উগ্র-ডানপন্থী সাইটকে ‘নির্ভরযোগ্য’ বলছে ফেইসবুক
সমালোচিত ওই সাইটটিকে গত বছরই ‘অনির্ভরযোগ্য সূত্র’ আখ্যা দিয়েছে মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়া।
ফেইসবুক নিউজ সেবায় ব্রেইটবার্ট-এর উপস্থিতি নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন করা হয়েছিল মার্ক জাকারবার্গকে। নিউ ইয়র্ক টাইমস সাংবাদিক মার্ক ট্রেসির ওই প্রশ্নের জবাবে সুস্পষ্ট কোনো উত্তর দিতে পারেননি ফেইসবুক প্রধান — খবর ভার্জের।
ভুল তথ্য এবং উস্কানিমূলক সংবাদ পরিবেশন করার কারণে একাধিকবার সমালোচিত হয়েছে ব্রেইটবার্ট। সাইটটিকে ‘শ্বেত জাতীয়তাবাদীদের প্ল্যাটফর্ম’ বলেও আখ্যা দিয়েছিলেন ব্রেইটবার্টের সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ ব্যানন নিজেই। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনে প্রথম সাত মাস হোয়াইট হাউসের প্রধান কৌশলবিদ হিসেবে কাজ করা স্টিভ ব্যানন এর আগে ছিলেন কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা পরিচালনা পর্ষদের অন্যতম সদস্য।
গত বছর ব্রেইটবার্টসহ মোট তিনটি সাইটকে ‘অনির্ভরযোগ্য সূত্র’ হিসেবে কালো তালিকাভুক্ত করে মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়া। কালো তালিকাভুক্তি হওয়া বাকি দুটি সাইট হল, ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ‘ডেইলি মেইল’ ও বামপন্থীদের সাইট ‘অকুপাই ডেমোক্রেটস।’
ব্রেইটবার্ট অন্তর্ভুক্তির প্রশ্নে সাফাই হিসেবে জাকারবার্গ বলেন, “আমি মনে করি, ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে এমন কনটেন্ট রাখার প্রয়োজন রয়েছে। সে হিসেবে আংশিকভাবে এটিকে নির্ভরযোগ্য সূত্রের কাতারে ধরছি। আর ভিন্ন কাউকে নির্বাচনের মানে এই নয় যে সেটির সার্বক্ষণিক উপস্থিতি থাকবে। তবে বাদ দেওয়াটা ঠিক হবে না।”
এদিকে আবার ওয়াশিংটন পোস্টে কলামিস্ট মার্গারেট সালিভানকে জাকারবার্গ বলেছেন, “এই সেবাটি বাদে আমাদের পরিচালিত অন্যান্য সেবা মানুষকে মত প্রকাশের স্বাধীনতা দিচ্ছে। মানুষ যাতে তা করতে পারে সেটিও নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু এই সেবাটি সে রকম নয়, এখানে শুধু সংরক্ষণ করা মানসম্পন্ন সংবাদ ছাড়া অন্য কোনো কিছু জায়গা পাবে না।”
উল্লেখ্য, অভিবাসী এবং ভিন্ন বর্ণের মানুষকে নিয়ে মন্তব্য করে একাধিকবার আলোচনায় এসেছে ব্রেইটবার্ট।
Comments
So empty here ... leave a comment!