সাড়ে তিন হাজার কোটি ডলারের মামলা ফেসবুকের বিরুদ্ধে
ব্যবহারকারীদের অনুমতি ছাড়া বায়োমেট্রিক ডাটা সংগ্রহ করে যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় রাজ্যের বায়োমেট্রিক ইনফরমেশন প্রাইভেসি অ্যাক্ট লঙ্ঘন করায় ফেসবুকের বিরুদ্ধে সাড়ে তিন হাজার কোটি ডলারের ক্লাস-অ্যাকশন মামলা হয়েছে।
কয়েক বছর ধরেই মামলাটি এড়ানোর চেষ্টা করছিল ফেসবুক। ২০১৫ সালে ওই আইনি লড়াই শুরু হয়।
তবে ফেসবুকের পক্ষ থেকে মামলাটি বাতিলের অনুরোধ জানানো হয়। কিন্তু সানফ্রান্সিসকোর তিন সদস্যের বিচারক প্যানেল ফেসবুকের ওই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। এর ফলে ফেসবুক যদি এখন সুপ্রিম কোর্টে না যায়, তবে সাড়ে তিন হাজার কোটি ডলারের ক্লাস-অ্যাকশন মামলাটির শুনানি শুরু হবে।
অভিযোগে বলা হয়, নিজেদের ‘ট্যাগ সাজেশন্স’ ফিচারের মাধ্যমে ফেসিয়াল রিকগনিশন ডাটার অপব্যবহার করেছে ফেসবুক। এই ফিচারের মাধ্যমে একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী তার বন্ধুকে শনাক্ত করতে সক্ষম হন।
মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, ইলিনয়ের বাসিন্দারা তাদের আপলোড করা ছবি ফেসিয়াল রিকগনিশনের মাধ্যমে স্ক্যান করার অনুমতি দেয়নি এবং ওই ডাটা কতটুকু সময়ের জন্য সংরক্ষণ করা হবে, সেটিও তাদের জানানো হয়নি।
২০১১ সালে ফেসবুক তাদের ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করে। তখন প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছিল, ফেসবুক বন্ধুদের শনাক্ত করতে এটি কাজে লাগবে।
ফেসবুক এ মামলায় হেরে গেলে ব্যক্তিপ্রতি এক হাজার থেকে পাঁচ হাজার ডলার জরিমানা দিতে হবে। সেক্ষেত্রে ৭০ লাখ ব্যবহারকারীকে এ জরিমানা দিতে হলে তাদের পকেট থেকে সাড়ে তিন হাজার ডলার খসবে।
Comments
So empty here ... leave a comment!