আরও সহজে চাঁদে নভোচারি নামাবে বোয়িং
বোয়িং নিজেদের ‘ল্যান্ডার’ কর্মপ্রক্রিয়ার নাম দিয়েছে ‘স্বল্পতম ধাপে চাঁদে’। পুরো কর্মপ্রক্রিয়াটিতে বড় আকৃতির ‘স্পেস লঞ্চ সিস্টেম’ রকেট ব্যবহারের পরিকল্পনা করেছে প্রতিষ্ঠানটি। বোয়িং আরও জানিয়েছে, জটিলতা কমাতে একত্রে সব হার্ডওয়্যার না পাঠিয়ে, মহাকাশে কয়েক ধাপে হার্ডওয়্যার পাঠাবে তারা। — খবর বিবিসি’র।
উল্লেখ্য, অধিকাংশ রোবোটিক মহাকাশ মিশনে প্রয়োজনীয় সব হার্ডওয়্যার আলাদা করে না পাঠিয়ে নভোচারিদের রকেটেই দিয়ে দেওয়া হয়। এতে মিশনে বাড়তি কিছু জটিলতা যোগ হয়। আর্তেমিস কর্মসূচীতে অবশ্য নভোচারিদের সঙ্গে হার্ডওয়্যার পাঠানো হবে না বলে আগেভাগেই জানিয়ে রেখেছে নাসা।
বোয়িং দাবি করছে, মাত্র পাঁচটি ‘মিশন ক্রিটিক্যাল ইভেন্টস’ ধাপেই চাঁদে নভোচারি অবতরণ করাতে পারবে তারা। অথচ চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের বিকল্প কৌশলগুলো বলছে, ১১টি বা তার চেয়ে বেশি ধাপের প্রয়োজন পড়বে অবতরণের সময়।
আদতে বোয়িংয়ের ‘ল্যান্ডার’ প্রস্তাবনায় ধাপ রয়েছে দুটি। প্রথম ধাপে অবতরণ উপাদান বা ডিসেন্ট এলিমেন্টের সাহায্যে নভোচারিকে চন্দ্রপৃষ্ঠে নামানো হবে। দ্বিতীয় ধাপে মিশন শেষে নভোচারিকে আরোহণ উপাদান বা অ্যাসেন্ট এলিমেন্টের মাধ্যমে পৃষ্ঠ থেকে চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছে দেওয়া হবে।
আর সুষ্ঠুভাবে এ কাজগুলো করতে ‘ল্যান্ডারটিতে’ নিজেদের সিএসটি-১০০ স্টারলাইনার ক্যাপসুলের প্রযুক্তি ব্যবহার করবে বোয়িং। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে নভোচারিদের আনা-নেওয়া করতে কিছুদিন আগেই ওই ক্যাপসুল ডিজাইন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
বোয়িং জানিয়েছে, ২০২৪ সাল নাগাদ তৈরি হয়ে যাবে ‘আর্তেমিস-৩’ নামের ওই ল্যান্ডারটি। পুরো বিষয়টি সম্পর্কে বোয়িং এক বিবৃতিতে বলেছে, “নাসা মিশন স্লটের ২০২৪ বা ২০২৫ যে সালেই ব্যবহার করা হোক না কেন, বোয়িংয়ের প্রক্রিয়াতেই চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করানো সহজ এবং লাভজনক।”
এদিকে, অ্যামাজনের প্রধান নির্বাহী জেফ বেজোস-ও ‘ল্যান্ডার’ তৈরিতে আগ্রহী। কাজটি করার জন্য বেজোসের মহাকাশ বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘ব্লু অরিজিন’ জোট বেঁধেছে লকহিড মার্টিন, নর্থরপ গ্রুম্যান এবং ড্রেপারের মতো অ্যারোস্পেস জায়ান্টের সাথে। প্রতিষ্ঠানগুলো একত্রে তিন ধাপের ল্যান্ডার প্রস্তাবনা তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে।
Comments
So empty here ... leave a comment!