটাল কনটেন্টের মাধ্যমে শেষ করতে একমাসের বেশী সময় লাগে না।
তিনি বলেন, কম্পিউটার শুধু বাংলা লেখার যন্ত্র না, প্রোগ্রামিংয়ের যন্ত্র না, কম্পিউটার সবচেয়ে বড় উপকারি হচ্ছে শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য।
তিনি বলেন, ‘কম্পিউটারে শিক্ষা বিস্তারের কাজটা যখন শুরু করি তখন কনটেন্ট ছিল না। আমি দৃঢ়তার সাথে বলছি, পরিবর্তনটা একদম গোড়া থেকে হতে হবে’।
তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহকে ডিজিটাল করতে শিক্ষকদের ডিজিটাল শিক্ষা দানের উপযোগী করে তৈরি করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, টিচার তৈরি না হলে কেবল যন্ত্রপাতি দিয়ে স্কুল ডিজিটাল করা যাবে না।
লাস্টনিউজবিডি/আনিছ
- সমপ্রেমে মিলল ভারত-পাকিস্তান!
- ভিক্ষুক থেকে ৫০ কোটি টাকার মালিক!
- ৩৯ বছর বয়সে ৩৮ সন্তানের মা!
- ডাস্টবিনে প্লাস্টিকের বোতল ফেলল কাক(ভিডিও)
- মানব-প্রেমেই ডলফিনদের সর্বনাশ!
- মুসলিম ফ্যাশনকে নতুন মাত্রা দিচ্ছেন ইন্দোনেশিয়ার ডিজাইনার
সর্বশেষ সংবাদ
- সংঘর্ষের পরে চবি অবরোধ, অপহরণ ট্রেন চালক
- টেলিযোগাযোগ বিভাগের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল করার সিদ্ধান্ত
- কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি আবেদন শুরু
- কলাপাড়ায় মাদক বিরোধী অভিযানে ইয়াবাসহ গ্রেফতার ৭
- জামিনের জন্য আবেদন করেছেন এনামুল বাছির
- চট্টগ্রামের ফিরিঙ্গী বাজারে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের শাখার শুভ উদ্বোধন
- পুলিশকে টার্গেট করেই এই বিস্ফোরণ: ডিএমপি কমিশনার
- মিন্নির জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল
- গ্লোবাল ফোরামে যোগ দিতে এফবিসিসিআই বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের কানাডা যাত্রা
- ”মোটা টাকা নিয়ে পাকিস্তানের চরবৃত্তি করছে বিজেপি”
- বাগেরহাটে পৃথক পৃথক ভাবে বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
- কুড়িগ্রামে বিএনপি’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর র্যালীতে পুলিশের বাঁধা
Comments
So empty here ... leave a comment!