দুর্ঘটনা না হত্যা: জবাব মিলবে হোম স্পিকারের কাছে
চলতি বছরের জুলাইয়ে ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের উত্তর মায়ামিতে নিহত হন ৩২ বছর বয়সী সিলভিয়া গালভা ক্রেসপো। নিজ বাসা থেকে বুকে বর্শা বিদ্ধ অবস্থায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ক্রেসপো’র স্বামী ওই ঘটনাটিকে অস্বাভাবিক দুর্ঘটনা বললেও এতে সন্তুষ্ট নয় পুলিশ। ফলে ওই অস্বাভাবিক মৃত্যু আসলে হত্যাকাণ্ড কি না সেটি নিশ্চিত হতে ঘরে থাকা স্মার্ট স্পিকারের ডেটা বিশ্লেষণ করবে পুলিশ। — খবর গার্ডিয়ানের।
ঘটনাস্থলে গিয়ে সিলভিয়া’র মরদেহের পাশে তার স্বামী অ্যাডাম ক্রেসপো এবং পারিবারিক এক বন্ধুকে উপস্থিত দেখতে পায় পুলিশ। ৪৩ বছর বয়সী অ্যাডাম ক্রেসপোর দাবি, পারিবারিক কলহ চলাকালীন সিলভিয়ার বুকে বর্শা বিঁধেছে, পরে শুধু বর্শাটি বের করেছেন তিনি। বিষয়টিকে ‘রহস্যময় দুর্ঘটনা’ বলেও দাবি করেছেন ক্রেসপো।
ক্রেসপোর বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ আনা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, ‘রহস্য উদঘাটনে সাহায্য করতে পারে ওই বাসার ‘অ্যালেক্সা’ স্পিকারটি। সাধারণ ‘ওয়েক’ কমান্ড শুনে শুনে নিজেকে সচল করে নেওয়ার অভ্যাস রয়েছে অ্যামাজন নির্মিত অ্যালেক্সার। স্মার্ট ওই স্পিকারটি হয়তো ঘটনা ঘটার সময়ে কোনো কিছু শুনেছে এবং তা রেকর্ড করে রেখেছে।’
অ্যামাজন সার্ভারে থাকা ওই ডেটা পাওয়ার জন্য আবেদনও করেছে পুলিশ। অ্যালেক্সার ডেটা হাতে পাওয়ার কথা জানিয়ে হলান্ডেল বিচ পুলিশের বিভাগীয় মুখপাত্র সার্জেন্ট পেড্রো আবুট বলেছেন, “আমরা রেকর্ডিং হাতে পেয়েছি। এখন শুধু ওই তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করা বাকি।”
গার্ডিয়ান বলছে, এবারই প্রথম নয়, এর আগেও নানাবিধ তদন্তের কাজে ব্যবহৃত হয়েছে ‘ইন্টারনেট অফ থিংস’ প্রযুক্তি।
তবে, ওই ঘটনার সময় আদৌ ‘অ্যালেক্সা’ নিজেকে সচল করেছিল কিনা সে বিষয়টি নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তদন্তকারীরা। বর্তমানে জামিনে রয়েছেন ক্রেসপো, মামলা চলছে।
Comments
So empty here ... leave a comment!