ad720-90

মেইলের ভুলে প্রকাশ হিজড়াদের তালিকা


লন্ডনের চ্যারিং ক্রস জেন্ডার আইডেন্টিটি ক্লিনিক
থেকে দাওয়াতের যে দুটি মেইল পাঠানো হয়েছিল তাদের রোগীদের কাছে, ভুল করে সেখানেই
যোগ করা হয়েছে আরো প্রাপকের ইমেইল ঠিকানা। দুটি ইমেইলেই প্রায় ৯০০ জন করে যোগ করা
হয় প্রাপকের তালিকায়। কিছুক্ষণ পরেই ভুলটি বুঝতে পেরে মেইল দুটির বিলি বন্ধ করার
চেষ্টা করা হয় বটে, কিন্তু ততক্ষণে তা আর ঠেকানোর উপায় ছিল না- খবর বিবিসির।

দৈনিক গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় দুই
হাজার রোগীর তথ্য এ ঘটনায় প্রকাশিত হয়েছে।

ইমেইল পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রচলিত পদ্ধতিতে যেসব
ইমেইল ঠিকানা গোপন রাখাতে হবে সেগুলো বিসিসি শ্রেণিতে যোগ করা হয়, যার মানে
ব্ল্যাংক কার্বন কপি। ওই শ্রেণিভুক্ত ঠিকানাগুলো অন্য কোনো প্রাপকই দেখতে পারেন
না। পাঠানো মেইলদুটিতে ওই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়নি।

জেসি নামের একজন রোগী এই ঘটনায় ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া
জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এমন একটি প্রতিষ্ঠানে যেখানে হিজড়ারা চিকিৎসা নেন, তাদের
আরও দায়িত্বশীল হওয়া উচিৎ ছিল।

ক্লিনিকটির জন্য দায়বদ্ধ প্রতিষ্ঠান দ্য
ট্র্যাভিস্টক অ্যান্ড পোর্টম্যান এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট বলেছে তারা বিষয়টির
তদন্ত করছে। প্রতিষ্ঠানটির এক মুখপাত্র বলেছেন, “একটি আর্ট প্রজেক্টে আমরা দাওয়াত
দিচ্ছি এমন ব্যক্তিদের ইমেইল ঠিকানা দুর্ভাগ্যক্রমে প্রকাশিত হয়ে গিয়েছে। ওই
ঠিকানাগুলো অপ্রকাশিত থাকার কথা ছিল।”

প্রতিষ্ঠানটি গোটা বিষয়টি ব্রিটিশ তথ্য কমিনারের
অফিসকে জানিয়েছে।

যে কোনো চিকিৎসাকেন্দ্রেরই রোগী তালিকাকে গোপনীয় বলে
বিবেচনা করা হয়। লৈঙ্গিক পরিচয় সংক্রান্ত বিষয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন এমন রোগীর তথ্যকে
আরও সংবেদনশীল বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। ফলে, এই ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটিকে বড় অংকের
জরিমানা গুণতে হতে পারে।

২০১৬ সালে প্রায় একই ধরনের ঘটনায় ৮০০ রোগীর তথ্য
প্রকাশিত হওয়ায় একটি ক্লিনিককে এক লাখ ৮০ হাজার পাউন্ড জরিমানা করা হয়। ওই ঘটনার
সময় ব্রিটেনে জেনালের ডেটা প্রটেকশন অ্যাক্ট চালু হয়নি। বর্তমানে চালু এই আইনের
অধীনে সর্বোচ্চ দুই কোটি ইউরো অথবা প্রতিষ্ঠানটির এক বছরে বৈশ্বিক লেনদেনের শতকরা
চার ভাগ পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar