ad720-90

ফোল্ডএবল অ্যান্ড্রয়েড ফোন আনলো মাইক্রোসফট


অন্যান্য ফোল্ডএবল স্মার্টফোনের মতো পর্দার মধ্য দিয়ে ভাঁজ হবে মাইক্রোসফটের ডিভাইসটি এমন কিছু নয়। এক্ষেত্রে দুইটি ভিন্ন ভিন্ন পর্দা ব্যবহার করেছে প্রতিষ্ঠানটি। আর পর্দা দু’টির মধ্যে রাখা হয়েছে কব্জা। তাই একে প্রথাগত ফোল্ডএবল ডিভাইস না বলে দুই পর্দার ডিভাইস বলা যেতে পারে।

প্রযুক্তি সাইট ভার্জের প্রতিবেদনে বলা হয়, সারফেইস ডুয়োতে রাখা হয়েছে দুইটি আলাদা ৫.৬ ইঞ্চি পর্দা যা ৩৬০ ডিগ্রি ঘোরানো যায়। পুরোপুরি ভাঁজ খোলা অবস্থায় ডিভাইসটিকে ৮.৩ ইঞ্চি ট্যাবলেট আকারে ব্যবহার করা যাবে।

দুইটি পর্দায় একই সঙ্গে আলাদা আলাদা অ্যাপ চালানো যাবে ডিভাইসটিতে। আবার গ্রাহক চাইলে ডিভাইসটির ল্যান্ডস্কেপ মোডেও ব্যবহার করতে পারবেন। এক্ষেত্রে নীচের পর্দাটি কিবোর্ড বা গেইম কন্ট্রোলার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।

বুধবারের ইভেন্টে ছোট সংস্করণের সারফেইস ডুয়ো’র পাশাপাশি একই নকশার বড় সারফেইস নিয়ো উন্মোচন করেছে মাইক্রোসফট। তবে বড় এই ডিভাইসটিতে ব্যবহার করা হয়েছে উইন্ডোজ এক্স।  কার্যকারিতার দিক থেকে সারফেইস নিয়ো এবং ডুয়ো একইভাবে কাজ করে বলে জানানো হয়েছে।

সারফেইস ডুয়োকে স্মার্টফোন হিসেবেই মঞ্চে উল্লেখ করেছেন মাইক্রোসফটের প্রধান পণ্য কর্মকর্তা পানোস পেনেই। ফলে, ২০১৭ সালে উইন্ডোজ ফোন প্ল্যাটফর্ম বাতিল করার পর আবারও স্মার্টফোন বাজারে আসতে চাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে এবার স্মার্টফোন খাতে প্রতিষ্ঠানটি আসবে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে।

কোয়ালকমের স্ন্যাপড্রাগন ৮৫৫ প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে সারফেইস ডুয়োতে। আর মঞ্চে যে ডিভাইসটি উপস্থাপন করা হয়েছে তা এখনও প্রোটোটাইপ। তাই ডিভাইসটির পেছনে ক্যামেরা থাকবে কিনা বা অন্যান্য কী ফিচার থাকছে তা এখনও পাকা হয়নি।

২০২০ সালের ছুটির মৌসুমের আগে সারফেইস ডুয়ো বাজারে আসবে না বলে জানিয়েছে মাইক্রোসফট। এতে অ্যাপ ডেভেলপাররা নতুন হার্ডওয়্যারের জন্য যথেষ্ট সময় পাবেন বলে ধারণা প্রতিষ্ঠানটির।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar