ad720-90

ঘরোয়া পদ্ধতিতে খুসখুসে কাশি সারানোর উপায়


আবহাওয়ায় বা ঋতুতে নিজেকে মানিয়ে নিতে নিতে হঠাৎ আবহাওয়ার পরিবর্তনের সাথে আসে বিভিন্ন রোগের প্রভাব । আর আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে যে সমস্যাটি বেশী দেখা দেয় তা হল সর্দি-কাশি। তাছাড়াও আমাদের অনেকের জানা আছে ঠান্ডা ও ফ্লুয়ের কারণে কাশি হয়। তবে অ্যালার্জি, অ্যাজমা, এসিড রিফ্লাক্স, শুষ্ক আবহাওয়া, ধূমপান, এমনকি কিছু ওষুধ সেবনের ফলেও এ সমস্যা তৈরি হতে পারে। একটানা খুসখুসে কাশি বিরক্তিকর। অনেক ক্ষেত্রে আবার কফ জমাট বেধে ভয়ানক কাশিও হয়। একটু সচেতন হলে ওষুধ না খেয়েও এই খুসখুসে কাশি থেকেও রেহাই পাওয়া সম্ভব। চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগে ঘরোয়া কিছু উপায়ে এই সর্দি, কফ দূর করতে পারেন। আজ তাহলে এমন কিছু ঘরোয়া উপায়ের সাথে পরিচিত হওয়া যাক।

১। লবণ পানি

লবণ পানি বুকের সর্দি দূর করতে অনেক উপকার করে থাকে। বুকের সর্দি বা কফ এমন একটি সমস্যা , যার ফলে ঠিক মত কথা বলা যাই না এবং মাথা সবসময় ভার হয়ে থাকে। কফ দূর করতে সহজ এবং সস্তা উপায় হল লবণ পানি। লবণ শ্বাসযন্ত্র থেকে কফ দূর করতে সাহায্য করে খুব তাড়াতাড়ি।

এক গ্লাস কুসুম গরম পানির সাথে এক চা চামচ লবণ মিশিয়ে নিন। এটি দিয়ে দিনে দুই তিনবার কুলকুচি করুন। কফ অনেকটা কমে যাবে।

২। আদা

এক টেবিল চামচ আদা কুচি এক মগ পানিতে মেশান। এবার এটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ৫ মিনিট জ্বাল দিয়ে নিন। এরপর এতে সামান্য মধু মিশে নিন। দিনে তিনবার এই পানীয়টি পান করুন। এছাড়া এক চা চামচ আদা কুচি, গোল মরিচের গুঁড়ো, এবং লবঙ্গের গুঁড়ো দুধ অথবা মধুর সাথে মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি দিনে তিনবার পান করতে থাকুন। আপনি চাইলে এক টুকরো আদা নিয়ে মুখে চাবাতে পারেন। আদার রস বুকের কফ পরিষ্কার করতে সাহায্য করবে।

৩। পেঁয়াজ

সম পরিমাণের পেঁয়াজের রস, লেবুর রস, মধু এবং পানি একসাথে মিশিয়ে চুলায় জ্বাল দিন। কিছুটা গরম হলে নামিয়ে ফেলুন। কুসুম গরম এই পানি দিনে তিন থেকে চারবার পান করুন। এছাড়া পেঁয়াজের ছোট টুকরো খেতে পারেন। ফলে দ্রুতই কফ থেকে আরাম পেতে পারবেন।

৪। হলুদ

হলুদে থাকা কারকুমিন উপাদান বুক থেকে কফ, শ্লেষ্মা দূর করে বুকে ব্যথা দ্রুত কমিয়ে দেয়। এর অ্যান্টি  ইনফ্লামেটরি উপাদান গলা ব্যথা, বুকে ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে।

এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে এক চিমটি হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এটি দিয়ে প্রতিদিন কুলকুচি করুন।

এছাড়া এক গ্লাস দুধে আধা চা চামচ হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে জ্বাল দিন। এর সাথে দুই চা চামচ মধু এবং এক চিমটি গোল মরিচের গুঁড়ো মেশান। এই দুধ দিনে দুই থেকে তিনবার পান করুন। অনেক উপকার পাবেন।

৫। অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার

ভিনেগারের ব্যবহার অনেক ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। এক কাপ কুসুম গরম পানিতে দুই চা চামচ বিশুদ্ধ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এর সাথে এক চা চামচ মধু মেশান। এইবার এই পানীয়টি দিনে দুই তিনবার পান করুন। এক দুই সপ্তাহ পান করুন। দেখবেন বুকের কফ অনেক কমে গেছে।

৬। লেবু এবং মধু

আমরা জানি লেবু ও মধু দেহের জন্য কতটা উপকার। আর এই লেবু পানিতে এক চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন। মধু শ্বাসযন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সাহায্য করে। এমনকি এটি বুক থেকে কফ দূর করে গলা পরিষ্কার করে থাকে। সুতরাং লেবু এবং মধু কফের কার্যকারী হিসেবে কাজ করে।

৭। শক্ত ক্যান্ডি খেতে পারেন

এক পিস ক্যান্ডি খেয়ে দেখতে পারেন। ক্যান্ডি শক্ত কফ নরম করে দিতে সাহায্য করে এবং কাশি কমাতে সাহায্য করে।

৮। গরম পানির গড়গড়া:

গরম পানির গড়গড়া করলে গলাব্যথা কমে যায়। এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে আধা চা চামচ লবণ মিশিয়ে ১৫ মিনিট ধরে গার্গল করুন। এভাবে বিরতি দিয়ে কয়েকবার করুন। এটি কাশি কমাতে বেশ কার্যকর ঘরোয়া পদ্ধতি।

৯। গরম পানির ভাপ নিন:

ফুটন্ত গরম পানিতে মেন্থল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। চুলা থেকে পানি নামিয়ে নিন। এবার মাথার উপর একটি টাওয়েল দিয়ে বড় করে দম নিয়ে গরম পানির ভাপ নিন। এভাবে অন্তত ১০ মিনিট করে দিনে ২ বার করুন। গরম পানির ভাপ নিলে বুকে কফ জমতে পারে না এবং সহজেই বের হয়ে আসে।

১০। প্রচুর তরল খাবার খান

কফের সমস্যায় বেশি করে তরল খাবার খেলে উপকার পাওয়া যায়। সারাদিন প্রচুর পানি ও বিভিন্ন রকম জুস খান। তবে খুব ঠান্ডা পানি বা জুস খাওয়া উচিত না।

 





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar