ad720-90

বাংলাদেশে সাইবার অপরাধের শিকার ‘৬৭ শতাংশই’ নারী


রোববার
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে
‘বাংলাদেশে সাইবার অপরাধের প্রবণতা’ শীর্ষক
প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এ তথ্য তুলে ধরে সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন।

সাইবার
অপরাধের শিকার ১৩৪ জনকে নিয়ে তাদের করা এক জরিপের তথ্য দিয়ে ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী
মুস্তাফিক বলেন,
 “সাইবার অপরাধের প্রবণতা
বেড়েছে। ২০১৮ সালে নতুন চার ধরণের অপরাদের প্রবণতা
বেড়েছে।”

সাইবার
অপরাধের শিকার নারীদের সংখ্যা বাড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,  “সাইবার অপরাধে আক্রান্তদের ৬৭
দশমিক ৯ শতাংশই নারী।”

তবে
৮০ শতাংশ সাইবার ভুক্তভোগীই
আইনের আশ্রয় নিতে আসেননি বলেও জানানো হয় অনুষ্ঠানে।

কম্পিউটার
ব্যবহার বাড়ার
সাথে সাথে সাইবার অপরাধ বাড়ছে উল্লেখ করে এই অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে
সচেতনতা মূখ্য ভূমিকা পালন করবে বলে সভায় বক্তারা মত প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে
থিংক ট্যাংক ফর সিকিউরিটি ডিজিটাল বাংলাদেশের আহ্বায়ক সৈয়দ জাহিদ হোসেন বলেন, “যারা সাইবার অপরাধ করছে তাদের একটা বড় অংশ আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার ইচ্ছা
থেকে এ কাজ করছে। এছাড়া অন্যান্য
কারণেও এই ধরনের
অপরাধ চলছে।”

সাইবার
জগতে
‘সোশাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাটাক’ চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এই ধরনের সাইবার আক্রমণ থেকে আমাদের সবারই সচেতন হতে হবে। সোশাল মাধ্যমসহ অন্যান্য ব্যক্তিগত
অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তার জন্য নিয়মিত আপডেট থাকতে হবে।”

আগামী
১ অক্টোবর থেকে সাইবার সচেতনতা মাস শুরু উপলক্ষে আয়োজিত এই
সভায় সৈয়দ জাহিদ হোসেন বলেন,  “শুধু এক মাস নয়, সারা বছর ধরে সাইবার আক্রমণে থেকে বাঁচতে মানুষকে সচেতন করা উচিৎ।”

ঢাকা
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মাহমুদা আফরোজ লাকী
বলেন, “আমাদের অজান্তেই অনেক তথ্য অপরের কাছে চলে যাচ্ছে। এই জন্য এসব বিষয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো দরকার।”

ফেইসবুকসহ
অন্যান্য সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারে সচেতনতা অবলম্বন করতে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা সব সময় পরামর্শ দেই মেসেঞ্জারের গোপনীয় বিষয়গুলো
ডিলিট করতে। কারণ এমন বহু ঘটনা ঘটেছে যে, কারও ফেইসবুক হ্যাকড করে মেসেঞ্জারের গোপন তথ্য ও ছবি নিয়ে টাকা দাবি করছে
হ্যাকার গ্রুপ।”

সাইবার
অপরাধ দমনে পুলিশের সীমাবদ্ধতা রয়েছে জানিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “এত বেশি ঘটনা এক সাথে ঘটে যে এগুলো দেখার মত আমাদের লোকবলই নেই। এই জন্য সবার আগে নাগরিকরাই যেন নিজেকে নিজে
থেকে নিরাপদ রাখতে পারে,
এমন ব্যবস্থা নিতে হবে।”

সাইবার
অপরাধ দমনে আইনে ১০ থেকে ২০ ভাগ প্রতিকার পাওয়া সম্ভব বলে মন্তব্য করে সাংবাদিক মিজানুর
রহমান খান বলেন,
 “বাকি সবগুলো দিক নিজেদের
থেকে সচেতন হয়ে নিজেকে রক্ষা করতে হবে।“

২০১৮
সালে সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে ৯২৭টি মামলা হলেও অন্যান্য ১৪টি দায়রা বিভাগে মাত্র
১২টি মামলা হয়েছে উল্লেখ করে মিজানুর রহমান খান বলেন, “হয়তো অনেকে সাইবার অপরাধের শিকার হয়েও ঢাকায় আসতে চাননি।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar